পাবনার ঈশ্বরদীর লক্ষীকুন্ডা ইউনিয়ন বিএনপির আহ্বায়ক বিরু মোল্লা হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত একটি দোনলা বন্দুক ও ৬ রাউন্ড গুলি উদ্ধারের কথা জানিয়েছে পুলিশ।
বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) রাত আনুমানিক ৮টার দিকে লক্ষীকুন্ডা ইউনিয়নের কামালপুর গ্রামে অভিযান চালিয়ে এসব অস্ত্র ও গুলি উদ্ধার করে ঈশ্বরদী থানা পুলিশ।
ঈশ্বরদী সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার প্রণব কুমার বুধবার রাতেই অস্ত্র ও গুলি উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, এর আগে হত্যা মামলার প্রধান আসামি জহুরুল মোল্লাকে গ্রেপ্তারের পর জিজ্ঞাসাবাদে তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে গত সোমবার দিবাগত গভীর রাতে লক্ষীকুন্ডা ইউনিয়নের সাহাপাড়া মৌজায় তার মালিকানাধীন ৩ নম্বর ইটভাটার পশ্চিম প্রান্তে অভিযান চালানো হয়। অভিযানে টিন দিয়ে ঘেরা একটি অস্থায়ী টয়লেটের পেছন থেকে মাটির নিচে পুঁতে রাখা একটি পুরোনো কাপড়ের বাজারের ব্যাগ উদ্ধার করা হয়। ব্যাগটির ভেতর থেকে একটি ওয়ান শুটার গান, একটি বিদেশি রিভলভার, ৫ রাউন্ড শর্টগানের গুলি এবং ২৬ রাউন্ড রিভলভারের গুলি উদ্ধার করা হয়।
প্রণব কুমার আরও জানান, পারিবারিক কলহ ও জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জেরে গত ১৭ ডিসেম্বর লক্ষীকুন্ডা ইউনিয়নের কামালপুর গ্রামের দক্ষিণপাড়া মোল্লাপাড়ায় প্রতিপক্ষের গুলিতে নিহত হন বিএনপি নেতা বিরু মোল্লা। এ ঘটনায় নিহতের চাচাতো ভাই জহুরুল মোল্লাকে প্রধান আসামি করে ১৮ ডিসেম্বর ঈশ্বরদী থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়।
এর আগে গত রোববার দিবাগত রাতে সিরাজগঞ্জ জেলার সলঙ্গা থানার রঘুনাথপুর এলাকা থেকে সিপিসি-২ ও র্যাব-১২ (পাবনা)–এর সহায়তায় মামলার প্রধান আসামি জহুরুল মোল্লাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
উল্লেখ্য, ইটভাটার জন্য মাটি কাটাকে কেন্দ্র করে দীর্ঘদিনের বিরোধের জেরে গত ১৭ ডিসেম্বর সকালে বিএনপি নেতা বিরু মোল্লাকে গুলি করে হত্যার ঘটনা ঘটে।
এনআই