চাঁদপুরের হাইমচরে মেঘনা নদীতে দুই লঞ্চের সংঘর্ষের ঘটনায় ৮ জন নামীয় ও অজ্ঞাতনামা ১০ জনসহ মোট ১৮ জনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।
রোববার (২৮ ডিসেম্বর) দুপুরে এ ঘটনায় গ্রেপ্তার অ্যাডভেঞ্চার-৯ লঞ্চের চার কর্মচারী মিন্টু, সোহেল, মহিন হাওলাদার ও মনিরুজ্জামানকে চাঁদপুর আদালতে সোপর্দ করা হয়। এর আগে শনিবার (২৭ ডিসেম্বর) রাত ১১টায় হাইমচর থানায় বিআইডব্লিউটিএ চাঁদপুর নদী বন্দরের উপ-পরিচালক (ট্রাফিক) বাবু লাল বৈদ্য বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন।
মামলায় নামীয় আসামিরা হলেন,মো. ফিরোজ খান (৫৩), মো. কামাল হোসেন (৫৫), মো. মনিরুল ইসলাম (৪৩), মো. সুলতান খান (৪৫), মো. মিন্টু (২৮), মো. সোহেল (৪০), মহিন হাওলাদার (২৫) ও মো. মনিরুজ্জামান (৪০)। তারা এমভি জাকির সম্রাট-৩ ও অ্যাডভেঞ্চার-৯ লঞ্চের কর্মচারী। এছাড়া মামলায় আরও ৮–১০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে।
হাইমচর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নাজমুল হাসান জানান, বিআইডব্লিউটিএর পক্ষে দায়ের করা মামলাটির তদন্ত ও পরবর্তী আইনগত কার্যক্রম নৌ পুলিশ পরিচালনা করবে।
চাঁদপুর নৌ পুলিশের সহকারী পুলিশ সুপার ইমতিয়াজ আহমেদ বলেন, অ্যাডভেঞ্চার-৯ লঞ্চের গ্রেপ্তার চার আসামিকে ঝালকাঠি থেকে এনে চাঁদপুর নৌ থানায় হস্তান্তর করা হয়। পরে তাদের আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) দিবাগত রাতে ঘন কুয়াশার মধ্যে ঢাকাগামী এমভি জাকির সম্রাট-৩ ও বরিশালগামী অ্যাডভেঞ্চার-৯ লঞ্চের সংঘর্ষে চার যাত্রী নিহত হন এবং বেশ কয়েকজন আহত হন।
এসআর