বরগুনার আমতলী উপজেলার মানিকঝুড়ি এলাকায় অবস্থিত মায়ের দোয়া কটন মিলস-এ ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে মিলটি সম্পূর্ণ পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। এতে মিল মালিক বশির খাঁনের প্রায় ৩৫ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করা হয়েছে। বারবার তুলার মিলে আগুন লাগার ঘটনায় আশপাশের লোকজনের মধ্যে চরম আতঙ্ক বিরাজ করছে। এলাকাবাসী লোকালয় থেকে তুলার মিল অপসারণের দাবি জানিয়েছেন।
মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) রাত আনুমানিক ৯টার দিকে হঠাৎ করে মিলটিতে আগুনের সূত্রপাত হয়। প্রত্যক্ষদর্শীদের ধারণা, বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকেই আগুনের উৎপত্তি। মুহূর্তের মধ্যেই আগুন চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে এবং মিলের ভেতরে থাকা মেশিন ও তুলাসহ সব মালামাল পুড়ে যায়।
খবর পেয়ে আমতলী ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। তবে ততক্ষণে মিলের কোনো মালামালই রক্ষা করা সম্ভব হয়নি।
ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন আমতলী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুহাম্মদ জাফর আরিফ চৌধুরী, সহকারী পুলিশ সুপার (আমতলী-তালতলী সার্কেল) তারিকুল ইসলাম মাসুদ এবং আমতলী থানার ওসি মোহাম্মদ জাহাঙ্গির হোসেন।
স্থানীয় বাসিন্দা গোলাম মোস্তফা বলেন, “রাত নয়টার দিকে আগুন জ্বলতে দেখে আমরা ফায়ার সার্ভিসে খবর দিই। কিন্তু আগুন খুব দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। লোকালয়ের ভেতরে তুলার মিল থাকায় আমরা সব সময় আতঙ্কে থাকি। গত সাত বছরে কয়েকবার আগুন লেগেছে।”
মিলের মেশিন চালক ফাহিমা বেগম বলেন, “মিলটি বন্ধ থাকায় কেউ উপস্থিত ছিল না। আগেও দু’বার বৈদ্যুতিক মিটার থেকে আগুন লেগেছিল। আমার ধারণা এবারও সেখান থেকেই আগুনের সূত্রপাত হয়েছে।
মিল মালিক বশির খাঁন বলেন, আগুনে আমার সবকিছু পুড়ে গেছে। অন্তত ৩৫ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। এখন আমি একেবারে পথে বসে গেছি। নতুন করে মিল চালু করার মতো আর কিছু নেই।
আমতলী ফায়ার সার্ভিসের লিডার মো. গোলাম মোস্তফা বলেন, আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে। তবে কীভাবে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে, তা এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
সহকারী পুলিশ সুপার তারিকুল ইসলাম মাসুদ বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করা হয়েছে। মিলের ভেতরে ঝুট ও তুলা থাকায় আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। দুইটি ফায়ার ইউনিট কাজ করলেও কোনো মালামাল রক্ষা করা সম্ভব হয়নি। তবে হতাহতের কোনো ঘটনা ঘটেনি।
আমতলী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুহাম্মদ জাফর আরিফ চৌধুরী বলেন, ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। ক্ষতিগ্রস্ত মিল মালিক আবেদন করলে সরকারি বিধি অনুযায়ী প্রয়োজনীয় সহায়তা দেওয়া হবে।
এসআর