নিজস্ব অর্থায়নে নির্বাচন আয়োজনে সক্ষম নয় ইউক্রেন। এক্ষেত্রে অন্যান্য দেশের অর্থায়ন প্রয়োজন হবে বলে মন্তব্য করেছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির কার্যালয়ের উপদেষ্টা মিখাইল পোদোলিয়াক।
নভোস্তি লাইভ ইউটিউব চ্যানেলকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে পোদোলিয়াক বলেন, ‘আমাদের নির্বাচনে অর্থায়ন করার কথা নয়। বাস্তবিকভাবে আমরা এটি বহন করতে পারি না, কারণ আমাদের বাজেটে ঘাটতি রয়েছে।’ তার মতে, নির্বাচনের চেয়ে বাজেটে সামরিকসহ আরও গুরুত্বপূর্ণ কিছু খাতে মোটা অঙ্কের অর্থ ব্যয় করতে হবে দেশটিকে।
গত বছরের ২০ মে প্রেসিডেন্ট হিসেবে জেলেনস্কির মেয়াদ শেষ হয়েছে। কিন্তু মার্শাল ল জারি থাকায় নিয়মিত নির্বাচন আয়োজন সম্ভব নয়–এই যুক্তি দেখিয়ে নির্বাচন থেকে বিরত থেকেছে ইউক্রেন। কিন্তু সম্প্রতি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দেশটিতে নির্বাচনের ওপর জোর দিয়েছেন। এতে জেলেনস্কির ওপর চাপ বেড়েছে।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের কথা সামনে আনার পর জেলেনস্কি বলেছিলেন, যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয়রা ভোটগ্রহণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করলে তার নির্বাচন আয়োজনে আপত্তি নেই। এখন নির্বাচনে অর্থায়নের জন্যও মিত্রদের দৃষ্টি আকর্ষণ করছে তার সরকার।
এদিকে গত ১৯ ডিসেম্বর ‘রেজাল্টস অব দ্য ইয়ার’ কর্মসূচিতে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছেন, ইউক্রেনে যদি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়, তবে ভোটের দিনে দেশটিতে হামলা বন্ধ করার বিষয়টি তার দেশ বিবেচনা করবে।
তিনি আরও বলেন, রাশিয়ায় বসবাসকারী ৫০ লাখ থেকে ১ কোটি ইউক্রেনীয় নাগরিকেরও ইউক্রেনের নির্বাচনে ভোটাধিকার থাকা উচিত।
সম্প্রতি ইউক্রেনের যুদ্ধ ব্যয় বহনের জন্য ১০৫ বিলিয়ন ডলারের ঋণ প্যাকেজ অনুমোদন দিয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। এখন দেশটির নির্বাচনের খরচও তাদের বহন করতে হতে পারে।
এইচএ