এইমাত্র
  • সদরপুরে প্রার্থীদের নিজ উদ্যোগে নির্বাচনী ব্যানার অপসারণ
  • শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস আজ
  • শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে রাষ্ট্রপতির শ্রদ্ধা
  • শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা জানালেন প্রধান উপদেষ্টা
  • দেশের সব নির্বাচন অফিসে নিরাপত্তা জোরদারের নির্দেশ
  • স্বামীকে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে হত্যার অভিযোগ, স্ত্রী ও প্রেমিক আটক
  • রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ বন্দে ট্রাম্পের সঙ্গে আলোচনা চান এরদোয়ান
  • ওসমান হাদির ওপর হামলাকে বিচ্ছিন্ন ঘটনা মনে করছে না বিএনপি
  • ছুটির দিনেও খোলা থাকবে রিটার্নিং ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়
  • ওসমান হাদির ওপর হামলার পর পানছড়ি সীমান্তে নিরাপত্তা জোরদার
  • আজ রবিবার, ৩০ অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ | ১৪ ডিসেম্বর, ২০২৫
    দেশজুড়ে

    বিএনপির ২ পক্ষের সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ জিহাদের মৃত্যু

    গাজী গোফরান, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট (চট্টগ্রাম) প্রকাশ: ৩ এপ্রিল ২০২৫, ০৫:৪৬ পিএম
    গাজী গোফরান, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট (চট্টগ্রাম) প্রকাশ: ৩ এপ্রিল ২০২৫, ০৫:৪৬ পিএম

    বিএনপির ২ পক্ষের সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ জিহাদের মৃত্যু

    গাজী গোফরান, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট (চট্টগ্রাম) প্রকাশ: ৩ এপ্রিল ২০২৫, ০৫:৪৬ পিএম

    চট্টগ্রাম নগরের জিইসি মোড়ে ঈদের শুভেচ্ছা ব্যানার টাঙানোকে কেন্দ্র করে বিএনপির দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের জেরে আহত যুবক মো. জিহাদ (২৭) ১২ দিন পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন।

    বৃহস্পতিবার (৩ এপ্রিল) ভোরে নগরীর বেসরকারি মেট্রোপলিটন হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।

    নিহত জিহাদ লালখান বাজার এলাকার বাসিন্দা এবং নগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আব্দুল হালিম শাহ আলমের অনুসারী ছিলেন। তার মৃত্যুর বিষয়টি সময়ের কণ্ঠস্বর-কে নিশ্চিত করেছেন খুলশী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আফতার হোসেন। তিনি জানান, সংঘর্ষ ও গোলাগুলির ঘটনায় আহত জিহাদ ১২ দিন মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ে মৃত্যু বরণ করেছে। ঘটনার পরদিনই আহত এক ভিকটিমের পরিবার বাদী হয়ে ১৫ থেকে ২০ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে, যা বর্তমানে তদন্তাধীন রয়েছে।

    গত ২১ মার্চ রাত আটটার দিকে নগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আব্দুল হালিম শাহ আলমের অনুসারী ও নগর ছাত্রদলের সদস্যসচিব শরিফুল ইসলামের অনুসারীদের মধ্যে সংঘর্ষ বাঁধে। মূলত নগরের জিইসি মোড় এলাকায় ঈদ শুভেচ্ছা ব্যানার টাঙানোকে কেন্দ্র করেই এই বিরোধের সৃষ্টি হয়। ব্যানার টাঙানোর পর দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা বাড়তে থাকে এবং একপর্যায়ে তা রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে রূপ নেয়।

    সংঘর্ষের সময় উভয় পক্ষ অস্ত্র নিয়ে মুখোমুখি হয় এবং গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। এতে মো. জিহাদ ও আনোয়ার শাহ আলমের অনুসারীরা গুলিবিদ্ধ হন। অন্যদিকে শরিফুল ইসলামের অনুসারী রমিজও আহত হন।

    গোলাগুলির ঘটনার পরপরই নগর পুলিশ কমিশনার হাসিব আজিজের নির্দেশে খুলশী থানার তৎকালীন ওসি মুজিবুর রহমানকে প্রত্যাহার করে পুলিশ লাইন্সে সংযুক্ত করা হয়।

    প্রশাসনের পক্ষ থেকে সংঘর্ষের ঘটনায় জড়িতদের শনাক্ত করতে তদন্ত জোরদার করা হয়েছে। তবে এখনও পর্যন্ত এ ঘটনায় কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে কি না, তা নিশ্চিত করেনি পুলিশ।

    চট্টগ্রামের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে দলীয় কোন্দল ও আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের ঘটনা নতুন কিছু নয়। বিএনপির এই অভ্যন্তরীণ কোন্দল দীর্ঘদিন ধরে চলে আসছে, যা বিভিন্ন সময় রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের জন্ম দিয়েছে।

    বিশ্লেষকদের মতে, ব্যানার টাঙানোর মতো সামান্য বিষয় থেকে এমন সহিংস সংঘর্ষ এবং প্রাণহানির ঘটনা রাজনৈতিক সংস্কৃতির অবক্ষয়েরই বহিঃপ্রকাশ। চট্টগ্রামে অতীতেও দলীয় অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বের কারণে একাধিক প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে, যা স্থানীয় পর্যায়ে রাজনৈতিক সহিংসতার এক গভীর সংকটকে তুলে ধরে।

    এইচএ

    ট্যাগ :

    সম্পর্কিত:

    সম্পর্কিত তথ্য খুঁজে পাওয়া যায়নি

    Loading…