এইমাত্র
  • দেশের সব নির্বাচন অফিসে নিরাপত্তা জোরদারের নির্দেশ
  • স্বামীকে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে হত্যার অভিযোগ, স্ত্রী ও প্রেমিক আটক
  • রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ বন্দে ট্রাম্পের সঙ্গে আলোচনা চান এরদোয়ান
  • ওসমান হাদির ওপর হামলাকে বিচ্ছিন্ন ঘটনা মনে করছে না বিএনপি
  • ছুটির দিনেও খোলা থাকবে রিটার্নিং ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়
  • ওসমান হাদির ওপর হামলার পর পানছড়ি সীমান্তে নিরাপত্তা জোরদার
  • ১২ ঘণ্টায়ও নিয়ন্ত্রণে আসেনি জাবালে নূর টাওয়ারের আগুন
  • চট্টগ্রাম-১৫ আসনে বিএনপি’র প্রার্থীকে জরিমানার পর শোকজ
  • আফগানিস্তানকে ৩ উইকেটে হারাল বাংলাদেশ
  • ডেঙ্গুতে একদিনে আক্রান্ত ৫৭২
  • আজ রবিবার, ২৯ অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ | ১৪ ডিসেম্বর, ২০২৫
    জাতীয়

    শহীদি সমাবেশ থেকে আ. লীগ নিষিদ্ধের দাবি

    সময়ের কণ্ঠস্বর রিপোর্ট প্রকাশ: ২৫ এপ্রিল ২০২৫, ০৬:২৮ পিএম
    সময়ের কণ্ঠস্বর রিপোর্ট প্রকাশ: ২৫ এপ্রিল ২০২৫, ০৬:২৮ পিএম

    শহীদি সমাবেশ থেকে আ. লীগ নিষিদ্ধের দাবি

    সময়ের কণ্ঠস্বর রিপোর্ট প্রকাশ: ২৫ এপ্রিল ২০২৫, ০৬:২৮ পিএম
    সংগৃহীত ছবি

    জুলাই, পিলখানা ও শাপলা চত্বরের ঘটনার বিচার এবং গণহত্যাকারী আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধের দাবিতে রাজধানীতে ‘শহীদি সমাবেশ’ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

    শুক্রবার (২৫ এপ্রিল) বিকেল সোয়া ৩টায় শাহবাগে জাতীয় জাদুঘরের সামনে ইনকিলাব মঞ্চের ব্যানারে এই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

    সমাবেশে বক্তারা বলেন, আওয়ামী লীগকে নির্বাহী আদেশে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে পরবর্তী সময়ে বিচারিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে চূড়ান্ত নিষিদ্ধ করতে হবে।

    বক্তব্য রাখতে গিয়ে জুলাই অভ্যুত্থানে চোখ হারানো এক আহত ব্যক্তি বলেন, আমি চোখহারা জুলাই যোদ্ধা হয়ে বলতে চাই, এই দেশে আওয়ামী লীগের কোনো পুনর্বাসন হতে পারে না। যারা তাদের পুনর্বাসন করতে চায়, তাদের এ দেশে জায়গা হবে না।

    তিনি জানান, যারা দিল্লি বা পাকিস্তানের প্রেসক্রিপশনে দেশ চালাতে চায়, তারা যেন ভারত বা পাকিস্তানে চলে যায়। আমরা বাংলাদেশপন্থীরা নতুন দেশ গঠন করব।

    দাবি জানিয়ে চোখ হারানো ওই ব্যক্তি বলেন, আহত ও শহীদ পরিবারগুলোর পুনর্বাসন করতে হবে।

    সমাবেশে শহীদ সাইমের মা বলেন, আমার ছেলে কী অপরাধ করেছিল, যে ১৯ জুলাই যাত্রাবাড়ীতে গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা গেলো? আমি শহীদের মা হয়ে বলছি, আওয়ামী লীগ যেন আর এ দেশে রাজনীতি করতে না পারে।

    জুলাই এখনও শেষ হয়নি উল্লেখ করে সমাবেশে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রনেতা এ বি জোবায়ের বলেন, আমাদের প্রত্যাশা এখনও পূরণ হয়নি। কেউ কেউ আজ টাকার পাহাড় গড়েছে। অথচ আমরা লড়াই চালিয়ে যাচ্ছি। কেউ আমাদের আশা বিক্রি করতে পারবে না।

    তিনি আরও বলেন, আমরা চাই, নির্বাহী আদেশে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ হোক। পাশাপাশি গণভোটের মাধ্যমে দলটিকে চিরতরে বিদায় করতে হবে। শাপলা চত্বর ও বিডিআর হত্যাকাণ্ডসহ সব ঘটনার বিচার করতে হবে এবং জুলাই ঘোষণাপত্র প্রকাশ করতে হবে।

    ইসলামি ছাত্র আন্দোলনের সেক্রেটারি শেখ মাহবুবুর রহমান বলেন, আমরা দেখতে পাচ্ছি, আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসনের চেষ্টা চলছে। তাদের পুনর্বাসনের আগে আমাদের গলায় ফাঁসির দড়ি পড়বে।

    তিনি আরও বলেন, আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করতে আমাদের সভা-সমাবেশ করতে হবে এটা ২৪ পরবর্তী দেশে প্রত্যাশা করতে পারিনি।

    এ সময় ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদি, প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের সংগঠন- পুসাবের প্রতিষ্ঠাতা আব্দুল্লাহ আল মাহফুজ জাকারিয়া, বিপ্লবী ছাত্র পরিষদের আব্দুল ওয়াহেদ, শহীদ সজলের মা, শহীদ সাইমের পরিবারসহ জুলাই আন্দোলনে আহত ও শহীদ পরিবারের একাধিক সদস্য সমাবেশে বক্তব্য দেন।

    প্রসঙ্গত, আজকের সমাবেশ থেকে চার দফা দাবি উত্থাপন করা হয়। সেগুলো হলো-

    ১. আগামী ১০০ দিনের মধ্যে জুলাই গণহত্যার দৃশ্যমান বিচার শুরু করতে হবে এবং আওয়ামী লীগকে নির্বাহী আদেশ, আদালতের রায় ও রাজনৈতিক সমঝোতার মাধ্যমে সাংবিধানিকভাবে নিষিদ্ধ ঘোষণা করতে হবে।

    ২. শাপলা চত্বরের ঘটনার রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি দিয়ে জাতিসংঘের সহায়তায় একটি তদন্ত কমিশন গঠন করে শহীদদের তালিকা প্রকাশ ও বিচার প্রক্রিয়া শুরু করতে হবে।

    ৩. পিলখানা হত্যাকাণ্ড নিয়ে গঠিত কমিশনের পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন প্রকাশ করে সুপারিশমালা বাস্তবায়ন করতে হবে।

    ৪. দেশের সব রাজনৈতিক দলের নির্বাচনী ইশতেহারে আওয়ামী লীগের গণহত্যার বিচারের বিষয়ে স্পষ্ট ধারা অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।

    ইনকিলাব মঞ্চ সূত্রে জানা গেছে, এই দাবিতে তারা আগামী ১০০ দিন দেশের ৬৪ জেলায় গণসংযোগ চালাবে। দাবি পূরণ না হলে আগামী ৩৬ জুলাই (৫ আগস্ট) ‘মার্চ ফর বাংলাদেশ’ কর্মসূচি ঘোষণা করে শাহবাগ থেকে সচিবালয় ঘেরাও করা হবে।


    এমআর-২

    সম্পর্কিত:

    সম্পর্কিত তথ্য খুঁজে পাওয়া যায়নি

    Loading…