এইমাত্র
  • দেশের সব নির্বাচন অফিসে নিরাপত্তা জোরদারের নির্দেশ
  • স্বামীকে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে হত্যার অভিযোগ, স্ত্রী ও প্রেমিক আটক
  • রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ বন্দে ট্রাম্পের সঙ্গে আলোচনা চান এরদোয়ান
  • ওসমান হাদির ওপর হামলাকে বিচ্ছিন্ন ঘটনা মনে করছে না বিএনপি
  • ছুটির দিনেও খোলা থাকবে রিটার্নিং ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়
  • ওসমান হাদির ওপর হামলার পর পানছড়ি সীমান্তে নিরাপত্তা জোরদার
  • ১২ ঘণ্টায়ও নিয়ন্ত্রণে আসেনি জাবালে নূর টাওয়ারের আগুন
  • চট্টগ্রাম-১৫ আসনে বিএনপি’র প্রার্থীকে জরিমানার পর শোকজ
  • আফগানিস্তানকে ৩ উইকেটে হারাল বাংলাদেশ
  • ডেঙ্গুতে একদিনে আক্রান্ত ৫৭২
  • আজ রবিবার, ২৯ অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ | ১৪ ডিসেম্বর, ২০২৫
    দেশজুড়ে

    খরস্রোতা যমুনা এখন ধু-ধু বালুচর

    মো. মিলন শেখ, সিরাজগঞ্জ (উত্তর) প্রতিনিধি প্রকাশ: ৫ মার্চ ২০২৫, ০৪:০৫ পিএম
    মো. মিলন শেখ, সিরাজগঞ্জ (উত্তর) প্রতিনিধি প্রকাশ: ৫ মার্চ ২০২৫, ০৪:০৫ পিএম

    খরস্রোতা যমুনা এখন ধু-ধু বালুচর

    মো. মিলন শেখ, সিরাজগঞ্জ (উত্তর) প্রতিনিধি প্রকাশ: ৫ মার্চ ২০২৫, ০৪:০৫ পিএম

    সিরাজগঞ্জ জেলার মধ্যে দিয়ে বয়েচলা খরস্রোতা যমুনা নাব্যতা হারিয়ে এখন শুধুই বালুচরে পরিণত হয়েছে।

    এক সময়ের খরস্রোতা যমুনা পানি শুকিয়ে যাওয়ায় এখন ধু-ধু বালুচর। পানি প্রবাহের যে কল কল ধ্বনি ছিল বর্ষা শেষ না হতেই তা হারিয়ে গেছে। ফলে সংকীর্ণ হয়েছে নদীর গতিপথ। নাব্যতা সংকটে নৌপথে চলা ইঞ্জিনচালিত নৌকা বা ডিঙি নৌকা চলাচল বাধাগ্রস্থ হচ্ছে।

    স্থানীয়রা জানান, সঠিকভাবে ড্রেজিং না করায় নাব্য সংকটসহ মরা খালে পরিণত হচ্ছে যমুনা।

    নাব্যতা কমে শুকিয়ে যাওয়া যমুনা নদীর চরের কোথাও কোথাও ফলানো হচ্ছে বিভিন্ন রকম শাক-সবজি ও ফসল। দীর্ঘ সময় থেকে নদী কেন্দ্রিক পরিবারগুলো মাছ শিকার করে জীবিকা নির্বাহ করে আসা তাদের মূল পেশা হারিয়ে দিনমজুরসহ বিভিন্ন কাজে নিয়োজিত হয়ে পড়েছে।

    স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, যমুনা যে একটি নদ তা শুধু বর্ষা মৌসুমেই বোঝা যায়। আর বর্ষা শেষ হলে মাইলের পর মাইল শুধু চর আর চর।

    স্থানীয় সদর উপজেলার ১০টি ইউনিয়নের মধ্যে চারটি ইউনিয়ন (মেছরা,কাওয়াকোলা ও ছোনগাছা,সায়দাবাদ ইউনিয়ন) যমুনা নদী দ্বারা বিভাজিত। ইউনিয়ন চারটির লক্ষাধিক মানুষকে পণ্য কেনা-কাটার জন্য বাজার-ঘাট করতে হয়। নদীতে নৌকা চলাচল না করায় বাজারে আসতে হয় দূরের পথ হেঁটে। এছাড়া মেছরা ইউনিয়ন থেকে জেলা সদরে নৌকায় ঝুঁকি নিয়ে দ্বিগুনেরও বেশী ভাড়া দিয়ে যাতায়াত পন্য পরিবহন করতে হচ্ছে যাত্রীদের। এতে সময় এবং আর্থিক ব্যয় দুটোই বৃদ্ধি পেয়েছে।

    স্থানীয় মেছরা ইউনিয়ের তেল ব্যবসায়ী মোতালেব বলেন, চরাঞ্চলে নৌকা পর্যন্ত তেল আনতে আগে ড্রামপ্রতি তেলের ভাড়া ছিল ২০টাকা। পানি শুকিয়ে যাওয়ায় তা বেড়েছে ১০০টাকা। নদীর তীরবর্তী এলাকায় প্রায় দুই হাজারের বেশী মৎসজীবীর বসবাস। পানি শুকিয়ে যাওয়ায় মাছ ধরতে না পেরে মানবেতর জীবন যাপন করছে তারা।

    ধানবান্ধি এলাকার রবিউল মাঝি জানান, যমুনা এখন মরা নদী। এখানে আগের মতো মাছ পাওয়া যায়না। সারা দিন জাল ফেলে ১০০-২০০ টাকার মাছ পাওয়া যায় না। তাই আমরা বড় কষ্টে আছি। মাছ না থাকায় জেলেদের অনেকে বিভিন্ন শহরে রিকশা চালান, কেউ দোকানে, কেউবা মাটি কাটার কাজ করছেন।

    সময়ের কন্ঠস্বরকে আরো বলেন, যমুনা নদীর পানি শুকিয়ে নাব্য সংকট দেখা দেওয়ায় ব্যবসা-বাণিজ্য কিংবা চলার পথে নানাবিধ সংকটের সৃষ্টি হয়েছে। যমুনা নদীকে পরিকল্পিতভাবে খনন করা হলে নদীটি এলাকাবাসীর জন্য আশির্বাদ হয়ে থাকত। ড্রেজিংয়ের মাধ্যমে যমুনা নদীর নাব্য ফিরিয়ে আনা হলে এ নদী আবার প্রাণের স্পন্দন ফিরে পাবে। উপকৃত হবে চরাঞ্চলীয় মানুষসহ গোটা উপজেলার জনসাধারণ।

    এসআর

    সম্পর্কিত:

    সম্পর্কিত তথ্য খুঁজে পাওয়া যায়নি

    Loading…