যাদের একাধিক জাতীয় পরিচয়পত্র ছিল, তাদের প্রথমটি কার্যকর রেখে দ্বিতীয়টি বাতিল করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগের মহাপরিচালক এ এস এম হুমায়ুন কবীর।
সোমবার (১৯ মে) দুপুরে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশন ভবনে তিনি এ কথা জানান।
ডিজি হুমায়ুন কবীর বলেন, ‘দুটি জাতীয় পরিচয়পত্রধারী ৫৮৬ জনকে শনাক্ত করেছিলাম, তাদেরকে আমরা নিষ্কৃতি দিয়েছি। যেহেতু দুটো ছিল, তাই লক ছিল; তারা কোনোভাবে নাগরিক সেবা নিতে পারছিলেন না। যেহেতু প্রথমটা রেখে দ্বিতীয়টি বাতিল করে দিয়েছে, এখন তাদের প্রথম এনআইডি ওপেন হয়ে গেছে। তারা এখন নাগরিক সেবা পাবেন।’
তিনি বলেন, ‘একই ব্যক্তির দুটি এনআইডি বা ভোটার তালিকায় দুটি তথ্য রয়েছে-ইসির সিদ্ধান্তক্রমে প্রথমটি রেখে দ্বিতীয়টি বাতিল করে দিয়েছি। এ মুহুর্তে আমাদের জানামতে দুটি এনআইডি আর কারও নেই।’
সাড়ে ১২ কোটিরও বেশি নাগরিকের তথ্য রয়েছে ইসির এনআইডি ডেটাবেজে। এ তথ্যভাণ্ডার থেকে কখনও কখনও তথ্য ফাঁসের ঘটনা ঘটছে। তথ্য ফাঁসের ঝুঁকি রোধে এখন সব ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলে জানাস ডিজি হুমায়ুন কবীর।
ডিজি বলেন, ‘আমাদের ডেটা সেন্টার যেহেতু ২৪ ঘণ্টা চলে, এটা মাঝে মাঝে আমরা একটু বন্ধ করি, আবার চালু করি। মেইনটেইনেন্সের জন্য যেমন পরশুদিনও (শনিবারও) আমরা করেছিলাম, ৪ ঘণ্টা পর চালু করতে পেরেছি। এরকম রেগুলার মেইনটেইন্স হিসেবে আমরা কাজ করি।’
তিনি আরও বলেন, ‘মেইনটেইন্সের ধারাবাহিকতায় ডেটা সেন্টার নিজস্ব জলবল দিয়ে চেক করা হয়েছিল। কোনো সুবিধা-অসুবিধা রয়েছে কি না, আপডেটেড রয়েছে কি না। আমাদের অবস্থান থেকে যতগুলো ইনোশিয়েটিভ নেওয়া দরকার, সে ব্যবস্থাগুলো নিয়েছি। এখন আমাদের এ ডেটা সেন্টার পরিপূর্ণ নিরাপদ।’
এমআর-২