শাহিন শাহ আফ্রিদি ও মোহাম্মদ নওয়াজের দুর্দান্ত বোলিংয়ে মুখ থুবড়ে পড়ল শ্রীলঙ্কার ব্যাটিং লাইনআপ। একপ্রান্ত আগলে রেখে লড়াকু ফিফটিতে দলকে কোনোমতে একশ পার করান ওপেনার কামিল মিশারা। ছোট লক্ষ্যে অনায়াস জয়ে ত্রিদেশীয় সিরিজের শিরোপা জিতল পাকিস্তান।
শনিবার (২৯ নভেম্বর) রাওয়ালপিন্ডি ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ত্রিদেশীয় সিরিজের ফাইনালে ৬ উইকেটে জয় পেয়েছে পাকিস্তান। আগে ব্যাট করে ১৯.১ ওভারে মাত্র ১১৪ রানে গুটিয়ে যায় লঙ্কানরা। লক্ষ্যটা সহজ মনে হলেও সেটা পেরোতে ১৮.৪ ওভার পর্যন্ত খেলতে হয়েছে স্বাগতিকদের।
টসে হেরে ব্যাটিংয়ে নামা লঙ্কানদের ইনিংসে কেবল তিন ব্যাটসম্যান ছুঁতে পারেন দুই অঙ্ক। যেখানে মিশারার ব্যাট থেকে আসে ৪টি ছক্কা ও ২ চারে ৪৭ বলে ৫৯ রান। আরেক ওপেনার পাথুম নিশাঙ্কা ১টি করে চার ও ছক্কায় ৭ বলে ১১ ও তিনে নামা কুশল মেন্ডিস ১৮ বলে ১৪ রান করেন।
লঙ্কানদের ব্যাটিংয়ে ধস নামানো অভিজ্ঞ পেসার শাহিন শাহ আফ্রিদি ও বাঁহাতি স্পিনার নওয়াজ নেন তিনটি করে উইকেট। দুই শিকার ধরে অবদান রাখেন লেগ স্পিনার আবরার আহমেদ। এছাড়া সাইম আইয়ুব ও সালমান মির্জা নেন একটি করে উইকেট।
রান তাড়ায় বেশ সতর্ক ব্যাটিংটাই করেছে পাকিস্তান। দুই ওপেনার সাহিবজাদা ফারহান ও সাইম আইয়ুব উদ্বোধনী জুটিতে ৪৬ রানের জুটি গড়েন। অষ্টম ওভারে ২২ বলে ২৩ রান করা ফারহানকে বোল্ড করে সেই জুটি ভাঙেন লঙ্কান পেসার এশান মালিঙ্গা।
আরেক ওপেনার সাইম ৩৩ বলে করেছেন ৩৬ রান। তাকে এলবিডব্লিউ করে সাজঘরে ফিরিয়ে দেন ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা। এরপর অধিনায়ক সালমান আলি আগা ১৪ বলে ১৪ ও ফখার জামান ৫ বলে ৩ রানে দ্রুত বিদায় নেন। তারা দুইজনই স্পিনার পাভান রাত্নায়েকের শিকার।
তবে ১ ছক্কা ও ২ চারে ৩৪ বলে ৩৭ বলের ইনিংস খেলে দলের জয় সঙ্গে নিয়ে ফেরেন অভিজ্ঞ বাবর আজম। পাকিস্তানের যে ৪টি উইকেট পড়েছে, এর ৩টিই নিয়েছেন শ্রীলঙ্কার স্পিনাররা—পাভান রত্নানায়েকে ১১ রান দিয়ে ২ উইকেট, ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা ৩১ রান দিয়ে একটি।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
শ্রীলঙ্কা: ১৯.১ ওভারে ১১৪ (মিশারা ৫৯, মেন্ডিস ১৪, নিশাঙ্কা ১১, রাত্নায়েকে ৮, পেরেরা ১, শানাকা ২, লিয়ানাগে ০, হাসারাঙ্গা ৫, চামিরা ০, থিকশানা ১, মালিঙ্গা ০*; আফ্রিদি ৩/১৮, সালমান ১/২৫, আবরার ২/১৮, সাইম ১/১৭, নওয়াজ ৩/১৭)
পাকিস্তান: ১৮.৪ ওভারে ১১৮/৪ (সাহিবজাদা ২৩, সাইম ৩৬, বাবর ৩৭*, সালমান আগা ১৪, ফখার ৩, উসমান ৩*; মালিঙ্গা ১/১৬, হাসারাঙ্গা ১/৩১-১, রত্নায়েকে ২/১১)
ফল: পাকিস্তান ৬ উইকেটে জয়ী
ম্যান অব দা ম্যাচ: মোহাম্মদ নওয়াজ
ম্যান অব দা সিরিজ: মোহাম্মদ নওয়াজ
এবি