বিএনপি চেয়ারপার্সন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে সারাদেশের মতো টাঙ্গাইলেও নেমে এসেছে গভীর শোকের ছায়া। দলীয় নেতাকর্মীদের পাশাপাশি সাধারণ মানুষের মাঝেও বিরাজ করছে শোক ও বেদনাবিধুর পরিবেশ।
মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) ভোর ৬টায় রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইন্তেকাল করেন বেগম জিয়া। তাঁর মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে টাঙ্গাইল জেলা ও উপজেলার বিভিন্ন স্থানে বিএনপির নেতাকর্মীরা কান্নায় ভেঙে পড়েন। অনেকেই একে দেশের জন্য অপূরণীয় ক্ষতি হিসেবে উল্লেখ করেন।
মরহুমার আত্মার মাগফিরাত কামনায় টাঙ্গাইলে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। এর মধ্যে কোরআন খতম, দোয়া মাহফিল, কালো পতাকা উত্তোলন ও কালো ব্যাজ ধারণের মতো কর্মসূচি পালন করছেন বিএনপির নেতাকর্মীরা।
এদিকে বেগম খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক ও টাঙ্গাইল-৫ (সদর) আসনে দলটির মনোনীত সংসদ সদস্য প্রার্থী সুলতান সালাউদ্দিন টুকু। তিনি মরহুমার রূহের মাগফিরাত কামনা করেন এবং সকলের নিকট তাঁর বিদেহী আত্মার জন্য দোয়া চান।
খালেদা জিয়ার মৃত্যু উপলক্ষে সুলতান সালাউদ্দিন টুকুর কার্যালয়ে মঙ্গলবার সকাল থেকে কোরআন খতম শুরু হয়েছে। সেখানে ১২ জন হাফেজ দ্বারা পবিত্র কোরআনের তিলাওয়াত চলমান রয়েছে। কোরআন খতম শেষে মরহুমার আত্মার মাগফিরাত কামনায় বিশেষ দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হবে।
এছাড়া তাঁর উদ্যোগে টাঙ্গাইল পৌরসভার প্রতিটি ওয়ার্ড ও বিভিন্ন ইউনিয়নে কোরআন তিলাওয়াত ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছে।
এসময় বিএনপির নেতাকর্মীরা বলেন, আপসহীন নেত্রী হিসেবে পরিচিত বেগম খালেদা জিয়া দেশের গণতন্ত্র রক্ষায় আজীবন সংগ্রাম করেছেন। তাঁর মৃত্যুতে দেশ একজন অভিভাবককে হারালো, যার শূন্যতা সহজে পূরণ হওয়ার নয়। তারা মহান আল্লাহ তায়ালার নিকট মরহুমার জন্য জান্নাতুল ফেরদৌস কামনা করেন।
এর আগে হাসপাতালের মেডিকেল বোর্ডের প্রধান অধ্যাপক শাহাবুদ্দিন তালুকদার আনুষ্ঠানিকভাবে জানান, মঙ্গলবার ভোর ৬টায় এভারকেয়ার হাসপাতালের নিবিড় পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র (আইসিইউ)তে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া।
উল্লেখ্য, গত ২৩ নভেম্বর তিনি এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি হন। ২৭ নভেম্বর শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে সিসিইউতে নেওয়া হয়। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তিনি লাইফ সাপোর্টে ছিলেন।
এসকে/আরআই