নিজেদের ডিজিটাল কার্যক্রমে বড় ধরনের পরিবর্তন এনেছে জার্মান ফুটবল ক্লাব বায়ার্ন মিউনিখ। বিশ্বব্যাপী কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহারে যখন ক্লাবগুলো আরও উন্মুক্ত হচ্ছে, তখন জার্মান জায়ান্টরা বেছে নিয়েছে ভিন্ন পথ।
কর্মীদের জন্য চ্যাটজিপিটি ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা দিয়ে তারা চালু করেছে নিজেদের অভ্যন্তরীণ এআই (আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স) প্ল্যাটফর্ম। ক্লাবটির লক্ষ্য একটাই- ডেটা নিরাপত্তা নিশ্চিত করা ও সব বিভাগে কাজের গতি বাড়ানো।
বায়ার্নের হেড অব ডিজিটাল ফ্যান এক্সপেরিয়েন্স থমাস এহেমান জানান, বহিরাগত এআই প্ল্যাটফর্ম ব্যবহারের ঝুঁকি এড়াতেই এই উদ্যোগ।
তিনি বলেন, ‘আমরা কর্মীদের জন্য বিভিন্ন এআই প্ল্যাটফর্ম- যেমন চ্যাটজিপিটি ব্লক করে দিয়েছি। আমরা চাই সবাই আমাদের নিজস্ব সিস্টেম ব্যবহার করুক। তাছাড়া পুরো ব্যবস্থাই রয়েছে প্রাইভেট ক্লাউডে, যা নিরাপত্তার দিক থেকে বড় সুবিধা।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা ভেবেছিলাম কিছুটা প্রতিরোধ আসবে। কিন্তু তা হয়নি। বরং কর্মীরা খুশি যে তারা আরও সহজ, নমনীয় একটি প্ল্যাটফর্ম পেয়েছে।’
ফ্যান সার্ভিস থেকে শুরু করে আইনি বিভাগ- সব জায়গাতেই এখন বায়ার্নের নিজস্ব এআই টুল ব্যবহার হচ্ছে। পাশাপাশি ক্লাবের বৃহত্তর ডিজিটাল রূপান্তরের অংশ হিসেবে গত বছর তারা সেলোনিসের সঙ্গে পার্টনারশিপ করে।
এই প্রক্রিয়া-ইনটেলিজেন্স সফটওয়্যার এখন এইচআর, মার্চেন্ডাইজিং, টিকিটিংসহ নানা শাখায় কাজের ধাপ বিশ্লেষণ করে উন্নত করছে। উদ্দেশ্য পরিষ্কার—অভ্যন্তরীণ কার্যক্রম গতি বাড়ানো এবং বিশ্বব্যাপী সমর্থকদের জন্য আরও কার্যকর সেবা নিশ্চিত করা।
নতুন এই এআই যুগে বায়ার্ন মিউনিখের পদক্ষেপ ইউরোপীয় ফুটবলে নজর কাড়বে বলেই মনে করছেন প্রযুক্তি বিশ্লেষকেরা। ক্লাবটি বলছে, এটাই তাদের ভবিষ্যৎ পরিচালনার নতুন পথ।
আরডি