লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উজেলার সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফের গুলিতে এক বাংলাদেশি গরু ব্যবসায়ী নিহদ হয়েছেন। বিএসএফ নিহতের লাশ ভারতে নিয়ে গেছে।
বৃহস্পতিবার (০৪ ডিসেম্বর) ভোর ৪টার দিকে উপজেলার শমসেরনগর সীমান্তের ৮৬৪ নাম্বার মেইন সীমান্ত পিলারের ৫ নাম্বার সাব পিলারের কাছে এ ঘটনা ঘটে। বিএনএফ নিহতের লাশই রতে নিয়ে গেছে। নিহত বাংলাদেশি গরু ব্যবসায়ী হলেন সবুজ মিয়া (৩০)। তিনি উপজেলার জগতবেড় ইউনিয়নের পাঁচভান্ডার এলাকার মৃত সিরাজুল ইসলামের ছেলে।
৬১ বিজিবির তিস্তা ব্যাটালিয়নের শমসেরনগর ক্যাম্পের কোম্পানী কমান্ডার সুবেদার কামাল উদ্দিন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছে। লাশ ফেরত চেয়ে পতাকা বৈঠকের জন্য ভারতের পশ্চিমবঙ্গের কোচবিহার জেলার মাথাভাঙ্গা থানার ১৫৬ বিএসএফ ব্যাটালিয়নের চেনাকাটা বিএসএফ ক্যাম্প কমান্ডারকে পত্র দিয়েছে বিজিবি।
বিজিবি ও স্থানীয়রা জানান, বৃহস্পতিবার ভোরে ৮-১০ জন বাংলাদেশি গরু ব্যবসায়ী অবৈধভাবে গরু আনার জন্য ভারতের অভ্যন্তরে যান। এসমং বিএসএফের চেনাকাটা ক্যাম্পের টহলরত সদস্যরা বাংলাদেশিদের লক্ষ্য করে কয়েক রাউন্ড গুলি বর্ষণ করে। সবুজ মিয়া গুলিবিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলে মারা যান। বাকিরা দ্রুত ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে বাংলাদেশে চলে আসেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই সীমান্তে এক বাংলাদেশি গরু ব্যবসায়ী জানান, আমরা ১০জন একসাথে ভারতে ঢুকেছিলাম একসাথে। ২০টি গরু আনার কথা ছিলো। গরু আনার আগেই বিএসএফ সদস্যদের হাতে পড়ে যাই। বিএসএফ ৭-৮ রাউন্ড গুলি ছুড়ে। সবুজ গুলিবিদ্ধ হয়ে মাটিতে পড়ে গেলে আমরা পালিয়ে আসি। সবুজের লাশ বিএসএফ নিয়ে গেছে। আমরা শুধু ভারত থেকে গরু আনি। এটার মহাজন অন্য ব্যক্তি। ভারত থেকে এটি গরু আনার জন্য ৫ হাজার টাকা পাই,তিনি বলেন।
বিজিবি ক্যাম্পের কোম্পানী কমান্ডার কামাল উদ্দিন জানান, লাশ ফেরত আনতে চেষ্টা চলছে। পতাকা বৈঠকের মাধ্যমর বিএসএফ লাশ ফেরত দিবে। ওই সীমান্তে বিজিবির টহল বাড়ানো হয়েছে।
এসআর