এইমাত্র
  • ঝিনাইদহে নসিমন চালককে কুপিয়ে হত্যা
  • দেশে তীব্র শৈত্যপ্রবাহের আভাস
  • যশোরে পোষা কুকুর-বিড়ালে আক্রান্ত বাড়ছে, টিকা সংকট
  • সব ঠিক থাকলে খালেদা জিয়াকে লন্ডন নেওয়া হবে রোববার
  • নওগাঁয় মাদকসহ ১ জন গ্রেপ্তার
  • বিএনপির মনোনয়ন বাতিলের দাবিতে অগ্নিসংযোগ-বিক্ষোভ-সড়ক অবরোধ
  • নোয়াখালী প্রেসক্লাবে খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি কামনায় দোয়া
  • ঢাকার পথে ডা. জুবাইদা রহমান
  • কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রতিবর্তন নবান্ন উৎসব-১৪৩২ উদযাপন
  • জামালপুরে ট্রাকচাপায় প্রাণ গেল চাচা-ভাতিজার
  • আজ শুক্রবার, ২১ অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ | ৫ ডিসেম্বর, ২০২৫
    লাইফস্টাইল

    সহজে বাড়িতেই তৈরি করুন নলেন গুড়ের কেক

    লাইফস্টাইল ডেস্ক প্রকাশ: ৩ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৮:৫৩ পিএম
    লাইফস্টাইল ডেস্ক প্রকাশ: ৩ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৮:৫৩ পিএম

    সহজে বাড়িতেই তৈরি করুন নলেন গুড়ের কেক

    লাইফস্টাইল ডেস্ক প্রকাশ: ৩ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৮:৫৩ পিএম

    নলেন গুড়। নাম শুনলেই জিভে শীতের বিশেষ স্বাদ ভেসে ওঠে। খেজুরের রসের ধোঁয়ায় মেশানো নলেন গুড়ের যে ঘ্রাণ, তা শীতের আলাদা আবহ তৈরি করে। পাটিসাপটা, পায়েস বা বিভিন্ন ধরনের পিঠা-পুলি ছাড়াও এখন নলেন গুড় দিয়ে কেক তৈরির চল অনেক বেড়েছে।

    অনেকে ভাবেন, নলেন গুড়ের কেক বানানো কঠিন, কিন্তু বাস্তবে রেসিপিটি এতটাই সহজ যে সামান্য উপকরণেই বাড়িতে সহজে তৈরি করা যায় মাখনের মতো নরম এই অসাধারণ কেক।

    কেকটির বৈশিষ্ট্য

    নলেন গুড়ের কেকের সবচেয়ে বড় বৈশিষ্ট্য হলো এর ঘ্রাণ। সাধারণ চিনি দিয়ে কেক বানালে যে স্বাদ পাওয়া যায়, তা কখনো নলেন গুড়ের সঙ্গে তুলনীয় নয়। খেজুর গাছের রস থেকে তৈরি এই গুড় নরম ও সোনালি রঙের হয় বলে কেকের রংও হয়ে ওঠে আকর্ষণীয়।

    অনেকেই জানেন না, নলেন গুড় কেককে শুধু সুস্বাদুই নয়, বরং তুলনামূলক হজমেও সাহায্য করে। এটি স্বাদে যেমন দুর্দান্ত, তেমনই পরিবারের ছোট থেকে বড় সবাই নিরাপদে খেতে পারেন।

    কেক তৈরির পদ্ধতি

    এই কেক তৈরির জন্য প্রথমেই প্রয়োজন হয় গুড় ঠিকমতো গলিয়ে নেওয়ার। গুড়কে দুধে মেশানোর সময় দুধ খুব বেশি গরম হওয়া উচিত নয়। হালকা উষ্ণ দুধে গুড় সহজে গলে গিয়ে মসৃণ মিশ্রণ তৈরি হয়। এতে কেকের টেক্সচার হয় স্পঞ্জের মতো নরম এবং মুখে দিলেই গলে যায় এমন সুষম।

    টক দইয়ের ব্যবহার কেককে আরো ফুলিয়ে তুলতে সাহায্য করে। ডিম ছাড়া বানালেও কেকটি নরম হয়। রান্নাঘরে থাকা সাধারণ ময়দা, তেল বা গলানো মাখন, এলাচ গুঁড়া, বেকিং পাউডার আর বেকিং সোডাই এই রেসিপির মূল।

    প্রথমেই শুকনা উপকরণগুলো চেলে নেওয়া দরকার, যাতে ময়দার দানা না থাকে এবং কেকের গঠন নির্ভুল থাকে। গুড় গলানোর সময় পুরো বাড়ি ভরে যায় অদ্ভুত মিষ্টি ঘ্রাণে, যা কেক বেক হওয়ার অপেক্ষাকে আরো আনন্দময় করে তোলে।

    যখন ভেজা ও শুকনা উপকরণ একসঙ্গে মেশানো হয়, তখন ব্যাটারটি খুব বেশি না নেড়ে আলতোভাবে মেশালে কেক বেশি নরম হয়। ব্যাটার তৈরি হলে প্যানে ঢেলে ওভেনে দিলে গন্ধে পুরো ঘর ভরে যায়। তবে শুধু ওভেন নয়, এই কেক গ্যাসেও বানানো যায়। বড় কড়াইতে একটি স্ট্যান্ড বসিয়ে ঢাকনা লাগিয়ে মাঝারি আঁচে ৪০-৪৫ মিনিট রান্না করলেও কেক হয়ে যায় একদম দোকানের মতো। বেক হয়ে গেলে কেককে প্যানে কয়েক মিনিট রেখে তারপর ছাঁচ থেকে বের করতে হয়—এতে কেক ভেঙে যাওয়ার ভয় থাকে না।

    ঠাণ্ডা হলে কেকের কাটা অংশে দেখা যায় সোনালি-বাদামি নরম স্তর, গুড়ের রং। ঘ্রাণ যেন প্রতিটি টুকরাতে ছড়িয়ে থাকে। কাজু বা কিশমিশ দিলে কেক আরো রসালো হয়।

    এবি

    সম্পর্কিত:

    সম্পর্কিত তথ্য খুঁজে পাওয়া যায়নি

    চলতি সপ্তাহে সর্বাধিক পঠিত

    Loading…