নদী কোনো ব্যক্তিমালিকানাধীন সম্পত্তি নয়; নদীর মালিক জনসাধারণ। নদীর পানি ও মাছের ওপর কোনো ব্যক্তি, সংঘ, সংস্থা বা দলের একচ্ছত্র অধিকার নেই। অথচ ঝিনাইদহের হরিনাকুন্ডু উপজেলার রিশখালী পান্তাপাড়া গ্রামের ভেতর দিয়ে বয়ে যাওয়া নবগঙ্গা নদীর একাংশে একচ্ছত্র অধিকার কায়েম করেছেন একই এলাকার মো. আলমগীর হোসেন।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, রিশখালী বাজার এলাকায় নবগঙ্গা নদীর ওপর নতুন একটি ব্রিজ নির্মাণের কাজ চলছে। ব্রিজের কাজ চলমান থাকায় নদীর একাংশে অস্থায়ী রাস্তা নির্মাণ করা হয়েছে। এর ফলে নদীর স্বাভাবিক প্রবাহ বন্ধ হয়ে একটি বাঁধের সৃষ্টি হয়েছে। এই সুযোগে নদীর অপর অংশে বাঁশের শক্ত বেড়া ও জাল দিয়ে ঘের তৈরি করে আলমগীর হোসেনসহ চারজন মিলে মাছ চাষ করছেন। নদীতে স্রোত না থাকায় এই বাঁধ মাছ চাষে কার্যকর ভূমিকা রাখছে।
নদীর বাঁধমুক্ত অংশে ডিঙ্গি নৌকায় মাছ ধরতে দেখা যায় হালদার সম্প্রদায়ের শংকর নামে এক ব্যক্তিকে। তার কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান, বাঁধ দিয়ে মাছ চাষ করায় তারা এখন আর মুক্তভাবে নদীতে মাছ ধরতে পারছেন না। প্রতিদিন সামান্য কিছু মাছই ধরতে পারছেন।
স্থানীয় আরেক ব্যক্তি জানান, নদীতে বাঁধ তৈরি করে আলমগীর মাছ চাষ করছেন—এ বিষয়টি এলাকার সবাই জানে।
এ বিষয়ে দৌলতপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তার নম্বর বন্ধ পাওয়া যায়। পরে হরিনাকুন্ডু উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ দিদারুল আলমের কাছে বিষয়টি জানানো হলে তিনি ঘটনার বিবরণ নোট করেন এবং দ্রুত প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার আশ্বাস দেন।
এনআই