এইমাত্র
  • দেশের সব নির্বাচন অফিসে নিরাপত্তা জোরদারের নির্দেশ
  • স্বামীকে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে হত্যার অভিযোগ, স্ত্রী ও প্রেমিক আটক
  • রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ বন্দে ট্রাম্পের সঙ্গে আলোচনা চান এরদোয়ান
  • ওসমান হাদির ওপর হামলাকে বিচ্ছিন্ন ঘটনা মনে করছে না বিএনপি
  • ছুটির দিনেও খোলা থাকবে রিটার্নিং ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়
  • ওসমান হাদির ওপর হামলার পর পানছড়ি সীমান্তে নিরাপত্তা জোরদার
  • ১২ ঘণ্টায়ও নিয়ন্ত্রণে আসেনি জাবালে নূর টাওয়ারের আগুন
  • চট্টগ্রাম-১৫ আসনে বিএনপি’র প্রার্থীকে জরিমানার পর শোকজ
  • আফগানিস্তানকে ৩ উইকেটে হারাল বাংলাদেশ
  • ডেঙ্গুতে একদিনে আক্রান্ত ৫৭২
  • আজ রবিবার, ২৯ অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ | ১৪ ডিসেম্বর, ২০২৫
    দেশজুড়ে

    মুক্তিপণ না পেয়ে ভাগ্নেকে হত্যা করল আপন মামা!

    মো. জাহেদুল ইসলাম, সাতকানিয়া (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি প্রকাশ: ১৬ এপ্রিল ২০২৫, ০৭:১৫ পিএম
    মো. জাহেদুল ইসলাম, সাতকানিয়া (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি প্রকাশ: ১৬ এপ্রিল ২০২৫, ০৭:১৫ পিএম

    মুক্তিপণ না পেয়ে ভাগ্নেকে হত্যা করল আপন মামা!

    মো. জাহেদুল ইসলাম, সাতকানিয়া (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি প্রকাশ: ১৬ এপ্রিল ২০২৫, ০৭:১৫ পিএম

    রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে অপহরণের পর মুক্তিপণ না পেয়ে আপন ভাগ্নেকে হত্যা করেছে মামা। অপহরণকারী মামা মো. কামাল হোসেনের দেখানো মতে, অপহরণের ১৩ দিন পর বুধবার (১৬ এপ্রিল) চট্টগ্রামের সাতকানিয়ার কালিয়াইশ ইউনিয়নের পাঠানি পুলের পূর্ব পার্শ্বে গড়লা খালের পাড়ের কৃষি জমি থেকে ওই কিশোরের অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

    নিহত মো. একরাম (১৩) কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলার বালুখালী রোহিঙ্গা শরণার্থী ক্যাম্পের ১০ নম্বর ক্যাম্পের জি-৩৭ ব্লকের মো. ইদ্রিসের ছেলে।

    হত্যাকাণ্ডে অভিযুক্ত রোহিঙ্গা যুবক কামাল হোসেন (২৮) একই উপজেলার কুতুপালং রোহিঙ্গা শরণার্থী ক্যাম্পের বি-১০ ব্লকের আবুল কাশেমের ছেলে। সে সাতকানিয়া উপজেলার কেঁওচিয়া ইউনিয়নে একটি ইটভাটায় শ্রমিক হিসেবে কাজ করতো। নিহত ও খুনি সম্পর্কে আপন মামা-ভাগিনা বলে জানা গেছে।

    নিহত একরামের বড় চাচা মো. ইউনুস বলেন, আমার ছোটভাই ইদ্রিস উখিয়া বালুখালী রোহিঙ্গা ক্যাম্পে পরিবার নিয়ে বসবাস করে। বিগত ৩ এপ্রিল ভাইয়ের শ্যালক মো. কামাল আমার ভাইপো একরামকে বেড়াতে নিয়ে যাওয়ার নাম করে ক্যাম্প থেকে নিয়ে যায়। পরে কামাল ভাইপো একরামকে অপহরণ করা হয়েছে বলে ইদ্রিসের (বাবা) কাছে মোবাইল ফোনে মুক্তিপণ দাবি করে। ইদ্রিস মুক্তিপণ দিতে রাজি হয় নি। পরে অনেক খোঁজাখুঁজি করেও একরামকে পাওয়া যায় নি। ১৪ এপ্রিল রাতে ইদ্রিস বাদী হয়ে উখিয়া থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগের প্রেক্ষিতে উখিয়া থানা পুলিশ কামালকে একই রাতে আটক করে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করলে (কামাল) মুক্তিপণের টাকা না দেওয়ায় একরামকে খুন করেছে বলে স্বীকার করে। পরে কামালের দেখানোর মতে সাতকানিয়া এলাকার একটি বিল থেকে একরামের লাশ উদ্ধার করে উখিয়া থানা পুলিশ।

    সাতকানিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জাহেদুল ইসলাম বলেন, বুধবার সকালে উখিয়া ও সাতকানিয়া থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে পাঠানিপুল এলাকা থেকে কিশোরটির লাশ উদ্ধার‌ করে। লাশটি উদ্ধারের পর উখিয়া থানা পুলিশ নিয়ে গেছে।

    এসআর

    সম্পর্কিত:

    সম্পর্কিত তথ্য খুঁজে পাওয়া যায়নি

    Loading…