স্বাধীনতার পরে বাংলাদেশের কৃষি সেক্টরে যে গবেষণা ও উন্নতি হয়েছে তা অভাবনীয় বলে মন্তব্য করেছেন হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (হাবিপ্রবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. এনামউল্যা।
শনিবার (১৭ মে) বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট অব রিসার্চ অ্যান্ড ট্রেনিং (আইআরটি) আয়োজিত ‘ইন্টারডিসিপ্লিনারি রিসার্চ অ্যান্ড সাস্টেইনেবল ইকোনমি’ শীর্ষক প্রশিক্ষণ কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
অধ্যাপক ড. মো. এনামউল্যা বলেন, গবেষণার ক্ষেত্রে যে গবেষণা সাস্টেইনেবল হবে তা সমাজ ও দেশকে সামনে এগিয়ে নিয়ে যাবে। এক্ষেত্রে আমার স্বীকার করতে দ্বিধাবোধ নেই যে, বাংলাদেশে স্বাধীনতার পরে কৃষি সেক্টরে যে গবেষণা ও উন্নতি হয়েছে তা অভাবনীয় এবং এটা সারা পৃথিবীতে প্রশংসনীয়। তবে আমাদের আরও এগিয়ে যেতে হবে।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপাচার্য আরও বলেন, বর্তমান যুগে ব্যক্তিগতভাবে আমরা অনেক গবেষণা করি এবং এক্ষেত্রে পৃথিবী অনেক এগিয়ে গেছে। কিন্তু এসব গবেষণার কালেক্টিভ রেজাল্ট আমরা খুব কমই দেখতে পারি। সময়ের প্রয়োজনে এই কালেক্টিভ রিসার্চটাকে সবার কাছে পৌঁছে দেয়ার জন্য আমাদের ইন্টারডিসিপ্লিনারি রিসার্চ খুবই দরকার। আমাদের দেশে অনেক রিসার্চ হয়, এর পেছনে আমরা অনেক সময় ব্যয় করি, কিন্তু এর অ্যাক্রেডিটেশনে আমরা যেতে পারিনা। দেখা যায় ৫/১০ বছর আগের রিসার্চের কথা আমরা ভুলে যাই, কেননা এর কোন অ্যাক্রেডিটেশন নেই, অর্থাৎ এটা সাস্টেইনেবল না। যে রিসার্চ সাস্টেইনেবল হবে সেটি নিজেকে ও সমাজকে সামনে এগিয়ে নিয়ে যাবে।
অনুষ্ঠানে গেস্ট অব অনার হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নেত্রকোনা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. খন্দকার মো. আশরাফুল মুনিম। তিনি বলেন, সব মিলিয়ে হাবিপ্রবির পরিসর বেশ বড়, এরকম একটা বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথমবার আসতে পেরে আমি আনন্দিত। তিনি আরও বলেন, আমরা গবেষণার বিষয়ে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে আন্তঃযোগাযোগ বাড়াতে পারি। এ লক্ষ্যে আমাদের একসাথে কাজ করা উচিত। এতে আমরা হয়তো নতুন এবং যুগোপযোগী ধারণা শেয়ার করতে পারবো। যা দেশের জন্যই কল্যাণকর হবে।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন হাবিপ্রবির উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. শফিকুল ইসলাম সিকদার এবং ট্রেজারার অধ্যাপক ড. এম. জাহাঙ্গীর কবির। রিসোর্স পারসন হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মেসি স্কুলের অধ্যাপক ড. শারমিন্দ নিলোৎপল।
কর্মশালায় গবেষণার টেকসই পদ্ধতি ও আন্তঃবিষয়ক গবেষণার গুরুত্ব তুলে ধরা হয়। শেষে আয়োজকদের ধন্যবাদ জানান উপাচার্য।
এসকে/আরআই