বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের অঙ্গপ্রতিষ্ঠান স্ট্যান্ডার্ড এশিয়াটিক অয়েল কোম্পানি লিমিটেডে (এসএওসিএল) তেল ও শিল্প উপকরণ আমদানির নামে প্রায় ২ কোটি ৫৫ লাখ টাকা আত্মসাতের ঘটনা প্রকাশ পেয়েছে।
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) অনুসন্ধানে জানা গেছে, ২০১৮-১৯ অর্থবছরে ভুয়া কাগজপত্র, নিয়মবহির্ভূত ব্যাংক লেনদেন ও নগদ উত্তোলনের মাধ্যমে এই অর্থ আত্মসাৎ করা হয়। অ্যাডিটিভস, লুব অয়েল এবং তেল ট্যাংক নির্মাণে ব্যবহৃত এইচআর প্লেটের আমদানির নামে অর্থ ছাড় করা হলেও বৈধ এলসি, শুল্ক নথি বা দরপত্রের কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি।
মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, পাঁচটি চেক ইস্যু করা হলেও প্রকৃত কোনো সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান সেই অর্থ পাননি। তিনটি চেকের অর্থ জমা হয় এমন প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম তেল বা শিল্প উপকরণের সঙ্গে সম্পর্কিত নয়। বাকি দুটি চেকের অর্থ নগদ উত্তোলন করা হয়, যার হিসাব পাওয়া যায়নি।
দুদকের অনুসন্ধানে প্রমাণ মিলেছে যে, এসব লেনদেন হিসাব ব্যবস্থার বাইরে রাখা হয়েছিল। পেমেন্ট ভাউচার তৈরি করা হলেও নিরীক্ষা বিভাগের অনুমোদন বা স্বাক্ষর ছিল না।
আইনি বিষয়: অভিযুক্তরা দণ্ডবিধির ৪০৯ ধারায় বিশ্বাসভঙ্গ, দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন ১৯৪৭ এবং মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন ২০১২-এর আওতায় দোষী সাব্যস্ত হতে পারেন।
মামলার এজাহারে উল্লেখ, তৎকালীন পরিচালক মঈন উদ্দিন আহমেদের বিরুদ্ধে অভিযোগ থাকলেও তার মৃত্যুতে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া যায়নি।
দুদকের উপপরিচালক জাহাঙ্গীর আলম জানিয়েছেন, প্রাথমিক অনুসন্ধানে দুই কর্মকর্তা ও তিন ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে এবং পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এসএওসিএলের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ফেরদৌসী মাসুম বলেন, ঘটনা প্রকাশ্যে আসায় প্রতিষ্ঠানটির অভ্যন্তরীণ নিয়ন্ত্রণ এবং ব্যবস্থাপনার দায়িত্ববোধ নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
এনআই