চরম নাটকীয়তা শেষে নারায়ণগঞ্জ ৫ আসনে বিএনপি’র মনোনয়ন পেলেন সাবেক সংসদ সদস্য আবুল কালাম। বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাক্ষরিত ফরমের মাধ্যমে তাকে দলীয় মনোনয়ন দেয়া হয়।
নারায়ণগঞ্জ ৫ (শহর-বন্দর) আসনটির মনোনয়ন ঘিরে বিএনপিতে দীর্ঘদিন ধরেই নানান জল্পনাকল্পনা চলছিলো। বছরের মাঝামাঝিতে এই আসনকে ঘিরে হঠাৎ রাজনীতির ময়দানে সরব হন ব্যবসায়ী মাসুদুজ্জামান মাসুদ।
নব্বইয়ের দশকে যুবদলের রাজনীতি থেকে গুটিয়ে নেওয়া মাসুদের এই ‘ফেরা’ নিয়ে জেলাজুড়েই আলোচনার সৃষ্টি হয়। গত ৩ নভেম্বর বিএনপি ঘোষিত প্রাথমিক মনোনয়ন তালিকায় স্থানও হয় তার। তবে বিপত্তি বাঁধে গত ১৬ ডিসেম্বর এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি ‘নিরাপত্তাজনিত কারণ’ এবং পরিবারের ‘অনিচ্ছার’ কথা উল্লেখ করে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দেন।
এ সংবাদ সম্মেলনের পর আবারও জল্পনা তৈরি হয় নারায়নগঞ্জ ৫ আসনে বিএনপি’র মনোনয়ন নিয়ে। এসময় জোরেশোরে মাঠে নামেন নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান। তিনি গণসংযোগ চালাতে থাকেন পুরোদমে।
তবে সংবাদ সম্মেলনের মাত্র তিন দিনের মাথায় ‘সমর্থকদের চাপের’ কথা উল্লেখ করে ফের প্রার্থীতার ঘোষণা দেন মাসুদুজ্জামান।
এরপর থেকে সমান্তরালে চলতে ওই দুই প্রার্থীর প্রচার-প্রচারণা৷ দুজনেই নিজেকে 'কেন্দ্রের মনোনীত প্রার্থী' হিসেবে দাবি করতে থাকেন৷ ফলে নেতাকর্মীসহ জনসাধারণের মধ্যেও ছিল বিভ্রান্তি।
শেষমেশ দলের মহাসচিব সাক্ষরিত মনোনয়ন ফরম অবশ্য জুটেছে সাবেক তিনবারের সংসদ সদস্য আবুল কালামের ভাগ্যে। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে তিনিই আসনটিতে ধানের শীষের প্রতিনিধিত্ব করবেন।
আরডি