এবার নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালেন এনসিপির আরেক নেতা। জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের চট্টগ্রামের সম্মুখ সারির অন্যতম নেতা ও এনসিপির প্রতিষ্ঠাকালীন কেন্দ্রীয় সদস্য জুবাইরুল আলম মানিক আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চট্টগ্রাম-১৩ (আনোয়ারা-কর্ণফুলী) আসন থেকে অংশ নিচ্ছেন না বলে ঘোষণা দিয়েছেন।
সোমবার (২৯ ডিসেম্বর) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেওয়া এক দীর্ঘ স্ট্যাটাসে তিনি এ সিদ্ধান্তের কথা জানান। স্ট্যাটাসে তিনি বলেন, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের প্রেরণায় গড়ে ওঠা এনসিপি একটি স্বতন্ত্র আদর্শিক রাজনৈতিক শক্তি হিসেবে পথ চলবে, এমন প্রত্যাশা থাকলেও দলটি কৌশলগত কারণে আট দলীয় জোটের সঙ্গে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এ প্রেক্ষাপটে নিজের প্রত্যাশিত রাজনৈতিক লক্ষ্য বাস্তবায়ন সম্ভব না হওয়ায় তিনি নির্বাচনে না যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
জুবাইরুল আলম মানিক বলেন, ২০১৮ সালের কোটা সংস্কার আন্দোলন থেকে শুরু করে নিরাপদ সড়ক আন্দোলন, মোদি বিরোধী আন্দোলন ও একদফা যুগপৎ আন্দোলনসহ দীর্ঘ ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলনে তিনি সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেছেন। আন্দোলন সংগ্রামের পথে বহুবার হামলা, পুলিশি হয়রানি ও জীবননাশের হুমকির মুখে পড়লেও তিনি রাজপথ ছাড়েননি বলে দাবি করেন।
তিনি আরও বলেন, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে চট্টগ্রামে সংগঠক ও সমন্বয়ক হিসেবে সম্মুখ সারিতে থেকে নেতৃত্ব দেন তিনি। কারফিউ ভেঙে মিছিল, ধারাবাহিক রাজপথের আন্দোলন এবং পরবর্তী সময়ে মজলুমদের পাশে দাঁড়ানোসহ আনোয়ারা-কর্ণফুলীতে অবকাঠামো উন্নয়ন, ঘাট উদ্ধার, সড়ক প্রকল্প অনুমোদন, ধর্মীয় স্থাপনার নিরাপত্তা ও সংস্কারে তিনি ভূমিকা রাখেন।
নির্বাচনে অংশ না নিলেও জুলাই সনদ বাস্তবায়ন, গণভোট ও গণঅভ্যুত্থানের আদর্শ অক্ষুণ্ন রাখতে আজীবন কাজ করে যাওয়ার অঙ্গীকার করেন জুবাইরুল আলম মানিক। একই সঙ্গে তার ওপর আস্থা ও সমর্থন রাখা সহযোদ্ধা ও শুভানুধ্যায়ীদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে সংসদীয় নির্বাচনে অংশ না নিতে পারায় ক্ষমা প্রার্থনা করেন তিনি।
শেষে তিনি বলেন, 'আমি নির্বাচনে না থাকলেও আপনাদের সন্তান হিসেবে আগের মতোই পাশে থাকবো।'
এ বিষয়ে তার মন্তব্য জানতে চাইলে মুঠোফোনে জুবাইরুল আলম মানিক বলেন, বিষয়টা আমি পুরোপুরি আমার আইডিতে ক্লিয়ার করেছি। তবে, এনসিপির রাজনীতি থেকে সরে যাওয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিইনি।
ইখা