এইমাত্র
  • সদরপুরে প্রার্থীদের নিজ উদ্যোগে নির্বাচনী ব্যানার অপসারণ
  • শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস আজ
  • শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে রাষ্ট্রপতির শ্রদ্ধা
  • শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা জানালেন প্রধান উপদেষ্টা
  • দেশের সব নির্বাচন অফিসে নিরাপত্তা জোরদারের নির্দেশ
  • স্বামীকে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে হত্যার অভিযোগ, স্ত্রী ও প্রেমিক আটক
  • রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ বন্দে ট্রাম্পের সঙ্গে আলোচনা চান এরদোয়ান
  • ওসমান হাদির ওপর হামলাকে বিচ্ছিন্ন ঘটনা মনে করছে না বিএনপি
  • ছুটির দিনেও খোলা থাকবে রিটার্নিং ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়
  • ওসমান হাদির ওপর হামলার পর পানছড়ি সীমান্তে নিরাপত্তা জোরদার
  • আজ রবিবার, ৩০ অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ | ১৪ ডিসেম্বর, ২০২৫
    দেশজুড়ে

    জামালপুরে অর্ধশতাধিক বাড়িঘর নদীগর্ভে বিলীন

    আবদুল লতিফ লায়ন, জামালপুর প্রতিনিধি প্রকাশ: ২২ মে ২০২৫, ০৬:২২ পিএম
    আবদুল লতিফ লায়ন, জামালপুর প্রতিনিধি প্রকাশ: ২২ মে ২০২৫, ০৬:২২ পিএম

    জামালপুরে অর্ধশতাধিক বাড়িঘর নদীগর্ভে বিলীন

    আবদুল লতিফ লায়ন, জামালপুর প্রতিনিধি প্রকাশ: ২২ মে ২০২৫, ০৬:২২ পিএম

    জামালপুরের বকশীগঞ্জে গত কয়েক দিনে অর্ধশতাধিক বাড়িঘর নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। ফলে আতঙ্কের মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন এলাকার মানুষ। এছাড়াও মুন্দিপাড়া ব্রীজের মাথা থেকে মাটি সড়ে যাওয়ায় দেওয়ানগঞ্জ-বকশীগঞ্জ সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। যে কোন সময় ভেঙে পড়তে পারে ব্রীজটি। ভাঙন ঠেকাতে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি এলাকাবাসীর।

    জানা গেছে, গত কয়েক দিনের টানা ভারী বর্ষণের ফলে বেড়েছে নদ-নদীর পানি। তীব্র স্রোতে বেড়েছে ভাঙন। প্রতিদিন ভাঙছে বসতভিটা, ফসলি জমি। নিলাক্ষিয়া, মেরুরচর ও সাধুরপাড়া ইউনিয়নের প্রায় ৫০টি বসতবাড়ি নদী গর্ভে চলে গেছে।

    মেরুরচর ইউনিয়নের নতুন মুন্দী পাড়া গ্রামের বিদ্যুৎ মিয়া, সুন্দর আলী, জুয়েল মিয়া, ঘুঘরাকান্দি এলাকার ফকির আলী, গামা শেখ, সাধুরপাড়া ইউনিয়নের আইড়মারী এলাকার হাসর আলী সহ প্রায় অর্ধ শতাধিক মানুষের বাড়িঘর নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। এছাড়াও ঘুঘরাকান্দি বাজার মসজিদটি ভেঙ্গে গেছে। আতঙ্কগ্রস্থ হয়ে পড়েছেন নদীপাড়ের মানুষগুলো। অনেকেই ভয়ে নির্ঘুম রাত কাটাচ্ছেন। বৃহস্পতিবার নদীভাঙন এলাকা পরিদর্শন করেছেন মেরুরচর ইউপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জাহিদুল ইসলাম মঞ্জু। সংশ্নিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে দ্রুত নদীভাঙন রোধে ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দেন তিনি।

    ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্থ জুয়েল মিয়া বলেন, এর আগেও বেশ কয়েকবার নদী ভাঙনের শিকার হয়েছেন। এবার তীব্র ভাঙনে বাড়িঘর নদী গর্ভে চলে গেছে। এখানকার ক্ষতিগ্রস্থ মানুষ অতি দরিদ্র্র কৃষক। তাদের অনেকের নতুন করে ঘর তোলার সামর্থ্য নেই।

    ঘুঘরাকান্দি এলাকার ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্থ ফকির আলী, গামা শেখ, হাসেম আলী, মকবুল শেখ বলেন, তাদের সবাই কমবেশি ভাঙনের শিকার। ভাঙনে সহায় সম্বল বলতে যা ছিল, তার সব শেষ হয়ে গেছে। ফসলি জমিও নদীতে চলে যাচ্ছে। বারবার আবেদন করা হলেও ভাঙন রোধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না বলে অভিযোগ তাদের।


    মেরুরচর ইউপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জাহিদুল ইসলাম মঞ্জু বলেন, নদী ভাঙনকবলিত এলাকা পরিদর্শন করেছি। ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্থদের তালিকা করা হচ্ছে। তাদের সব ধরনের সহযোগীতা করা হবে।

    বকশীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মাসুদ রানা জানান, মুন্দিপাড়া ব্রীজটির এপ্রোচ ধসে যাওয়ার খবর পেয়েই সংস্কারের জন্য দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। চলাচলের জন্য আরেকটি সাকোর ব্যবস্থা করা হবে জানিয়ে তিনি আরো বলেন, ইতোমধ্যে নদীভাঙনে যারা ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছেন তাদের তালিকা হচ্ছে,প্রয়োজনীয় সহযোগীতা করা হবে।

    এইচএ

    সম্পর্কিত:

    সম্পর্কিত তথ্য খুঁজে পাওয়া যায়নি

    Loading…