নিখোঁজের ৭ দিন কেটে গেলেও এখনও খোঁজ নেই ভোলার পঞ্চম শ্রেণি পড়ুয়া শিক্ষার্থী শাহাদাত হোসেনের। আদরের সন্তানের খোঁজ না পেয়ে শোকে পাথর হয়ে আছে পুরো পরিবার। বাবা মা থেকে শুরু করে আত্মীয়স্বজন সবাই পথ চেয়ে বসে আছে শাহাদাত হোসেনের ফিরে আসার অপেক্ষায়।
জানা গেছে, গেল ২৬ নভেম্বর দুপুরে রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ হয় শাহাদাত। সে ভোলা সদর উপজেলার চরসামাইয়া ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা সাদ্দাম হোসেনের ছেলে এবং পশ্চিম চরসামাইয়া দাখিল মাদ্রাসার পঞ্চম শ্রেণির ছাত্র।
তবে শাহাদাতের পরিবারের অভিযোগ, একই মাদ্রাসার ছাত্রীদেরকে চিঠি দেওয়াকে কেন্দ্র করে ওই দিন সকালে বাড়ির সামনের রাস্তা থেকে শাহাদাতকে জোরপূর্বক ধরে নিয়ে যান তার মাদ্রাসার কেরানি শাহাজাহান এবং দপ্তরি রেজাউল করিম রিপন। পরে তাকে মাদ্রাসায় নিয়ে শিক্ষকরা কঠোর শাষণ করেন। এবং তার ব্যবহৃত সাইকেল আটকে রেখে তাকে ছেড়ে দেন। এ ঘটনার পর থেকেই নিখোঁজ হন শাহাদাত। নিখোঁজের ৭ দিন পেড়িয়ে গেলেও এখনো তার খোঁজ না পেয়ে পরিবারে নেমে এসেছে গভীর শোক আর ছেলে হারানোর বেদনা।
পশ্চিম চরসামাইয়া দাখিল মাদ্রাসার সুপার মো. খলিলুর রহমান জানান, মেয়েদের অভিযোগের ভিত্তিতে শাহাদাত ও রোহান নামের দুই ছাত্রকে ডেকে এনেছে শাহাজান ও রিপন। পরে শাহাদাতের বাবাকে তার অন্যায়ের কথা জানিয়ে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়। কিন্তু ঘটনার সময় তিনি মাদ্রাসায় ছিলেন না। পরের দিন কেরানী শাহজান তাকে বিষয়টি জানিয়েছেন। তবে শাহাদাতের নিখোঁজে তারাও দুশ্চিন্তায় রয়েছেন।
এ ঘটনার পর গেল ২৭ নভেম্বর ভোলা সদর মডেল থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন শাহাদাতের পরিবার। দ্রুত শাহাদাতকে খুঁজে পেতে প্রশাসনের সহযোগিত চান তারা।
স্থানীয়রা বলছেন, ছেলেটির অপরাধ থাকলে তার বাবা মাকে জানিয়ে সমাধান করা যেতো। তাকে জোরপূর্বক তুলে নিয়ে কড়া শাষণের জেড়ে হয়তো লজ্জায় আত্নগোপনে চলে গেছেন। শাহাদাতকে দ্রুত উদ্ধার করে তার বাবা মায়ের কাছে ফেরত দিতে প্রশাসনের কাছে দাবী জানান তারা।
দিন যতই গড়াচ্ছ শাহাদাতের বাবা মায়ের আহাজারি ততই ভারী হচ্ছে। ছেলে হারানোর শোকে বার বার মুর্ছা যাচ্ছেন মা সিকু বিবি।
ভোলা সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবু শাহাদাৎ হাচনাইন পারভেজ জানান, নিখোঁজের পরিবার থেকে একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়েছে। ছেলেটিকে খুঁজতে পুলিশ কাজ করছে।
ইখা