সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ার চলনবিলে দেশের সবচেয়ে বড় খিরার হাটকে কেন্দ্র করে এবার আগাম জাতের খিরা চাষে ব্যাপক সাফল্য পেয়েছেন কৃষকরা। মৌসুমের শুরু থেকেই অনুকূলে আবহাওয়া ও কৃষি অফিসের কারিগরি সহায়তায় চলতি মৌসুমে খিরার বাম্পার ফলন হয়েছে। উপজেলার চলনবিল এলাকায় মোট ৩৬৫ হেক্টর জমিতে খিরা আবাদ হয়েছে, যা গত বছরের তুলনায় ১৫ হেক্টর বেশি।
কৃষি বিভাগ জানিয়েছে, চলতি মৌসুমে প্রতি হেক্টরে ২৬ মেট্রিকটন খিরা উৎপাদন হয়েছে। উধুনিয়া, বড়পাঙ্গাসী, লাহিড়ী মোহনপুর ও কয়রা ইউনিয়নে সর্বাধিক খিরা চাষ হয়। এই খিরা চাষকে ঘিরেই লাহিড়ী মোহনপুর, চর-বর্ধনগাছা ও চাকসা এলাকায় গড়ে উঠেছে দেশের অন্যতম বড় খিরার আড়ৎ, যেখানে প্রতিদিন দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে পাইকাররা খিরা কিনতে আসেন।
চলনবিলের খিরা মানসম্মত হওয়ায় সারাদেশে এ অঞ্চলের খিরার চাহিদা বেশি। এ বছর অলরাউন্ডার, সুইটি, শাহজাদি ও তামিল জাতের খিরার ফলন বেশি হয়েছে বলে কৃষকরা জানান।
কয়রা এলাকার কৃষক শরিফুল ইসলাম বলেন, আমি ৩ বিঘা জমিতে খিরা চাষ করেছি। খরচ তুলনায় লাভ বেশি হওয়ায় প্রতিবছরই খিরার আবাদ করি। এবার ফলনও ভালো, দামও ভালো।
বর্ধনগাছার আরেক কৃষক রমজান আলী, মামুন প্রামাণিক ও মোহাম্মদ আলী জানান, কৃষি অফিসের নির্দেশনা অনুযায়ী আগাম জাতের খিরা সময়মতো লাগানোর ফলে ভালো ফলন পেয়েছেন। প্রতি মণ খিরা ১,২০০ থেকে ১,৬০০ টাকা দরে বিক্রি হওয়ায় তারা সন্তুষ্ট।
উল্লাপাড়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সূবর্ণা ইয়াসমিন সুমী বলেন, চলতি মৌসুমে ৩৬৫ হেক্টর জমিতে খিরা ও শশা আবাদ হয়েছে, হেক্টরপ্রতি ফলন ২৬ মেট্রিকটন। বাজারে বর্তমানে প্রতি মণ খিরা ১,৩০০ থেকে ১,৮০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। কৃষকদের নিয়মিত পরামর্শ ও কারিগরি সহায়তা আমরা দিয়ে আসছি।
বাম্পার ফলন ও ভালো দামে বিক্রি হওয়ায় চলনবিলের কৃষকেরা এবার বেশ আনন্দিত। দেশের বৃহত্তম খিরার হাট এখন জমজমাট, কৃষক থেকে পাইকার সবাই ব্যস্ত মৌসুমকে ঘিরে।
এসআর