এইমাত্র
  • দেশের সব নির্বাচন অফিসে নিরাপত্তা জোরদারের নির্দেশ
  • স্বামীকে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে হত্যার অভিযোগ, স্ত্রী ও প্রেমিক আটক
  • রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ বন্দে ট্রাম্পের সঙ্গে আলোচনা চান এরদোয়ান
  • ওসমান হাদির ওপর হামলাকে বিচ্ছিন্ন ঘটনা মনে করছে না বিএনপি
  • ছুটির দিনেও খোলা থাকবে রিটার্নিং ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়
  • ওসমান হাদির ওপর হামলার পর পানছড়ি সীমান্তে নিরাপত্তা জোরদার
  • ১২ ঘণ্টায়ও নিয়ন্ত্রণে আসেনি জাবালে নূর টাওয়ারের আগুন
  • চট্টগ্রাম-১৫ আসনে বিএনপি’র প্রার্থীকে জরিমানার পর শোকজ
  • আফগানিস্তানকে ৩ উইকেটে হারাল বাংলাদেশ
  • ডেঙ্গুতে একদিনে আক্রান্ত ৫৭২
  • আজ রবিবার, ২৯ অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ | ১৪ ডিসেম্বর, ২০২৫
    দেশজুড়ে

    শিক্ষার্থীর মৃত্যু নিশ্চিত করতে সামনে বসে ছিলেন হামলাকারীদের প্রধান!

    মো. সাইফুল ইসলাম, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট (ভোলা) প্রকাশ: ৩১ মার্চ ২০২৩, ০৩:৫৮ পিএম
    মো. সাইফুল ইসলাম, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট (ভোলা) প্রকাশ: ৩১ মার্চ ২০২৩, ০৩:৫৮ পিএম

    শিক্ষার্থীর মৃত্যু নিশ্চিত করতে সামনে বসে ছিলেন হামলাকারীদের প্রধান!

    মো. সাইফুল ইসলাম, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট (ভোলা) প্রকাশ: ৩১ মার্চ ২০২৩, ০৩:৫৮ পিএম

    দলবেঁধে শিক্ষার্থীর উপর এলোপাতাড়ি হামলা করার পর শিক্ষার্থীর মৃত্যু নিশ্চিত করতে সামনে বসে ছিলেন হামলাকারীদের প্রধান নেতৃত্ব প্রদানকারী জহির। হামলার চার ঘন্টা পর অচেতন অবস্থায় পরে থাকা ওই শিক্ষার্থীকে হামলাকারীদের কবল থেকে স্থানীয়রা উদ্ধার করে লালমোহন সরকারি হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক অবস্থার অবনতি দেখে ভোলা সদর হাসপাতালে পাঠায়। পরে সেখানকার চিকিৎসক তার উন্নত চিকিৎসার জন্য দ্রুত ঢাকায় প্রেরণ করেন। বৃহস্পতিবার ওই শিক্ষার্থীকে ঢাকা নেওয়ার সময় তারা বাবা এ তথ্য জানিয়েছেন।

    বুধবার বিকালে এ ঘটনাটি ঘটেছে ভোলার লালমোহন উপজেলার চরভুতা ইউনিয়নের ১নম্বর ওয়ার্ডের রহিমপুর এলাকায়।

    হামলায় গুরুতর আহত ওই শিক্ষার্থীর নাম মো. জুয়েল। সে ভোলা সরকারি কলেজের বাংলা বিভাগের অনার্স চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী। অহত শিক্ষার্থী লালমোহন উপজেলার চরভুতা ইউনিয়নের ১নম্বর ওয়ার্ডের রহিমপুর এলাকার বাসিন্দা মো. গিয়াসউদ্দিন এর বড় ছেলে। হামলাকারীরাও একই এলাকার বাসিন্দা।

    হামলাকারীরা হলো- করিম এর ছেলে জহির (৩৫) ও সোহেল (৩২), মফাজ্জল এর ছেলে জোবায়ের (১৭), খালেক এর ছেলে খোকন (৩৫) বলে জানান ভুক্তভোগীর বাবা।

    ঘটনা সূত্রে জানা গেছে, পূর্ব শত্রুতার জের ধরে বৃহস্পতিবার সকাল থেকে মা ও ছেলেকে নিজেদের বসতঘর থেকে বাইরে বের হতে দেয়নি হামলারকারীরা। ওই দিন হামলারকারীদের চোখ ফাঁকি দিয়ে ছেলে জুয়েল আছরের নামাজ পড়তে মসজিদে যায়। নামাজ শেষে বের হতেই রাস্তা থেকে চারজন মিলে রড ও লোহার পাইপ দিয়ে এলোপাতাড়ি পিটানো শুরু করলে জুয়েল বেহুশ হয়ে রাস্তায় পরে যায়। পরে তাকে পাশের এক দোকানের মধ্যে টেনে নিয়ে দ্বিতীয় দফায় মাথায় ও বুকে কিল-ঘুষি দিয়ে অচেতন করে। হামলাকারীদের হাতে দেশীয় অস্ত্র থাকায় ভয়ে কেউ কাছে আসতে পারেনি।

    ওই শিক্ষার্থীর বাবা মো. গিয়াসউদ্দিন বলেন, 'আমার ছেলের অবস্থা ভালো নাই। কাশির সাথে নাক ও মুখ দিয়ে রক্ত ঝরছে।'

    ঘটনার পর থেকেই হামলাকারীরা তাদের ব্যবহৃত মোবাইল ফোন বন্ধ রেখে গা-ঢাকা দিয়েছেন। বাড়িতে গিয়ে তাদের পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের বক্তব্য নিতে চাইলে তারা বলেন, এ বিষয়ে তারা কিছুই জানেন না।

    লালমোহন থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মাহাববুর রহমান মুঠোফোন বলেন, 'এ ঘটনার বিষয়ে আমার জানা নেই।'

    ট্যাগ :

    সম্পর্কিত:

    সম্পর্কিত তথ্য খুঁজে পাওয়া যায়নি

    Loading…