এইমাত্র
  • সিআইডি কর্মকর্তা পরিচয়ে ঘুষ নিতে গিয়ে ধরা
  • বন্ধুর স্ত্রীকে শাড়ি উপহার দিয়ে সমালোচনার মুখে ব্যারিস্টার সুমন
  • স্বর্ণের দাম সব রেকর্ড ভাঙল
  • আ.লীগের মন্ত্রী-এমপির আত্মীয়-স্বজন উপজেলা নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে না
  • ইরানের ওপর নতুন নিষেধাজ্ঞা দিলো যুক্তরাষ্ট্র-যুক্তরাজ্য
  • কিশোরগঞ্জে বাসচাপায় দুই মোটরসাইকেল আরোহী নিহত
  • ঘুমন্ত স্বামীর পুরুষাঙ্গ কর্তন, স্ত্রী কারাগারে
  • খালেদা জিয়া ডাল-ভাত খাওয়াতেও ব্যর্থ হয়েছিলেন : প্রধানমন্ত্রী
  • কুড়িগ্রামের উলিপুরে দিনব্যাপী প্রাণিসম্পদ প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত
  • রাজধানীর বনশ্রীতে আবাসিক ভবনে আগুন
  • আজ শুক্রবার, ৫ বৈশাখ, ১৪৩১ | ১৯ এপ্রিল, ২০২৪
    দেশজুড়ে

    এক কেজি ধানও সংগ্রহ হয়নি সাতক্ষীরার আট খাদ্য গুদামে!

    জাহিদ হোসাইন, সাতক্ষীরা প্রতিনিধি প্রকাশ: ৩১ মার্চ ২০২৩, ০৮:৪৫ এএম
    জাহিদ হোসাইন, সাতক্ষীরা প্রতিনিধি প্রকাশ: ৩১ মার্চ ২০২৩, ০৮:৪৫ এএম

    এক কেজি ধানও সংগ্রহ হয়নি সাতক্ষীরার আট খাদ্য গুদামে!

    জাহিদ হোসাইন, সাতক্ষীরা প্রতিনিধি প্রকাশ: ৩১ মার্চ ২০২৩, ০৮:৪৫ এএম

    সাতক্ষীরার সাত উপজেলার ৯টি সরকারি খাদ্যগুদামে ধান সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল ৪৪১২ মেট্রিক টন। তবে শুধুমাত্র কলারোয়া খাদ্য গুদামে ১ মেট্রিকটন ধান সংগ্রহ হলেও বাকি ৮টি খাদ্যগুদামে এক কেজি ধানও সংগ্রহ হয়নি।

    সাতক্ষীরা জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রণ কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, এ বছর আমন মৌসুমে ৭০৬৮ মেট্রিক টন চাউল এবং ৪৪১২ মেট্রিক টন ধান ক্রয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল। এর মধ্যে ৭৩৪০ মেট্রিক টন চাউল সংগ্রহ হলেও গত ৭ মার্চ পর্যন্ত ১ মেট্রিক টনের বেশি ধান ক্রয় করা সম্ভব হয়নি। গত বছরের ২১ ডিসেম্বর ধান ও চাউল সংগ্রহ শুরুর আগে প্রতিটি ইউনিয়নে মাইকিং করা হয়েছিল। ধান সংগ্রহ ৭ মার্চ পর্যন্ত অব্যাহত ছিল। সরকারিভাবে প্রতি কেজি ধানের মূল্য ২৮ টাকা এবং চাউলের মূল্য ৪২ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল।

    সাতক্ষীরা সদরের কুশখালী গ্রামের কৃষক মুনসুর আলী বলেন, ‘আমন মৌসুমের ধান বাড়ি থেকেই বিক্রি করেছিলাম। পাইকার এসে নিয়ে গিয়েছিল। সরকারী গুদামের চেয়ে পাইকাররা দাম বেশী দিয়েছিল।’

