কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ীতে গ্রামবাংলার ঐতিহ্যবাহী মাছ ধরার যন্ত্র ‘নল বড়শি’ ধীরে ধীরে বিলুপ্তির পথে। একসময় বর্ষা ও শরৎকালে স্থানীয়রা জলাশয়ের ধারে সারি সারি নল বড়শি বসিয়ে মাছ শিকার করতেন।
নল বড়শি সাধারণত শুকনো পাটখড়ি বা বাঁশের কঞ্চি দিয়ে তৈরি হতো। এক প্রান্ত মাটিতে গেঁথে, অন্য প্রান্তে সুতা বা বড়শি বাঁধা থাকত। শোল, বোয়াল, টাকি বা আইড় মাছ ধরার জন্য এটি ছিল সহজ ও সাশ্রয়ী পদ্ধতি।
স্থানীয়রা জানান, বর্তমানে ডোবা, নালা ও খাল বিল না থাকায় নল বড়শি প্রায় বিলুপ্ত। ফুলবাড়ীর ধরলা, বারোমাসিয়া ও নীলকমল নদীর কিছু ছোট জলাশয়ে এখনো এর ব্যবহার আছে, তবে আগের মতো মাছ পাওয়া যায় না।
মাছ ব্যবসায়ী আজিবর রহমান বলেন, “সারারাত বসিয়ে বর্শি তুললে আগে দিনে ২০০ গ্রাম মাছ পাওয়া যেত, এখন কখনো একটিও মাছ জোটে না। নেট জাল ছাড়া সংসার চলে না।”
স্থানীয় কৃষক ও প্রজন্মের বয়স্করা শৈশবে নল বড়শি দিয়ে মাছ শিকারের স্মৃতি মনে করে। ধীরেন্দ্র নাথ রায় বলেন, “আগে নল বড়শি দিয়ে প্রচুর মাছ ধরতাম, এখন খাল-বিল নেই, নল বড়শিও ইতিহাসের সাক্ষী।”
গ্রামবাংলার এই ঐতিহ্যবাহী মাছ ধরার যন্ত্র নল বড়শি আজ বিলুপ্তির পথে, যা নতুন প্রজন্ম প্রায় দেখেইনি।
এনআই