বিতর্কিত তিন জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দায়িত্বে থাকা ম্যাজিস্ট্রেটদের তথ্য সংগ্রহ করছে নির্বাচন কমিশন। একটি মামলার পর পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) তথ্য চাইলে ২০১৪, ২০১৮ ও ২০২৪ সালের ভোটের কাজে থাকা ম্যাজিস্ট্রেটদের বিষয়ে ইসি সচিবালয় এ উদ্যোগ নিলো।
সংসদ নির্বাচনে ৩০০ আসনে আচরণ বিধি প্রতিপালন এবং ভোটের দিনকে সামনে রেখে আইন শৃঙ্খলায় দেড় সহস্রাধিক নির্বাহী হাকিম নিয়োজিত থাকেন। আর বিচারিক হাকিমও থাকে চাহিদা মতো।
ইসির নির্দেশনার পরিপ্রেক্ষিতে উপসচিব মনির হোসেন স্বাক্ষরিত এ চিঠি বুধবার (৬ আগস্ট) সব জেলা প্রশাসক, ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনারের কাছে পাঠানো হয়।
এতে দশম, একাদশ ও দ্বাদশ নির্বাচনে দায়িত্ব পালনকারী ম্যাজিস্ট্রেটদের নাম-ঠিকানা, জাতীয় পরিচয়পত্র, পাসপোর্ট নম্বর ও মোবাইল নম্বরসহ আরও কিছু তথ্য পাঠাতে বলা হয়েছে।
এর আগে ৩ জুলাই বিগত ৩ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দায়িত্ব পালনকারী রিটার্নিং অফিসার, প্রিসাইডিং অফিসার, সহকারী প্রিসাইডিং অফিসার এবং পোলিং অফিসারদের বিস্তারিত তথ্য নির্বাচন কমিশনের কাছে চেয়েছিল পিবিআই।
ইসি সচিব আখতার আহমেদ বলেছিলেন, পিবিআইয়ের চাহিদা অনুযায়ী তথ্য সরবরাহের ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
দশম থেকে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে ইসি তাদের সাংবিধানিক দায়িত্ব ‘পালন না করে’ উল্টো ‘ভয়-ভীতি দেখিয়ে’ জনগণের ভোট ছাড়াই নির্বাচন সম্পন্ন করার অভিযোগে গত ২২ জুন মামলা করে বিএনপি।
ওই ৩ নির্বাচনে দায়িত্ব পালন করা নির্বাচন কমিশনের সব পদাধিকারীর পাশাপাশি ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আসামি করা হয়েছে সেখানে।
২০১৪ সালের নির্বাচনে সিইসি ছিলেন কাজী রকিব উদ্দিন আহমদ, ২০১৮ সালে কে এম নূরুল হুদা এবং ২০২৪ সালের নির্বাচনে ছিলেন কাজী হাবিবুল আউয়াল। তাদের মধ্যে নূরুল হুদা ও হাবিবুল আউয়ালকে ইতোমধ্যে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
এইচএ