কাশ্মীর ইস্যুতে 'ভারতে থাকা সমস্ত পাকিস্তানিদের তাড়ান।' শুক্রবারই সব রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের ফোন করে বলেছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। পাশাপাশি রাজ্যগুলিকে অন্যান্য অবৈধ অভিবাসীদের চিহ্নিত করার এবং ২৬ থেকে ২৯ এপ্রিলের মধ্যে ভারত ত্যাগ করার নির্দেশ দিয়েছিল কেন্দ্র।
ভারতের গুজরাটে রাতভর অভিযান চালিয়ে ৫৫০ জনেরও বেশি অবৈধভাবে বসবাসকারী বাংলাদেশিকে আটক করা হয়েছে। তাদের মধ্যে বেশিরভাগই সুরাট থেকে আটক করা হয়। সেখানে ১০০ জনেরও বেশি বাংলাদেশিকে আটক করা হয়।
শনিবার (২৬ এপ্রিল) বার্তাসংস্থা পিটিআইয়ের বরাতে এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে টাইমস অব ইন্ডিয়া।
গুজরাট পুলিশের নেতৃত্বে, স্পেশাল অপারেশন গ্রুপ (এসওজি), ক্রাইম ব্রাঞ্চ, অ্যান্টি-হিউম্যান ট্র্যাফিকিং ইউনিট এবং স্থানীয় পুলিশ ইউনিটগুলোর সহযোগিতায় আহমেদাবাদেও যৌথ অভিযান চালানো হয়। সেখানে ৪৫০ জনেরও বেশি সন্দেহভাজন অবৈধ অভিবাসীকে আটক করা হয়।
কর্মকর্তারা নিশ্চিত করেছেন যে, আটককৃতরা বৈধ নথিপত্র ছাড়াই ভারতে প্রবেশ করেছিলেন এবং জাল কাগজপত্র ব্যবহার করে দেশে বসবাস করছিলেন।
ডেপুটি পুলিশ কমিশনার রাজদীপ সিং নাকুম বলেছেন, গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে সুরাটে ৫৫০ বাংলাদেশিদের আটক করা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদ ও যাচাইয়ের পর তাদের ফেরত পাঠানো হবে। তারা অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশ করেছিলেন এবং জাল নথিপত্র নিয়ে বসবাস করছিলেন। তদন্তের পর, তাদের বাংলাদেশে ফেরত পাঠানো হবে।
টাইমস অব ইন্ডিয়া বলছে, আহমেদাবাদে, অভিযানটি শুক্রবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে শুরু হয়। অর্থনৈতিক অপরাধ শাখা এবং জোন ৬ সহ একাধিক শাখার দল এটি পরিচালনা করে। ডিসিপি অজিত রাজিয়ানের মতে, চান্দোলা এলাকা থেকে ৪০০ জনেরও বেশি মানুষকে আটক করা হয়েছে।
যুগ্ম-পুলিশ কমিশনার (অপরাধ শাখা) শরদ সিংহল বলেছেন, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, পুলিশ কমিশনার এবং পুলিশ মহাপরিচালকের সরাসরি নির্দেশে এই অভিযান চালানো হয়েছিল।
তিনি বলেন, এই অভিযানের আগে- ২০২৪ সালের এপ্রিল থেকে দুটি এফআইআর দায়ের করা হয়েছিল, যার ফলে ১২৭ বাংলাদেশিকে গ্রেফতার করা হয়েছিল এবং ৭৭ জনকে নির্বাসিত করা হয়েছিল।
এবি