টানা ছয় দিন পর সূর্যের দেখা মিলেছে পদ্মা-যমুনা নদীবেষ্টিত উত্তরের জেলা পাবনার ভাঙ্গুড়া উপজেলায়। সকাল সকাল ঝলমলে মিষ্টি রোদে কৃষকসহ খেটে খাওয়া মানুষের মধ্যে কিছুটা স্বস্তি ফিরেছে। তবে উত্তরের ঝিরিঝিরি হিমেল বাতাস থাকায় দিনের বেলাতেও অনুভূত হচ্ছে শীত।
বুধবার (৩১ ডিসেম্বর) সকাল থেকেই স্বাভাবিক রোদ দেখা গেছে। আকাশে সূর্য ওঠার পর চারপাশে ছড়িয়ে পড়ে উষ্ণতা। ভোর থেকেই বাড়ির গৃহিণীরা কাপড় ধুয়ে রোদে শুকাচ্ছেন, আর বৃদ্ধরা রোদে বসে গল্প করছেন। স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে দেখা দিয়েছে আনন্দ ও উৎসবের আমেজ।
গত কয়েকদিন ধরে মেঘলা আকাশ, ঘন কুয়াশা আর উত্তরের হিমশীতল বাতাসে অনুভূত হচ্ছিল হাড়কাঁপানো শীত। কনকনে শীতে বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে জনজীবন। বিপাকে পড়েন খেটে খাওয়া নিম্ন আয়ের সাধারণ মানুষ। তীব্র শীত ও কুয়াশায় রাস্তাঘাটে খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করেন অনেকে। সূর্যের দেখা পাওয়ায় শ্রমজীবী মানুষের কাজে নামা এখন কিছুটা সহজ হয়েছে।
ভাঙ্গুড়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ শারমিন জাহান বলেন, কয়েকদিনের ঘন কুয়াশায় বোরো বীজতলা নিয়ে কৃষকরা উদ্বিগ্ন ছিলেন। সূর্যের আলো ও তাপমাত্রা কিছুটা বাড়ায় এখন ক্ষতির ঝুঁকি কমেছে। আবহাওয়া স্বাভাবিক থাকলে বড় ধরনের ক্ষতির আশঙ্কা নেই।
এ ব্যাপারে ঈশ্বরদী আবহাওয়া অফিসের সহকারী পর্যবেক্ষক নাজমুল হক রঞ্জন সময়ের কণ্ঠস্বরকে জানান, কুয়াশা আর মেঘের পরিমাণ কমে যাওয়ায় বুধবার সকালে ঝলমলে রোদের দেখা মিলেছে। এতে টানা কয়েকদিনের হাড়কাঁপানো শীতের কষ্ট কিছুটা কমে জনমনে স্বস্তি ফিরেছে।
এসআর