চাঁদপুরের জেলা শহর থেকে শুরু করে উপজেলার জনগুরুত্বপূর্ণ সড়কগুলোতে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের অর্থায়নে স্থাপিত আধুনিক স্ট্রিট লাইট ও সোলার সড়ক বাতির অধিকাংশই বর্তমানে অচল হয়ে পড়েছে। একসময় এসব বাতিতে আলোকিত ছিল শহর ও গ্রামীণ জনপথ।
কিন্তু দীর্ঘদিন সংস্কারের অভাবে এখন সড়কগুলো অন্ধকারে ঢেকে যাওয়ায় জনসাধারণের চলাচল ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, চাঁদপুর জেলার বিভিন্ন সড়কে শত শত আধুনিক সোলার স্ট্রিট লাইট স্থাপন করা হয়েছিল। প্রথমে পুরো এলাকা আলোকিত থাকলেও বর্তমানে অধিকাংশ বাতি আর জ্বলছে না। এতে রাতে যানবাহন চলাচলে মারাত্মক ব্যাঘাত সৃষ্টি হচ্ছে, বাড়ছে সড়ক দুর্ঘটনার ঝুঁকি। পাশাপাশি চুরি-ছিনতাইসহ অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডও বৃদ্ধি পাচ্ছে বলে অভিযোগ রয়েছে।
অফিস সূত্রে জানা গেছে, জেলায় মোট ৮,৪৬১টি সোলার সিস্টেম স্থাপন করা হয়েছিল। এর মধ্যে সচল রয়েছে ৩,০৭৫টি এবং অচল হয়ে পড়েছে ৫,৩৮৬টি। এছাড়া ৭,৭৩৪টি স্ট্রিট লাইটের মধ্যে সচল রয়েছে ৩,৮৯১টি, অচল রয়েছে ৪,৭৪৫টি। অন্যদিকে, আরও ৮১টি বিশেষ সিস্টেমের মধ্যে সচল আছে ৬২টি এবং অচল রয়েছে ১৯টি।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, অচল বাতির কারণে রাতের বেলা হেঁটে চলা কিংবা যানবাহনে যাতায়াত করা অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে। অনেক এলাকায় সন্ধ্যার পরই অন্ধকার নেমে আসে, যা অপরাধীদের জন্য সহায়ক পরিবেশ তৈরি করছে। দ্রুত এসব বিকল বাতি মেরামতের দাবি জানিয়েছেন তারা।
এ বিষয়ে চাঁদপুর জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা মোহাম্মদ জাহিদ হাসান খান বলেন,“সোলার প্রকল্পগুলোর কাজ অনেক আগেই গ্রামীণ অবকাঠামো সংস্কার কর্মসূচির আওতায় শেষ হয়েছে। যেসব কোম্পানি এসব বাতি স্থাপন করেছে, তাদের ওয়ারেন্টি সময় ছিল তিন বছর, যা ইতিমধ্যে শেষ হয়ে গেছে। বর্তমানে কতগুলো বাতি সচল ও কতগুলো অচল রয়েছে—সে বিষয়ে একটি পূর্ণাঙ্গ তালিকা প্রস্তুত করে ত্রাণ ও দুর্যোগ অধিদপ্তরে পাঠানো হয়েছে। বরাদ্দ পাওয়া মাত্রই প্রয়োজনীয় সংস্কার কাজ শুরু করা হবে।”
চাঁদপুরের জনগুরুত্বপূর্ণ সড়কগুলোতে সোলার ও স্ট্রিট লাইট অচল হয়ে পড়ায় সাধারণ মানুষ চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন। দ্রুত সমস্যার কার্যকর সমাধান ও সড়কগুলো আলোকিত করার জোর দাবি জানিয়েছেন চাঁদপুরবাসী।
এনআই