কৃষি প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের (এটিআই) শিক্ষার্থীরা আট দফা দাবিতে সোমবার (২১ এপ্রিল) রাজধানীর খামারবাড়ি এলাকায় এক কর্মসূচি পালন করেছেন। যার মধ্যে ছিল কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের (ডিএই) প্রধান ফটক অবরোধ করে ‘এগ্রি ব্লকেড’ তৈরি করা। সকাল থেকে ফটক বন্ধ করে দেওয়ায় ডিএই কর্মকর্তারা অফিসে প্রবেশ করতে পারেননি। একই সময়ে, শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শেকৃবি) শিক্ষার্থীরা তাদের পূর্বঘোষিত পাঁচ দফা দাবি বাস্তবায়নের জন্য খামারবাড়ির বাইরে বিক্ষোভ শুরু করেন।
দুপুর নাগাদ পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়ে ওঠে যখন শেকৃবির শিক্ষার্থীরা খামারবাড়ির সামনে এসে জড়ো হন। এ সময় এটিআই শিক্ষার্থীরা খামারবাড়ির ভেতরে এবং শেকৃবির শিক্ষার্থীরা বাইরে মুখোমুখি অবস্থান নিয়ে পাল্টাপাল্টি স্লোগান দিতে শুরু করেন। উভয় পক্ষ নিজ নিজ দাবিতে অনড় থাকায় সেখানে এক ধরনের উত্তেজনা সৃষ্টি হয়।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে যেন না যায় সেজন্য ঘটনাস্থলে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যদের মোতায়েন করা হয়েছিল। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের খামার বাড়ির ভিতর থেকে বের হওয়ার অনুরোধ জানান। শিক্ষার্থীরা খামার বাড়ির ভিতর থেকে বের হচ্ছিল না তখন এক পর্যায়ে শিক্ষার্থীরা উত্তেজিত হয়ে যান। সে সময় সেনাবাহিনী ও পুলিশ শিক্ষার্থীদের ওপর লাকি চার্জ করে।
শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন শিক্ষার্থী জানান, সেনাবাহিনীকে ম্যাজিস্ট্রেশন পাওয়ার দেওয়া হয়েছে শিক্ষার্থীদের গায়ে হাত তোলার জন্য। একপর্যায়ে তারা শিক্ষার্থীদের গায়ে হাত তোলে এবং তারা লাঠিচার্জ করে।
বিকেল ৩টার দিকে এটিআই শিক্ষার্থীরা তাদের কর্মসূচি শেষ করে খামারবাড়ি এলাকা ত্যাগ করেন। কিন্তু শেকৃবির শিক্ষার্থীরা তাদের পাঁচ দফা দাবি নিয়ে বিকেল সাড়ে ৩টা পর্যন্ত সেখানে অবস্থান করে এবং এডির সাথে দেখা করেন। তাদের দাবিগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো প্রচলিত ভর্তি পরীক্ষার নিয়ম বহাল রাখা, নিয়োগে যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ করা এবং কৃষিবিদদের পদবী ব্যবহারের ক্ষেত্রে নীতিমালা প্রণয়ন করা। অন্যদিকে, এটিআই শিক্ষার্থীরা ডিপ্লোমা কৃষিবিদদের উচ্চশিক্ষা ও চাকরির সুযোগ বৃদ্ধি এবং বেতন কাঠামোর উন্নয়নের মতো দাবি জানান।
এসআর