এইমাত্র
  • সদরপুরে প্রার্থীদের নিজ উদ্যোগে নির্বাচনী ব্যানার অপসারণ
  • শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস আজ
  • শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে রাষ্ট্রপতির শ্রদ্ধা
  • শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা জানালেন প্রধান উপদেষ্টা
  • দেশের সব নির্বাচন অফিসে নিরাপত্তা জোরদারের নির্দেশ
  • স্বামীকে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে হত্যার অভিযোগ, স্ত্রী ও প্রেমিক আটক
  • রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ বন্দে ট্রাম্পের সঙ্গে আলোচনা চান এরদোয়ান
  • ওসমান হাদির ওপর হামলাকে বিচ্ছিন্ন ঘটনা মনে করছে না বিএনপি
  • ছুটির দিনেও খোলা থাকবে রিটার্নিং ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়
  • ওসমান হাদির ওপর হামলার পর পানছড়ি সীমান্তে নিরাপত্তা জোরদার
  • আজ রবিবার, ৩০ অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ | ১৪ ডিসেম্বর, ২০২৫
    বিনোদন

    শাকিব খানের সিনেমার সঙ্গে অন্য সিনেমার প্রতিযোগিতা হয় না: মন্দিরা চক্রবর্তী

    বিনোদন প্রতিবেদক প্রকাশ: ২৫ মে ২০২৫, ০৮:২৮ পিএম
    বিনোদন প্রতিবেদক প্রকাশ: ২৫ মে ২০২৫, ০৮:২৮ পিএম

    শাকিব খানের সিনেমার সঙ্গে অন্য সিনেমার প্রতিযোগিতা হয় না: মন্দিরা চক্রবর্তী

    বিনোদন প্রতিবেদক প্রকাশ: ২৫ মে ২০২৫, ০৮:২৮ পিএম

    'কাজল রেখা'র পর ফের রুপালি পর্দায় হাজির হচ্ছেন তরুণ প্রজন্মের অভিনেত্রী মন্দিরা চক্রবর্তী। আসন্ন ঈদে মুক্তি পাচ্ছে ‘নীল চক্র’। মিঠু খান পরিচালিত এই সিনেমায় অভিনয় করেছেন তিনি। নতুন সিনেমা ও প্রাসঙ্গিক বিষয় নিয়ে তার সঙ্গে কথা বলেছে সময়ের কণ্ঠস্বর।

    সিনেমাটি নিয়ে কেমন প্রত্যাশা করছেন?

    'নীল চক্র' নিয়ে প্রত্যাশা অনেক। প্রথম সিনেমা ‘কাজল রেখা’য় অভিনয় করে দর্শকদের যে অফুরন্ত ভালোবাসা পেয়েছি, 'নীল চক্র' থেকে আরও বেশি ভালোবাসা পাব বলে মনে করছি। কারণ অভিনয়ে নিজেকে আমি আরও বুঝেশুনে চরিত্রানুযায়ী উপস্থাপন করার চেষ্টা করেছি। সিনেমাটি নিয়ে আমি সত্যিই খুব এক্সাইটেড।

    ঈদের বাজারে 'নীল চক্র' কতটুকু প্রতিযোগিতা করতে পারবে বলে মনে করছেন?

    বছরের অন্য সময়ের তুলনায় ঈদে সিনেমা মুক্তির সংখ্যা বেশি থাকে। প্রতিটি সিনেমা নিয়ে দর্শকদের বাড়তি আগ্রহও লক্ষণীয়। এখানে আমি কোনো প্রতিযোগিতা মনে করছি না এবং সেটা সম্ভবও নয়। কারণ শাকিব খানের সিনেমার সঙ্গে অন্য সিনেমার প্রতিযোগিতা হয় না। বিষয়টি প্রতিযোগিতা নয়, ঈদ আয়োজনে অংশ নেওয়া।

    দর্শক টানার মতো সিনেমাটিতে এমন কী আছে?

    সিনেমার গল্পটা এই সময়ের। এতে দেখা যাবে প্রযুক্তির কল্যাণে নতুন প্রজন্ম যেমন সামনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে, তেমনি পা দিচ্ছে নানান ফাঁদেও। শিশুকিশোর থেকে শুরু করে বৃদ্ধ বয়স পর্যন্ত সব শ্রেণির দর্শকদের সিনেমা 'নীল চক্র'। খুবই মজার ও শিক্ষণীয় একটি গল্প তুলে ধরেছেন পরিচালক মিঠু খান।

    চরিত্রের কতটুকু উপস্থাপন করতে পেরেছেন বলে মনে করেন?

    'নীল চক্র'তে আমি রাইমা চরিত্রে অভিনয় করেছি। প্রস্তুতি নিয়েই ক্যামেরার সামনে দাঁড়িয়েছিলাম। চরিত্রটি ফুটিয়ে তুলতে শতভাগ চেষ্টাও করেছি। এ জন্য কোনোরকম ছাড় দিইনি। এখন দর্শক সিনেমাটি দেখে রায় দেবেন অভিনয় কতটা ভালো করতে পেরেছি। তাদের রায় মাথা পেতে নেব।

    'কাজল রেখা' থেকে 'রাইমা'। চরিত্র দুটি নিয়ে আপনার বিশ্লেষণ কী?

