এইমাত্র
  • দেশের সব নির্বাচন অফিসে নিরাপত্তা জোরদারের নির্দেশ
  • স্বামীকে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে হত্যার অভিযোগ, স্ত্রী ও প্রেমিক আটক
  • রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ বন্দে ট্রাম্পের সঙ্গে আলোচনা চান এরদোয়ান
  • ওসমান হাদির ওপর হামলাকে বিচ্ছিন্ন ঘটনা মনে করছে না বিএনপি
  • ছুটির দিনেও খোলা থাকবে রিটার্নিং ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়
  • ওসমান হাদির ওপর হামলার পর পানছড়ি সীমান্তে নিরাপত্তা জোরদার
  • ১২ ঘণ্টায়ও নিয়ন্ত্রণে আসেনি জাবালে নূর টাওয়ারের আগুন
  • চট্টগ্রাম-১৫ আসনে বিএনপি’র প্রার্থীকে জরিমানার পর শোকজ
  • আফগানিস্তানকে ৩ উইকেটে হারাল বাংলাদেশ
  • ডেঙ্গুতে একদিনে আক্রান্ত ৫৭২
  • আজ রবিবার, ২৯ অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ | ১৪ ডিসেম্বর, ২০২৫
    দেশজুড়ে

    নিষেধাজ্ঞার প্রথম দিনে জেলে শূন্য ভোলার মেঘনা ও তেতুলিয়া নদী

    মো. সবুজ, ভোলা প্রতিনিধি প্রকাশ: ১ মার্চ ২০২৫, ০৩:৫৯ পিএম
    মো. সবুজ, ভোলা প্রতিনিধি প্রকাশ: ১ মার্চ ২০২৫, ০৩:৫৯ পিএম

    নিষেধাজ্ঞার প্রথম দিনে জেলে শূন্য ভোলার মেঘনা ও তেতুলিয়া নদী

    মো. সবুজ, ভোলা প্রতিনিধি প্রকাশ: ১ মার্চ ২০২৫, ০৩:৫৯ পিএম

    ইলিশের উৎপাদন বৃদ্ধি ও মা ইলিশ রক্ষায় মার্চ-এপ্রিল দুই মাসের নিষেধাজ্ঞার আজ প্রথম দিনেই জেলে শূন্য দেখা গেছে ভোলার মেঘনা ও তেতুলিয়া নদী।

    শনিবার (১ মার্চ) সকাল থেকেই জেলা মৎস্য কর্মকর্তাসহ নদীতে টহল দিচ্ছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।

    মৎস্য বিভাগ বলছে, দুই মাসের দেওয়া নিষেধাজ্ঞার অভিযান সফল করতে জেলায় কোস্টগার্ড, নৌ পুলিশ ও উপজেলা প্রশাসনের সমন্বয়ে ১৪ টি টিম প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এছাড়াও মৎস্য বিভাগ থেকে সচেতনতামূলক ব্যাপক প্রচার প্রচারণা চালানো হয়েছে। নিষেধাজ্ঞা অমান্যকারী জেলেদের ৫ হাজার টাকা জরিমানা বা অনাদায়ে ১ বছের কারাদণ্ড দেওয়া হবে।

    শুক্রবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) মধ্যে রাত থেকে থেকে আগামী ৩০ এপ্রিল পযন্ত দেওয়া এই নিষেধাজ্ঞায় ভোলার মেঘনা নদীর চর ইলিশা থেকে চর পিয়াল পর্যন্ত ৯০ কিলোমিটার ও তেঁতুলিয়া নদীর চর ভেদুরিয়া থেকে চর রুস্তম পর্যন্ত ১০০ কিলোমিটার এলাকায় ইলিশ নিধন, ক্রয়- বিপনন, মজুদ,আহরণ সম্পন্ন বন্ধ থাকবে।

    ইলিশ শিকারের নিষেধাজ্ঞার প্রথম দিনেই কয়েকটি মৎস্য ঘাট ঘুরে দেখা যায়, জেলেরা তাদের জাল নৌকা উপরে তোলার ব্যস্ত সময় পার করছেন। মেঘনা ও তেতুলিয়া নদীতে জেলে নৌকা নেই। মৎস্য ঘাট গুলো বন্ধ করে দিয়েছে আড়তদাররা। সরগরম মৎস্য ঘাটগুলো একদম নিরবতায় নিশ্চুপ হয়ে আছে।

    জেলেরা বলছেন, নিষেধাজ্ঞার সময়ে তারা বেকার হয়ে পরেন। কোন কাজ না পেয়ে এসময় তাদের সংসার ও এনজিওর কিস্তি নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়তে হয়। জেলেদের বরাদ্দকৃত সরকারি সহায়তা সঠিক সময়ে জেলেদের মধ্যে বন্টন করার দাবী জানান তারা।

    এদিকে ইলিশ শিকারে নিষেধাজ্ঞা কবলে পড়ে জেলার প্রায় ২ লক্ষাধিক জেলে বেকার হয়ে পড়েছেন। রমজান ও আসন্ন ঈদকে সামনে রেখে পরিবার পরিজন নিয়ে চিন্তিত তারা। কেউ কেউ পেশা পরিবর্তন করে চলে যাচ্ছেন অন্য পেশায়। আবার কেউ পেশা পরিবর্তন করতে চাইলেও মহাজনের ধার-দেনার কবলে পরে পেশা পরিবর্তন করতে পারছেন না। ফলে নিষেধাজ্ঞার সময়ে অলস সময় পার করতে হচ্ছে তাদের।

    ভোলার খাল মৎস্য ঘাটের জেলে হান্নান, নুরুদ্দিন মাঝি জানান, আমরা জেলে হয়ে খবই বিপদের মধ্যে রয়েছি। সরকারের দেওয়া নিষেধাজ্ঞা মানলেও পেট তো আর নিষেধাজ্ঞা মানছে না। সবচেয়ে বেশি চিন্তায় রয়েছি এনজিওর কিস্তি নিয়ে সরকার যদি নিষেধাজ্ঞার সময়ে এনজিওর কিস্তি নেয়া বন্ধ রাখতেন তাহলে চিন্তা কিছুটা কম হতো।

    মাঝির খাল এলাকার তছির, জামাল মাঝি জানান, আজ থেকে নদীতে অভিযান, আমরা জাল নৌকা উপরে তুলে ফেলেছি। দুই মাস নদীতে যাবো না। সরকারের কাছে আমাদের দাবি সঠিক সময়ে যেনো আমাদের বরাদ্দের চাউল দেওয়া হয়।

    জেলা মৎস্য কর্মকর্তা বিশ্বজিৎ কুমার দেব বলেন, মৎস্য বিভাগের সমন্বয়ে কোস্টগার্ড, নৌ পুলিশসহ সকাল থেকেই নদীতে নেমেছি। অভিযান সফল করতে আমাদের মৎস্য বিভাগ থেকে ১২ টিম গঠন করা হয়েছে। আমরা আশা করছি এ বছর সফল অভিযান করতে পারলে গতবারের থেকে এবছর ইলিশ উৎপাদনের লক্ষমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে।

    তিনি আরো জানান, দুই মাসের নিষেধাজ্ঞার সময়ে জেলেদের জন্য ৪০ কেজি করে ভিজিএফ চাউল দেওয়া হবে। সেটা আমরা প্রথম সপ্তাহে থেকে ১০ দিনের মধ্যে জেলের মধ্যে পৌঁছে দেওয়ার চেষ্টা করছি।

    পিএম

    সম্পর্কিত:

    সম্পর্কিত তথ্য খুঁজে পাওয়া যায়নি

    Loading…