এইমাত্র
  • সদরপুরে প্রার্থীদের নিজ উদ্যোগে নির্বাচনী ব্যানার অপসারণ
  • শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস আজ
  • শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে রাষ্ট্রপতির শ্রদ্ধা
  • শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা জানালেন প্রধান উপদেষ্টা
  • দেশের সব নির্বাচন অফিসে নিরাপত্তা জোরদারের নির্দেশ
  • স্বামীকে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে হত্যার অভিযোগ, স্ত্রী ও প্রেমিক আটক
  • রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ বন্দে ট্রাম্পের সঙ্গে আলোচনা চান এরদোয়ান
  • ওসমান হাদির ওপর হামলাকে বিচ্ছিন্ন ঘটনা মনে করছে না বিএনপি
  • ছুটির দিনেও খোলা থাকবে রিটার্নিং ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়
  • ওসমান হাদির ওপর হামলার পর পানছড়ি সীমান্তে নিরাপত্তা জোরদার
  • আজ রবিবার, ৩০ অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ | ১৪ ডিসেম্বর, ২০২৫
    দেশজুড়ে

    তদন্তের মুখে প্রকল্প, উঠছে দুর্নীতির অভিযোগ

    চট্টগ্রাম ওয়াসার স্মার্ট মিটারে ‘অস্মার্ট’ ব্যর্থতা

    গাজী গোফরান, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট (চট্টগ্রাম) প্রকাশ: ২৭ এপ্রিল ২০২৫, ০৫:০৩ পিএম
    গাজী গোফরান, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট (চট্টগ্রাম) প্রকাশ: ২৭ এপ্রিল ২০২৫, ০৫:০৩ পিএম

    চট্টগ্রাম ওয়াসার স্মার্ট মিটারে ‘অস্মার্ট’ ব্যর্থতা

    গাজী গোফরান, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট (চট্টগ্রাম) প্রকাশ: ২৭ এপ্রিল ২০২৫, ০৫:০৩ পিএম

    ডিজিটালাইজেশনের স্বপ্নে বিভোর হয়ে চট্টগ্রাম ওয়াসা নগরবাসীকে যখন স্মার্ট মিটারের আশ্বাস দিয়েছিল, তখন কেউ কল্পনাও করেনি যে আধুনিকতার আড়ালে অনিয়ম ও দুর্নীতির কদর্য চিত্র প্রকাশ পাবে। ৫ কোটি ৭৯ লাখ টাকা ব্যয়ে তিন হাজার স্মার্ট মিটার বসানোর পাইলট প্রকল্প এখন নানা ত্রুটি ও ব্যর্থতার বেড়াজালে আটকে পড়েছে।

    প্রথম ধাপে নগরীর চান্দগাঁও জোনে তিন হাজার স্মার্ট মিটার স্থাপনের লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়। উদ্দেশ্য ছিল মিটার রিডারদের মানবিক ত্রুটি দূর করা, পানির অপচয় ও চুরি কমানো এবং স্বয়ংক্রিয় বিলিংয়ের মাধ্যমে রাজস্ব আদায় বাড়ানো। কিন্তু বাস্তবে মিটার স্থাপনের পর থেকেই বিলিং সিস্টেমে একের পর এক সমস্যা দেখা দেয়। ওয়াসার রাজস্ব বিভাগও স্বীকার করেছে, স্মার্ট মিটার প্রত্যাশিত সাফল্য আনতে পারেনি।

    প্রকল্পের দেখভাল করছিলেন ওয়াসার সিস্টেম অ্যানালিস্ট শফিকুল বাশার। স্থানীয় ও জাতীয় গণমাধ্যমে দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগ প্রকাশের পর স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় গত বছরের ৭ সেপ্টেম্বর তদন্ত কমিটি গঠন করে। দুই দিনব্যাপী তদন্তের মাঝপথেই শফিকুল বাশার এক বছরের শিক্ষা ছুটি নিয়ে দুবাই পাড়ি জমান। তদন্তের মুখোমুখি হওয়ার বদলে যেন মরুভূমির ধুলোর মধ্যে হারিয়ে যান তিনি।

    তাঁর অনুপস্থিতিতে প্রকল্পের দায়িত্ব দেওয়া হয় স্ত্রী ও ওয়াসার একই বিভাগের কম্পিউটার প্রোগ্রামার লুৎফি জাহানকে। তাঁর তত্ত্বাবধানে স্মার্ট মিটার স্থাপনের কাজ শেষ হলেও প্রকল্পের গুণগত মানে কোনো ইতিবাচক পরিবর্তন আসেনি।

    লুৎফি জাহানের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি, যা প্রকল্প ঘিরে সন্দেহ আরও ঘনীভূত করেছে।

    স্মার্ট মিটার সরবরাহ ও স্থাপনার কাজ করে যুক্তরাষ্ট্রের একটি প্রতিষ্ঠানের স্থানীয় এজেন্ট ‘পদ্মা স্মার্ট টেকনোলজি’। মিটার বসানোর আগে ওয়াসা কর্তৃপক্ষ দাবি করেছিল, মিটার রিডারদের ওপর নির্ভরতা কমবে এবং সরাসরি সার্ভারে স্বয়ংক্রিয়ভাবে রিডিং পাঠানো হবে। এতে রাজস্ব ব্যবস্থাপনায় স্বচ্ছতা আসবে এবং পানির অপচয় হ্রাস পাবে। কিন্তু বাস্তবে দেখা যাচ্ছে, মাস শেষে বিল নিয়ে গ্রাহক যেমন বিভ্রান্ত, তেমনি ওয়াসার রাজস্ব বিভাগও পড়েছে নানাবিধ জটিলতায়।

    চট্টগ্রাম ওয়াসার প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা রুমন দে জানান, স্মার্ট মিটারে কিছু ত্রুটি পাওয়া গেছে, যা বাণিজ্যিক বিভাগকে নোট আকারে জানানো হয়েছে। তবে তিনি দাবি করেন, স্মার্ট মিটার চালুর পর সিস্টেম লস ৩৫ শতাংশ থেকে কমে ২২ শতাংশে নেমে এসেছে।

    উল্লেখ্য, ২০২০ সালের শুরুতে পরীক্ষামূলকভাবে লালখানবাজারের হাই লেভেল রোড ও বাঘঘোনায় পাঁচটি স্মার্ট মিটার স্থাপন করেছিল চট্টগ্রাম ওয়াসা। পরীক্ষার ফল ইতিবাচক আসায় এবং বুয়েটের পরীক্ষাসনদ পাওয়ার পরই বৃহত্তর পাইলট প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়। কিন্তু হাতে-কলমে সফল প্রমাণিত হলেও বাস্তবে এসে তা যেন রূপ নিয়েছে অনিয়ম আর দুর্নীতির এক ‘মিথ্যার উৎসবে’।

    এসআর

    সম্পর্কিত:

    সম্পর্কিত তথ্য খুঁজে পাওয়া যায়নি

    Loading…