এইমাত্র
  • সদরপুরে প্রার্থীদের নিজ উদ্যোগে নির্বাচনী ব্যানার অপসারণ
  • শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস আজ
  • শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে রাষ্ট্রপতির শ্রদ্ধা
  • শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা জানালেন প্রধান উপদেষ্টা
  • দেশের সব নির্বাচন অফিসে নিরাপত্তা জোরদারের নির্দেশ
  • স্বামীকে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে হত্যার অভিযোগ, স্ত্রী ও প্রেমিক আটক
  • রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ বন্দে ট্রাম্পের সঙ্গে আলোচনা চান এরদোয়ান
  • ওসমান হাদির ওপর হামলাকে বিচ্ছিন্ন ঘটনা মনে করছে না বিএনপি
  • ছুটির দিনেও খোলা থাকবে রিটার্নিং ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়
  • ওসমান হাদির ওপর হামলার পর পানছড়ি সীমান্তে নিরাপত্তা জোরদার
  • আজ রবিবার, ৩০ অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ | ১৪ ডিসেম্বর, ২০২৫
    দেশজুড়ে

    ‘বায়োচারে’ ফসলের জমিতে বাড়বে মাটির গুণ, ফলবে অধিক ফলন: বিনার উদ্ভাবন

    মো. রিয়াজ হোসাইন, বাকৃ‌বি প্রতি‌নি‌ধি প্রকাশ: ২৯ এপ্রিল ২০২৫, ০৯:৪৮ পিএম
    মো. রিয়াজ হোসাইন, বাকৃ‌বি প্রতি‌নি‌ধি প্রকাশ: ২৯ এপ্রিল ২০২৫, ০৯:৪৮ পিএম

    ‘বায়োচারে’ ফসলের জমিতে বাড়বে মাটির গুণ, ফলবে অধিক ফলন: বিনার উদ্ভাবন

    মো. রিয়াজ হোসাইন, বাকৃ‌বি প্রতি‌নি‌ধি প্রকাশ: ২৯ এপ্রিল ২০২৫, ০৯:৪৮ পিএম

    বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের (বিনা) কৃষি প্রকৌশল বিভাগের একদল গবেষক নতুন একটি যন্ত্র উদ্ভাবন করেছেন। এই যন্ত্রটি কম খরচে গৃহস্থালি ও ফসলের অবশিষ্টাংশ প্রক্রিয়াজাত করে বায়োচার তৈরি করতে সক্ষম। যার সাহা‌য্যে প্রতিদিন ১০০-১৫০ কেজি বা‌য়োচার উৎপাদন ক‌রা যায়, কার্বনের পরিমাণ সনাতন পদ্ধ‌তি‌তে তৈরী বা‌য়োচা‌রের তুলনায় বে‌শি এবং মানও উন্নত। এই বায়োচার প্রয়ো‌গের ফ‌লে অম্লতা হ্রাস পায়, মাটিতে জৈব কার্বনের পরিমাণ বৃদ্ধি পায় এবং উপকারী অণুজীব সক্রিয় হয়।

    এছাড়াও, মাটির পানি ধারণক্ষমতা বাড়ে এবং রাসায়নিক সারের উপর নির্ভরতা কমে। গবেষকদের মতে, এই প্রযুক্তি দেশের কৃষি খাতে টেকসই উৎপাদন ও জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

    এই যন্ত্রটির প্রধান উদ্ভাবক ছিলেন বিনার বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মো. আকতারুল ইসলাম এবং সহযোগী গবেষক ছিলেন বিনার মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ও কৃষি প্রকৌশল বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ড. মো. হোসেন আলী। 'বিনার গবেষণা কার্যক্রম শক্তিশালীকরণ প্রকল্প'-এর আওতায় তিন বছরব্যাপী গবেষণার মাধ্যমে যন্ত্রটি উদ্ভাবন করা হয়। ইতোমধ্যে গবেষণাপত্রটি একটি আন্তর্জাতিক জার্নালে জমা দেওয়া হয়েছে।

    মো. আকতারুল ইসলাম জানান, সাধারণ গৃহস্থালি ও ফসলের অবশিষ্টাংশ যেমন পাটকাঠি, ধানের খড়, সরিষার গাছ ইত্যাদি অক্সিজেনের অনুপস্থিতিতে তাপ প্রয়োগ করে বায়োচার তৈরি করা হয়। এই প্রক্রিয়াকে বলা হয় পাইরোলাইসিস। উন্মুক্তভাবে জৈববস্তু পোড়ালে পরিবেশে কার্বন ডাই-অক্সাইড ও অন্যান্য দূষণ ছড়ায়, কিন্তু এই যন্ত্র ব্যবহারে তা নিয়ন্ত্রণে থাকে।

    ‘বিনা বায়োচার যন্ত্র’ ৩ হাজার ওয়াটের ইলেকট্রিক হিটিং কয়েল দ্বারা চালিত এবং ৯০০° সেলসিয়াস পর্যন্ত তাপমাত্রা বজায় রাখতে পারে। যন্ত্রটিতে দ্বি-স্তরবিশিষ্ট চেম্বার ব্যবহৃত হয়েছে, যার মাঝে গ্লাসউল থাকায় তাপের অপচয় রোধ হয়।

    যন্ত্র ব্যবহারে সতর্কতার বিষয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, বায়োচার তৈরির সময় অবশ্যই শুকনো জৈববস্তু ব্যবহার করতে হবে এবং নির্দিষ্ট উপকরণের জন্য উপযুক্ত তাপমাত্রা নির্ধারণ করতে হবে। উদাহরণস্বরূপ, ধানের খড়ের জন্য ৩০০° সেলসিয়াস এবং পাটকাঠির জন্য ৪০০° সেলসিয়াস তাপমাত্রা প্রযোজ্য।

    তিনি আরও জানান, বিনার উদ্ভাবিত এই যন্ত্র বর্তমানে ন্যাশনাল ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ার্কশপ, কেওয়াটখালী, ময়মনসিংহ এবং এগ্রিটেক ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ার্কশপ, পীরগঞ্জ, রংপুরে তৈরি ও সরবরাহ করা হচ্ছে।

    এনআই

    সম্পর্কিত:

    সম্পর্কিত তথ্য খুঁজে পাওয়া যায়নি

    Loading…