এইমাত্র
  • দেশের সব নির্বাচন অফিসে নিরাপত্তা জোরদারের নির্দেশ
  • স্বামীকে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে হত্যার অভিযোগ, স্ত্রী ও প্রেমিক আটক
  • রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ বন্দে ট্রাম্পের সঙ্গে আলোচনা চান এরদোয়ান
  • ওসমান হাদির ওপর হামলাকে বিচ্ছিন্ন ঘটনা মনে করছে না বিএনপি
  • ছুটির দিনেও খোলা থাকবে রিটার্নিং ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়
  • ওসমান হাদির ওপর হামলার পর পানছড়ি সীমান্তে নিরাপত্তা জোরদার
  • ১২ ঘণ্টায়ও নিয়ন্ত্রণে আসেনি জাবালে নূর টাওয়ারের আগুন
  • চট্টগ্রাম-১৫ আসনে বিএনপি’র প্রার্থীকে জরিমানার পর শোকজ
  • আফগানিস্তানকে ৩ উইকেটে হারাল বাংলাদেশ
  • ডেঙ্গুতে একদিনে আক্রান্ত ৫৭২
  • আজ রবিবার, ২৯ অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ | ১৪ ডিসেম্বর, ২০২৫
    দেশজুড়ে

    দাউদকান্দিতে পারিবারিক কলহের জেরে যুবক নিহত

    মো. ইব্রাহীম খলিল মোল্লা, মেঘনা (কুমিল্লা) প্রতিনিধি প্রকাশ: ২৬ এপ্রিল ২০২৫, ০৬:৪৬ পিএম
    মো. ইব্রাহীম খলিল মোল্লা, মেঘনা (কুমিল্লা) প্রতিনিধি প্রকাশ: ২৬ এপ্রিল ২০২৫, ০৬:৪৬ পিএম

    দাউদকান্দিতে পারিবারিক কলহের জেরে যুবক নিহত

    মো. ইব্রাহীম খলিল মোল্লা, মেঘনা (কুমিল্লা) প্রতিনিধি প্রকাশ: ২৬ এপ্রিল ২০২৫, ০৬:৪৬ পিএম

    কুমিল্লার দাউদকান্দি উপজেলায় পারিবারিক কলহের জেরে কাইয়ুম মিয়া (৩৫) নামের এক যুবকের মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় নিহতের পরিবার হত্যা করার অভিযোগ তুলেছে।

    শনিবার (২৬ এপ্রিল) ভোর ১টার দিকে উপজেলার মারুকা ইউনিয়নের চক্রতলা কলনীপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

    নিহত কাইয়ুম উপজেলার দৌলতপুর গ্রামের জালাল উদ্দিন মিয়ার ছেলে। তিনি স্ত্রী ও এক সন্তান নিয়ে শ্বশুরবাড়ির পাশে বসবাস করতেন।

    পরিবারের সদস্যদের ভাষ্য, প্রায় ১১ বছর আগে কাইয়ুমের বিয়ে হয় চক্রতলা কলনীপাড়া গ্রামের মৃত নূরু মিয়ার মেয়ে আঁখি আক্তারের সঙ্গে। বিয়ের কয়েক বছর পর থেকেই দাম্পত্য কলহ শুরু হয়। ছেলের সংসার টিকিয়ে রাখতে বাবা জালাল উদ্দিন এক লাখ ৯০ হাজার টাকা দিয়ে কাইয়ুমকে আলাদা করে দেন। এরপর থেকে কাইয়ুম স্ত্রী-সন্তান নিয়ে শ্বশুরবাড়ির পাশেই বসবাস করতেন।

    নিহতের বাবা জালাল উদ্দিন বলেন, “ছেলেকে আলাদা করে দেওয়ার পর থেকে তার সঙ্গে আমাদের তেমন যোগাযোগ ছিল না। তবে মাঝেমধ্যে শুনতাম, ঝগড়াঝাটির সময় আঁখির বড় ভাই তাজুল ইসলাম ও মামা আবুল হোসেন আমার ছেলেকে মারধর করত।”

    তিনি আরও বলেন, “শনিবার ভোরে বড় মেয়ে ফোন করে জানায়, কাইয়ুম গলায় ফাঁস দিয়েছে। ছুটে গিয়ে দেখি, তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। গলায় ফাঁসের কোনো দাগ ছিল না। আমরা নিশ্চিত, আঁখি, তার ভাই ও মামা মিলে কাইয়ুমকে হত্যা করে আত্মহত্যার নাটক সাজিয়েছে। আমরা এর সুষ্ঠু বিচার চাই।”

    ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত আঁখি আক্তার, তার বড় ভাই তাজুল ইসলাম ও মামা আবুল হোসেন পলাতক বলে জানান স্থানীয় বাসিন্দারা। তারা বলেন, কাইয়ুমের মৃত্যুর পরই তারা বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে যান।

    দাউদকান্দি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জুনায়েত চৌধুরী বলেন, “ভোরে স্থানীয়দের কাছ থেকে খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে থানায় আনে। সুরতহাল প্রতিবেদনে গলায় কোনো ফাঁসের দাগ পাওয়া যায়নি। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পাওয়ার পর মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে।”

    এইচএ

    সম্পর্কিত:

    সম্পর্কিত তথ্য খুঁজে পাওয়া যায়নি

    Loading…