যুক্তরাষ্ট্র ও ইউক্রেনের শীর্ষ নেতাদের মধ্যে ‘গুরুত্বপূর্ণ’ বৈঠকের আগের দিন ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভে ব্যাপক হামলা চালিয়েছে রাশিয়া। স্থানীয় কর্তৃপক্ষের বরাতে জানা গেছে, এসব হামলায় অন্তত একজন নিহত হয়েছেন। পাশাপাশি শহরের প্রায় এক-তৃতীয়াংশ এলাকায় তাপ সরবরাহ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। খবর আল জাজিরার।
শনিবার (২৭ ডিসেম্বর) ভোর থেকে শুরু হওয়া রুশ ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোনের আঘাতে কেঁপে ওঠে কিয়েভ। এ সময় রাজধানীতে প্রায় ১০ ঘণ্টা ধরে বিমান হামলার সতর্কতা জারি ছিল। কিয়েভের মেয়র ও আঞ্চলিক গভর্নরের তথ্য অনুযায়ী, হামলায় ৪৭ বছর বয়সী এক নারী নিহত এবং অন্তত ২২ জন আহত হন।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি জানান, স্থানীয় সময় সকাল ১০টা ৪৫ মিনিট পর্যন্ত হামলা ‘চলমান’ ছিল। ‘জ্বালানি স্থাপনা এবং বেসামরিক অবকাঠামো লক্ষ্য করে প্রায় ৫০০ ড্রোন ও ৪০টি ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া হয়েছে বলে অভিযোগ করেন তিনি। স্থানীয় সময় সকাল ১১টা ২০ মিনিটে কিয়েভে বিমান হামলার সতর্কতা প্রত্যাহার করা হয়।
ইউক্রেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আন্দ্রি সিবিহা জানান, রাজধানীর এক-তৃতীয়াংশ এলাকায় কোনো তাপ সরবরাহ নেই। ওই সময়ে কিয়েভে তাপমাত্রা হিমাঙ্কের কাছাকাছি তথা প্রায় শূন্য ডিগ্রি সেলসিয়াসে অবস্থান করছিল।
কিয়েভ অঞ্চলের গভর্নর মিকোলা কালাশনিক জানান, হামলার ফলে রাজধানীর আশপাশের এলাকায় প্রায় ৩ লাখ ২০ হাজার পরিবার বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়ে।
এদিকে প্রায় ৪ বছর ধরে চলা রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধে আলোচনার জন্য রোববার (২৮ ডিসেম্বর) ফ্লোরিডায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বৈঠকে মিলিত হবেন প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি। তিনি জানান, বৈঠকে নিরাপত্তা নিশ্চয়তা এবং ভবিষ্যতে ভূখণ্ড নিয়ন্ত্রণসংক্রান্ত প্রশ্ন নিয়ে আলোচনা করবেন তারা।
মস্কো দাবি করছে, ইউক্রেনকে পূর্বাঞ্চলীয় দোনেৎস্ক অঞ্চলের সেই সব এলাকা থেকে সরে যেতে হবে, যেগুলো প্রায় চার বছরের যুদ্ধে রুশ সেনারা দখল করতে ব্যর্থ হয়েছে। এর মাধ্যমে রাশিয়া দোনেৎস্ক ও লুহানস্ক অঞ্চল নিয়ে গঠিত দনবাস অঞ্চলের পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ নিতে চায় । অন্যদিকে কিয়েভ বর্তমান ফ্রন্টলাইন বজায় রেখেই যুদ্ধ বন্ধ করতে চায়।
এবি