    সাতক্ষীরার তালা উপজেলার কুমিরা এলাকার কৃষক নাজমুল হোসেন বলেন, ‘খাদ্যগুদামে দেওয়া ধান একটু কম শুকানো হলে নিতে চায় না। তখন ধান আবার ফেরত আনতে হয়। এছাড়া পরিবহন খরচ, গুদামের শ্রমিকদের মজুরীসহ আরো অনেক বাড়তি খরচ তো আছেই। তাছাড়া গুদামে ধান দিলে টাকা তুলতে সময় লাগে। সংসারের কাজ ছেড়ে টাকার জন্য অফিসে ঘোরার সময় নেই। আর বাজারের পাইকারদের কাছে ধান বিক্রিতে কোনো ঝামেলা নেই। কিছু কিছু পাইকার ধান মাড়াইয়ের পর বাড়ি থেকে কিনে নিয়ে যান। এ বছর সরকারি মূল্যের চেয়ে বাজারে ধানের মূল্য বেশি ছিল। তাই এবছর ধান গুদামে না দিয়ে বাজারে বিক্রি করে দিয়েছি।’

    নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক পাটকেলঘাটা এলাকার এক মিল মালিক বলেন, ‘সরকারি মূল্যের চেয়ে খোলা বাজারেই ধান ও চাউলের মূল্য বেশি। আমন মৌসুমে বাজারে পর্যাপ্ত ধানও ছিলনা। বেশি দামে ধান কিনে গুদামে কম দামে চাল সরবরাহ করবো কিভাবে?’

    কলারোয়া উপজেলা গুদাম কর্মকর্তা মমতাজ পারভীন বলেন, ‘গত ২১ সিসেম্বর উদ্বোধনের দিন ১ মেট্রিক টন ধান সংগ্রহ করেছিলাম। এরপর আর কোনো ধান আমরা সংগ্রহ করতে পারিনি। আমি কৃষকের সাথে কথা বলেছি। বাইরের বাজারে ধানের ধাম বেশী থাকায় কৃষকরা খাদ্য গুদামে ধান বিক্রয় করতে আগ্রহ দেখায়নি।’

    জেলা মিল মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল গফফার বলেন, ‘প্রথমধামে আমরা যারা ধান ক্রয় করে চাউল বানিয়ে গুদামে দিয়েছিলাম তাদের লস হয়নি। তবে শেষে যারা গুদামে চাউল দিয়েছেন তাদের লস হয়ে গেছে। এছাড়া সরকারী গুদামের চেয়ে বাইরে ধানের দাম বেশী পেয়েছে কৃষকরা। ফলে আমাদেরও এবছর ধান কিনতে হিমশিম খেতে হয়েছে। প্রতিবছর আমরা খাদ্য গুদামের সাথে চুক্তি করি। লসের কথা ভেবে যদি আমরা এবছর চাউল না দিতাম তবে পরবর্তীতে খাদ্য গুদাম আমাদের সাথে আর চুক্তি করতো না। এজন্য লস হলেও এ বছর অনেক মিল মালিক খাদ্য গুদামে চাউল দিয়েছে।’

    সাতক্ষীরা জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রণ কর্মকর্তা কমল চাকমা বলেন, ‘লক্ষমাত্রার চেয়ে আমরা ২৭২.৪৯ মেট্রিক টন চাউল বেশী সংগ্রহ করেছি। সাতক্ষীরা সদর গুদামে এবার লক্ষমাত্রার চেয়ে ১৫২৮ মেট্রিক টন চাউল সংগ্রহ হলেও অন্যান্য খাদ্য গুদামে লক্ষমাত্রা অর্জিত হয়নি। এছাড়া কলারোয়া খাদ্য গুদামে ১ মেট্রিক টন ধান সংগ্রহ হলেও অন্যান্য গোডাউনে এক কেজিও ধান সংগ্রহ করতে পারিনি। কারণ সরকারী দামের চেয়ে খোলা বাজারেই ধানের ভালো দাম পেয়েছেন কৃষকরা।

    ট্যাগ :

    সম্পর্কিত:

    সম্পর্কিত তথ্য খুঁজে পাওয়া যায়নি

    সর্বশেষ প্রকাশিত

    Loading…