মেঘনা নদীতে দুই যাত্রীবাহী লঞ্চের ভয়াবহ সংঘর্ষে নিহত চারজনের মরদেহ ভোলার নিজ নিজ গ্রামের বাড়িতে দাফন সম্পন্ন হয়েছে।
শনিবার (২৭ ডিসেম্বর) দুপুরে জানাজা নামাজ শেষে তাদের স্ব স্ব পারিবারিক কবরস্থানে দাফন সম্পন্ন করা হয়।
এরআগে, সকালে ঢাকা থেকে ভোলায় লাশ এসে পৌঁছালে এক হ্নদয় বিদারক পরিবেশের সৃষ্টি হয়। স্বজনদের আহাজারিতে ভাড়ী হয়ে ওঠে চারপাশ। দিনভর শোক আর কান্নায় ভারী ছিল ভোলার লালমোহন ও চরফ্যাশনের ওই এলাকাগুলো।
দুর্ঘটনায় নিহতরা হলেন, লালমোহন উপজেলার কাজিরাবাদ এলাকার আবদুল গনি (৩৮), একই এলাকার মো. সাজু (৪৫), চর উমেদ ইউনিয়নের কচুখালী গ্রামের গার্মেন্টস কর্মী রিনা বেগম এবং চরফ্যাশন উপজেলার আহাম্মদপুর ইউনিয়নের ফরিদাবাদ গ্রামের বাসিন্দা মো. হানিফ মাঝি (৪২)।
লালমোহন ও চরফ্যাশন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তারা দাফন সম্পন্নের বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে নিহতদের প্রত্যেক পরিবারকে ২৫ হাজার টাকা এবং আহতদের পরিবারকে ১৫ হাজার টাকা করে আর্থিক সহায়তা দেওয়া হয়েছে।
এছাড়াও নৌ উপদেষ্টার ঘোষিত সহায়তা তহবিল উপজেলা পর্যায়ে পৌঁছানো মাত্রই তা দ্রুত ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের মাঝে বিতরণ করা হবে বলেও জানান তারা।
এদিকে নিহতদের পরিবার সরকারের পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে দুর্ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত এবং প্রকৃত দোষীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জোর দাবি জানিয়েছেন।
উল্লেখ, বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে ঘন কুয়াশার কারণে চাঁদপুরের মেঘনা নদীতে এমভি জাকির সম্রাট-৩ ও এমভি অ্যাডভেঞ্চার-৯ লঞ্চের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এসময় এমভি জাকির সম্রাট -৩ লঞ্চে থাকা ৪ যাত্রীর ঘটনাস্থলে মৃত্যু হয়। এবং বেশ কয়েকজন যাত্রী আহত হয়। নিহত হওয়া ওই চারজন ভোলার চরফ্যাশন ও লালমোহন উপজেলার বাসিন্দা।
এফএস