মালদ্বীপ থেকে সেনা সরিয়ে নিতে সম্মত হয়েছে ভারত সরকার। দেশটির নতুন প্রেসিডেন্ট ক্ষমতায় আসার পরেই দিল্লিকে ওই অনুরোধ করেছিলেন। তাতে সাড়া দিয়েছে ভারত। মালদ্বীপের ক্ষমতার এই পালাবদল ভারতের জন্য খুব একটা স্বস্তির হয়নি। পালাবদলের পরেই তার প্রভাব পড়তে শুরু করেছে দুই দেশের সম্পর্কে।
মালদ্বীপের নতুন প্রেসিডেন্ট মুইজ়ুর শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে যোগ দিতে দেশটিতে গিয়েছিলেন ভারতের কেন্দ্রীয় মন্ত্রী কিরেণ রিজিজু। নিজের দফতরে বসে তাঁকে সেনা সরিয়ে নেওয়ার অনুরোধ করেছিলেন মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট।
ভারতের ৭৫ জন সেনা রয়েছেন মালদ্বীপে। ভারত মহাসাগরের এই দ্বীপরাষ্ট্রে নজরদারির কাজে সে দেশের স্থলসেনা এবং বায়ুসেনাকে সহায়তা করে থাকেন ভারতীয় ওই সেনারা। একই সাথে দেশটির অর্থনৈতিক অঞ্চলের চারপাশে টহল দেয় ভারতীয় যুদ্ধজাহাজ। এ ছাড়া, মালদ্বীপে মোতায়েন রয়েছে ভারতের বেশ কিছু হেলিকপ্টার। সেগুলি সেখানের নাগরিকদের নির্জন দ্বীপ থেকে হাসপাতালে পৌঁছে দেওয়ার কাজে ব্যবহৃত হয়।
মালদ্বীপে ‘চিনপন্থী’ হিসাবে পরিচিত বর্তমান প্রেসিডেন্ট মুইজ়ু। পূর্ববর্তী প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম সোলি আবার ছিলেন কিছুটা ভারতঘেঁষা। যা নিয়ে সোলিকে আক্রমণ করতেও ছাড়েননি মুইজ়ু। তাঁর অভিযোগ, দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে ভারতীয় সেনাকে হস্তক্ষেপ করার সুযোগ করে দিয়েছেন সোলি। নির্বাচনের আগে ক্ষমতায় এলে মালদ্বীপ থেকে বিদেশি সেনা সরানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন তিনি। নির্বাচনে জিতে প্রেসিডেন্টের কুর্সিতে বসার পরেই তার তোড়জোড় শুরু করে দিয়েছেন।
একটি সাক্ষাৎকারে মুইজ়ু জানান, মালদ্বীপে দীর্ঘ দিন ধরেই ভারতের সেনা রয়েছে। কিন্তু দেশের ‘সার্বভৌমত্বে’র কথা মাথায় রেখে ওই সেনাদের মালদ্বীপ ছাড়তে বলেছেন তিনি। অন্য কোনও দেশের সেনা থাকলেও তিনি একই কথা বলতেন বলে জানান।
অনেকে মনে করছেন, চিনপন্থী শাসক মালদ্বীপ থেকে ভারতের সেনা সরিয়ে এ বার চিনের দিকে ঘেঁষবেন। হয়তো মালদ্বীপে নিয়ে আসা হবে চিনা সৈনিকদের।
ফলে ভারতের দক্ষিণ-পশ্চিমের দ্বীপরাষ্ট্রে চিনের সেনা ঢুকে পড়তে পারে অচিরেই। সে ক্ষেত্রে ভারত মহাসাগরীয় এলাকায় কোণঠাসা হয়ে পড়তে পারে নয়াদিল্লি। কারণ শ্রীলঙ্কাতেও চিনের আধিপত্য বাড়তে শুরু করেছে।
পিএম