কুষ্টিয়া সদর উপজেলায় দিনেদুপুরে জাহানারা বেগম (৬৫) নামে এক বৃদ্ধাকে গলা কেটে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা।
সোমবার (৮ ডিসেম্বর) দুপুরে কুষ্টিয়া পৌরসভার ১২ নং ওয়ার্ডের হরিশংকরপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত জাহানারা বেগম ওই এলাকার মৃত আবুল মোল্লার স্ত্রী।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, জাহানারা বেগম বাড়িতে একাই ছিলেন। তাকে দেখভালের দায়িত্বে থাকা দুজনই বাড়ির বাইরে ছিলেন। বিকেল চারটার দিকে এক প্রতিবেশী কোন সাড়াশব্দ না পেয়ে ঘরের দরজা খুলে বিছানার উপর জাহানারা বেগমের গলাকাটা লাশ পড়ে থাকতে দেখেন। পরে স্থানীয়রা পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ এসে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠায়।
নিহত জাহানারা বেগমের দেখভাল করা মেঘলা নামে এক গৃহবধূ বলেন, ‘বেলা ১১টা পর্যন্ত বাড়িতেই ছিলাম। এরপর আমি আমার বাবার বাড়িতে গিয়েছিলাম। আমার স্বামীও কাজে বাড়ির বাইরে বের হয়ে যায়। যাওয়ার সময় বাড়ির পাশেই থাকা আমার বোনকে বিকেল চারটার দিকে এসে গবাদি পশুগুলোকে পানি খাইয়ে যেতে বলেছিলাম। তখন আমার বোন এসে কোন সাড়াশব্দ না পেয়ে দরজা খুলে দেখে গলাকাটা অবস্থায় তিনি পড়ে আছেন।’
স্থানীয়দের ভাষ্য, ‘জাহানারা বেগমের ছেলে রাজধানী ঢাকায় সরকারি চাকরি করেন। তিনি পরিবারসহ ঢাকাতেই থাকেন। বাড়ির ভাড়াটিয়া লিটন নামে এক ভ্যান চালক ও তার স্ত্রী নিহত জাহানারা বেগমের দেখভাল করতেন।’
কুষ্টিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) আব্দুল আলীম বলেন, ‘প্রাথমিকভাবে ধারণা করছি কোন নেশাগ্রস্ত লোক চুরি করতে এসেছে দেখে ফেলায় এ ঘটনা ঘটিয়েছে। এ নিয়ে অধিকতর তদন্ত চলছে।’
এনআই