এইমাত্র
  • দেশের সব নির্বাচন অফিসে নিরাপত্তা জোরদারের নির্দেশ
  • স্বামীকে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে হত্যার অভিযোগ, স্ত্রী ও প্রেমিক আটক
  • রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ বন্দে ট্রাম্পের সঙ্গে আলোচনা চান এরদোয়ান
  • ওসমান হাদির ওপর হামলাকে বিচ্ছিন্ন ঘটনা মনে করছে না বিএনপি
  • ছুটির দিনেও খোলা থাকবে রিটার্নিং ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়
  • ওসমান হাদির ওপর হামলার পর পানছড়ি সীমান্তে নিরাপত্তা জোরদার
  • ১২ ঘণ্টায়ও নিয়ন্ত্রণে আসেনি জাবালে নূর টাওয়ারের আগুন
  • চট্টগ্রাম-১৫ আসনে বিএনপি’র প্রার্থীকে জরিমানার পর শোকজ
  • আফগানিস্তানকে ৩ উইকেটে হারাল বাংলাদেশ
  • ডেঙ্গুতে একদিনে আক্রান্ত ৫৭২
  • আজ রবিবার, ২৯ অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ | ১৪ ডিসেম্বর, ২০২৫
    দেশজুড়ে

    কুয়াকাটা ফটোগ্রাফারদের অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতি

    জুয়েল ফরাজী, কুয়াকাটা (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি প্রকাশ: ১ জুন ২০২৫, ০৩:৪১ পিএম
    জুয়েল ফরাজী, কুয়াকাটা (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি প্রকাশ: ১ জুন ২০২৫, ০৩:৪১ পিএম

    কুয়াকাটা ফটোগ্রাফারদের অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতি

    জুয়েল ফরাজী, কুয়াকাটা (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি প্রকাশ: ১ জুন ২০২৫, ০৩:৪১ পিএম

    পটুয়াখালীর কুয়াকাটা সৈকতের পেশাদার ফটোগ্রাফার সংগঠনের নেতাকর্মীরা অনির্দিষ্টকালের জন্য কর্মবিরতির ঘোষণা দিয়েছেন। কলাপাড়া উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সৈকতে পর্যটকদের অটিজির মাধ্যমে ছবি ডেলিভারি ও স্টুডিও বন্ধের সিদ্ধান্ত পরিবর্তন না করলে এ কর্মবিরতি চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছে ফটোগ্রাফাররা।

    রবিবার (০১ জুন) সকাল ১১ টায় কুয়াকাটা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে ফটোগ্রাফারদের পক্ষে মোখলেছুর রহমান বাবু এই সিদ্ধান্ত জানিয়েছেন।

    সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে সৈকতের ফটোগ্রাফার মোখলেছুর রহমান বাবু বলেন, কর্মীরা গত ৩১ মে বিকেলে পর্যটন হলিডে হোমসে ফটোগ্রাফারদের নিয়ে একটি বৈঠক করেন। বৈঠকে কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও বীচ ম্যানেজমেন্ট কমিটির সদস্য সচিব মোঃ রবিউল ইসলাম সৈকতের ফটোগ্রাফারদের সৈকতে বসে পর্যটকদের মাঝে অটিজির মাধ্যমে সাথে সাথে ছবি ডেলিভারি দেওয়া ও স্টুডিও বন্ধের জন্য আগামী ৩ জুন পর্যন্ত তিন দিনের আল্টিমেটাম দেন। উপজেলা প্রশাসনের এ সিদ্ধান্ত অমান্য করলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

    সৈকতের ফটোগ্রাফাররা উপজেলা প্রশাসনের এমন সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে আজ রবিবার সকাল থেকে কর্মবিরতির ঘোষণা দিয়েছেন। যতদিন পর্যন্ত উপজেলা প্রশাসন তাদের সিদ্ধান্ত পরিবর্তন না করবেন, ততদিন এ কর্মবিরতি চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন ফটোগ্রাফাররা।

    সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ফটোগ্রাফাররা জানান, তাদের নিজস্ব কোনো ক্যামেরা নেই। স্টুডিও থেকে ক্যামেরা নিয়ে তারা পর্যটকদের ছবি তুলে জীবিকা নির্বাহ করে আসছেন। প্রত্যেক ক্যামেরাম্যানের ৪০-৫০ হাজার টাকা দাদন নেওয়া আছে। তাদের নিজস্ব পুঁজি নেই। নতুন করে ডিজিটাল ক্যামেরা কেনার সামর্থ্য নেই। দাদন শোধ করার মতো অর্থ নেই তাদের।

    তারা আরো বলেন, সৈকতে ২২১ জন পেশাদার ফটোগ্রাফার ও ২৫টি স্টুডিও রয়েছে। উপজেলা প্রশাসনের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন হলে সবাই বেকার হয়ে যাবে। ফটোগ্রাফারদের পরিবারের কথা চিন্তা না করে একতরফাভাবে এমন সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে। আমরা উপজেলা প্রশাসনের এহেন সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানাচ্ছি। খুব শীঘ্রই যাতে উপজেলা প্রশাসন সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করে ফটোগ্রাফাররা আগের মতো ছবি তুলে জীবনযাপন করতে পারে, তার দাবি জানিয়েছেন। এসময় তারা ছবি তুলে পর্যটকদের তাৎক্ষণিক সরবরাহ করার অপকারিতা সম্পর্কে গণমাধ্যমকর্মীদের অবহিত করেন।

    আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসময় শতাধিক ফটোগ্রাফার উপস্থিত ছিলেন।

    এসআর

    সম্পর্কিত:

    সম্পর্কিত তথ্য খুঁজে পাওয়া যায়নি

    Loading…