    দুই সিনেমার গল্প ও চরিত্র একেবারেই ভিন্ন। বিন্দুমাত্র মিল নেই সিনেমা দুটির। চারশ বছর আগের রূপকথার গল্পে নির্মিত হয়েছে 'কাজল রেখা'। সিনেমায় নাম ভূমিকায় দেখা গেছে আমাকে। এটি আমার অভিষেক সিনেমা। আর ‘নীল চক্র’র গল্পটি বর্তমান সময়ের। বাস্তব জীবনের ঘটে যাওয়া সত্য ঘটনা নিয়ে নির্মিত হয়েছে। এই সিনেমার গল্পে আমি এক মধ্যবিত্ত পরিবারের মেয়ে। একজন নৃত্যশিল্পীও। দুটি চরিত্রই আমার ক্যারিয়ারের অন্যতম মাইলফলক হয়ে থাকবে।


    অভিনেতা আরিফিন শুভর সঙ্গে অভিনয়ের অভিজ্ঞতা কেমন ছিল?

    বিজ্ঞাপন, নাটক ও সিনেমা- অভিনয়ের সব মাধ্যমেই তার অভিজ্ঞতা রয়েছে। ছোটবেলা থেকেই তার অভিনয়ের সঙ্গে পরিচিত। যার অভিনয় আমার আগে থেকেই ভালো লাগে তার সঙ্গে জুটি হয়ে কাজ করার বিষয়টি সত্যিই ভীষণ আনন্দের। শুটিং করার আগে একটু নার্ভাস ফিল করলেও সঙ্গে অভিনয় করতে গিয়ে সব ঠিক হয়ে যায়। তিনি যথেষ্ট সহযোগিতা করেছেন আমাকে।


    'নীল চক্র'র প্রচারে নিশ্চয় সময় দিচ্ছেন?

    প্রচার এখনও জোরালোভাবে শুরু হয়নি। পোস্টার প্রকাশ হয়েছে। সামনে ট্রেলার-টিজার ও গান মুক্তি পাবে। সময় ঘনিয়ে আসার সঙ্গে সঙ্গে প্রচারও বাড়বে। তবে আমাকে কয়েকটি টিভি চ্যানেলসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমের মুখোমুখি হতে হয়েছে সিনেমাটি নিয়ে।

    সিনেমার প্রচারণায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম কতটা প্রভাব ফেলছে?

    একসময় রেডিওতে ভরাট কণ্ঠে নতুন সিনেমার প্রচার শ্রোতাদের মধ্যে আগ্রহ তৈরি করত। প্রেক্ষাগৃহে মুক্তির সিনেমা নিয়ে মাইকিং, দেয়ালে সাঁটানো সুন্দর সুন্দর পোস্টার সবার দৃষ্টি কাড়ত। রিকশা কিংবা টেম্পুতে পোস্টার মোড়ানো মাইকে ভেসে আসা সিনেমা প্রচারের দিনগুলো এখনও খুব মনে পড়ে। সময়ের পরিবর্তনে এখন সিনেমা প্রচারের ধারা পাল্টে গেছে। প্রচারের জন্য বেছে নেওয়া হয়েছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম। এখানে সিনেমার পোস্টার-ট্রিলার-টিজার প্রকাশ হচ্ছে। তবে এতে একটু ঘাটতি থেকে যায়। যারা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারে অভ্যস্ত নন কিংবা নেট থেকে দূরে তাদের কাছে সিনেমার খবরটি যথাসময়ে পৌঁছে না।


    অনেকেই বলছেন দেশীয় চলচ্চিত্রে সুদিন ফিরছে। আপনিও কি একমত?

    কয়েক বছর আগেও সিনেমার অবস্থা ভালো ছিল না। 'পরাণ' মুক্তির পর থেকে সিনেমা হলে দর্শক আসতে শুরু করেছে। প্রতি বছর কিছু সিনেমা ভালো ব্যবসা করছে। গত কয়েক বছরে 'পরাণ', 'হাওয়া', 'কাজল রেখা', 'প্রিয়তমা', 'রাজকুমার'সহ অনেক সিনেমা সাফল্যের মুখ দেখেছে। গত ঈদের সিনেমাগুলোও দর্শকদের মন ভরিয়েছে। হলিউড-বলিউড স্টাইলে সিনেমা নির্মাণের চেষ্টা চলছে। দেশের গণ্ডি পেরিয়ে আন্তর্জাতিক বাজারেও প্রভাব ফেলছে বাংলাদেশের সিনেমা। এসব ঢাকাই সিনেমার সুদিনের কথাই বলছে।

    সম্পর্কিত:

    সম্পর্কিত তথ্য খুঁজে পাওয়া যায়নি

    Loading…