ভোলার চরফ্যাশনে রান্নার সময় দুর্ঘটনায় দগ্ধ হওয়া গৃহবধূ নাজমা বেগম অবশেষে মৃত্যুর কাছে হার মানলেন। শরীরের প্রায় ৭০ শতাংশ পুড়ে যাওয়ার ১৬ দিন পর তার মৃত্যু হয়েছে। তার মৃত্যুতে পরিবারে চলছে শোকের মাতম।
শনিবার (২৭ ডিসেম্বর) সকাল ১০টায় তার মৃত্যু হয়।
নাজমা বেগম চরফ্যাশন উপজেলার নুরাবাদ ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের রিয়াজ মিয়ার স্ত্রী। তিনি ১ সন্তানের জনক ছিলেন।
জানা গেছে, গেল ১১ ডিসেম্বর নিজ বাড়িতে রান্না করার সময় অসাবধানতাবশত নাজমা বেগমের গায়ের চাদরে আগুন ধরে যায়। মুহূর্তের মধ্যেই চাদরের আগুনে ঝলসে যায় তার শরীরের বড় একটি অংশ। পরে পরিবারের সদস্যরা তাকে দ্রুত উদ্ধার করে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ণ ইউনিটে রেফার্ড করা হয়।
নাজমার পরিবার জানায়, আগুনে নাজমার শরীরের প্রায় ৭০ শতাংশ পুড়ে যায়। এতে তার দীর্ঘমেয়াদি ব্যয়বহুল চিকিৎসার প্রয়োজন ছিলো। যা চালিয়ে যাওয়ার মতো আর্থিক সক্ষমতা ছিল না নাজমার পরিবারের। অর্থের অভাবে মাঝপথেই বন্ধ হয়ে যায় চিকিৎসা। বাধ্য হয়ে তাকে ঢাকা থেকে ভোলায় ফিরিয়ে আনা হয় তাকে।
তারা আরো জানায়, ঢাকা থেকে ভোলায় আনার পর নাজমার অবস্থা দিন দিন খারাপ হতে থাকে। শরীল অস্বাভাবিক ভাবে ফুলে যায় এবং দুর্গন্ধ ছড়াতে থাকে। অর্থের অভাবে চিকিৎসা বন্ধ হয়ে অকালে ঝড়ে গেল নাজমার জীবন
এরপর বাড়িতেই চলতে থাকে তার যন্ত্রণাদগ্ধ দিন-রাত। প্রচণ্ড ব্যথা, সংক্রমণ আর শারীরিক দুর্বলতায় ধীরে ধীরে নিভে যেতে থাকে জীবনের আলো। অবশেষে শনিবার সকালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি।
নাজমা বেগমের মৃত্যুতে পরিবার-পরিজনদের মাঝে নেমে এসেছে গভীর শোক। স্বজন ও এলাকাবাসীর মাঝে চলছে শোকের মাতম।
এ বিষয়ে চরফ্যাশন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. লোকমান হোসেন বলেন, যদিও ঘটনাটি আমার জানা নেই, তবে দুঃখজনক।
এনআই