এইমাত্র
  • দেশের সব নির্বাচন অফিসে নিরাপত্তা জোরদারের নির্দেশ
  • স্বামীকে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে হত্যার অভিযোগ, স্ত্রী ও প্রেমিক আটক
  • রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ বন্দে ট্রাম্পের সঙ্গে আলোচনা চান এরদোয়ান
  • ওসমান হাদির ওপর হামলাকে বিচ্ছিন্ন ঘটনা মনে করছে না বিএনপি
  • ছুটির দিনেও খোলা থাকবে রিটার্নিং ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়
  • ওসমান হাদির ওপর হামলার পর পানছড়ি সীমান্তে নিরাপত্তা জোরদার
  • ১২ ঘণ্টায়ও নিয়ন্ত্রণে আসেনি জাবালে নূর টাওয়ারের আগুন
  • চট্টগ্রাম-১৫ আসনে বিএনপি’র প্রার্থীকে জরিমানার পর শোকজ
  • আফগানিস্তানকে ৩ উইকেটে হারাল বাংলাদেশ
  • ডেঙ্গুতে একদিনে আক্রান্ত ৫৭২
  • আজ রবিবার, ২৯ অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ | ১৪ ডিসেম্বর, ২০২৫
    জাতীয়

    নির্বাসিত কবি দাউদ হায়দার মারা গেছেন

    সময়ের কণ্ঠস্বর ডেস্ক প্রকাশ: ২৭ এপ্রিল ২০২৫, ০২:৫৯ পিএম
    সময়ের কণ্ঠস্বর ডেস্ক প্রকাশ: ২৭ এপ্রিল ২০২৫, ০২:৫৯ পিএম

    নির্বাসিত কবি দাউদ হায়দার মারা গেছেন

    সময়ের কণ্ঠস্বর ডেস্ক প্রকাশ: ২৭ এপ্রিল ২০২৫, ০২:৫৯ পিএম

    জার্মানে নির্বাসিত কবি দাউদ হায়দার (৭৩) মারা গেছেন। শনিবার (২৬ এপ্রিল) রাতে জার্মানির রাজধানী বার্লিনের একটি বয়স্ক নিরাময় কেন্দ্রে মৃত্যু হয় তার। দাউদ হায়দারের ভাতিজি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক শাওন্তী হায়দার গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, স্থানীয় সময় রাত ৯টা ২০ মিনিটে মারা গেছেন তার চাচা।

    ১৯৭৪ সালে দেশ ছাড়ার পর কয়েকবছর কলকাতায় কাটিয়ে ১৯৮৭ সালে সেখান থেকে জার্মানিতে চলে যান দাউদ হায়দার। কবি বার্লিনের রাইনিকেডর্ফ এলাকায় একটি ভবনের ১২ তলায় একটি ফ্লাটে একাকী থাকতেন। চিরকুমার দাউদ হায়দার আগে থেকেই নানা শারীরিক জটিলতায় ভুগছিলেন।

    সবশেষে, ২০২৪ এর ডিসেম্বরে বার্লিনের বাসার সিঁড়িতে পড়ে গিয়ে তিনি মাথায় আঘাত পান। সে সময় তাকে হাসপাতালের আইসিইউতেও নিতে হয়। এরপর হাসপাতাল ছাড়লেও আর সুস্থ জীবনে ফিরতে পারেননি দাউদ হায়দার। ১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি পাবনায় দাউদ হায়দারের জন্ম। তিনি একাধারে কবি, লেখক এবং তিনি দৈনিক সংবাদের সাহিত্য সম্পাদক ছিলেন।

    ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দেওয়ার অভিযোগে ১৯৭৪ সালে কবি দাউদ হায়দার নির্বাসিত হয়েছিলেন।কারন ৭৪ এর ২৪ ফেব্রুয়ারি দৈনিক সংবাদ পত্রিকায় তার কবিতা ‘কালো সূর্যের কালো জ্যোৎস্নায় কালো বন্যায়’ প্রকাশিত হলে ‘ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের’ অভিযোগে সেসময় তার বিরূদ্ধে মামলা হয়। কারণ কবিতার এক পংক্তিতে তিনি নবিজি (সা.) ও যিশুখ্রিষ্টকে গালি দেন। তিনি গৌতম বুদ্ধকেও গালি দিয়েছেন। এরপর শুরু হয় তার বিরুদ্ধে আন্দোলন, পরে ১১ মার্চ তাকে আটক করে পুলিশ। জনরোষ থেকে বাঁচাতে তাকে জেলে রাখা হয়। জেলখানায় তাকে কয়েদিরা মারপিট করে। কিছুদিন পর জেল থেকে মুক্তি দিয়ে ২১ মে সকালে বাংলাদেশ বিমানের একটি ফ্লাইটে তাকে কলকাতায় পাঠানো হয়।

    স্বাধীনতার পর দাউদ হায়দারই প্রথম লেখক, যাকে লেখালেখির কারণে নির্বাসনে যেতে হয়। ৫০ বছর ধরে তিনি নির্বাসনে ছিলেন। এজীবিত অবস্থায় এরপর তিনি আর দেশে ফিরতে পারেননি। কোনো সরকারই তাকে আসার অনুমতি দেয়নি।

    এবি

    সম্পর্কিত:

    সম্পর্কিত তথ্য খুঁজে পাওয়া যায়নি

    Loading…