ভোলায় ছাত্রদল নেতা সিফাত হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের গ্রেপ্তার করে বিচারের আওতায় আনার দাবিতে বিএনপির বিক্ষোভ মিছিল চলাকালে দু’পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়।
এ সময় জেলা বিজেপির কার্যালয়ে হামলা ও ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে বিএনপি ও তাদের অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে।
সোমবার (২৯ ডিসেম্বর) বিকেল ৫টার দিকে ভোলা শহরের নতুন বাজার এলাকায় জেলা বিজেপির কার্যালয়ে এ হামলার ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, গত ২৪ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় ভোলা সদর উপজেলার রাজাপুর ইউনিয়ন ছাত্রদলের সভাপতি পদপ্রার্থী সিফাতকে ছুরিকাঘাতে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়। ওই হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের গ্রেপ্তারের দাবিতে বিএনপি বিক্ষোভ মিছিল করে। মিছিলটি শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে নতুন বাজারে জেলা বিজেপির কার্যালয়ের সামনে এলে কয়েকটি ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এর জেরে বিএনপির নেতাকর্মীরা বিজেপির পার্টি অফিসে হামলা ও ভাঙচুর চালায় বলে অভিযোগ ওঠে। পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ কয়েক রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছোড়ে।
বিজেপি নেতাকর্মীদের অভিযোগ, বিএনপির নেতাকর্মীরা পূর্বপরিকল্পিতভাবে বিজেপির পার্টি অফিসে প্রবেশ করে চেয়ার-টেবিলসহ সব আসবাবপত্র ভাঙচুর করে এবং পার্টির নির্বাচনী লিফলেট রাস্তায় ছুড়ে ফেলে দেয়।
জেলা বিজেপির সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মনিরুল ইসলাম অভিযোগ করে বলেন, “বিএনপির নেতাকর্মীরা ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে আতঙ্ক সৃষ্টি করে বিজেপির পার্টি অফিসে ভাঙচুর চালিয়েছে। আমরা এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার দাবি করছি।”
তবে বিএনপির বিরুদ্ধে আনা সব অভিযোগ অস্বীকার করে তাদের নেতাকর্মীরা বলেন, বিএনপির শান্তিপূর্ণ মিছিলে বিজেপির পক্ষ থেকে ককটেল নিক্ষেপ করে হামলা চালানো হয়েছে। এতে বিএনপির বেশ কয়েকজন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন বলে তারা দাবি করেন।
ভোলা সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুল ইসলাম বলেন, “ককটেল বিস্ফোরণের শব্দ পাওয়া গেছে। তবে কারা ককটেল ফাটিয়েছে, তা তদন্ত করা হচ্ছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ কয়েক রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছুড়েছে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।”
এনআই