এইমাত্র
  • খালেদা জিয়ার দাফন হবে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায়, জানাজায় নেওয়া যাবে না ব্যাগ
  • টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের দল ঘোষণা ইংল্যান্ডের
  • খালেদা জিয়ার জানাজায় যোগ দেবেন পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী
  • বিপিএলের স্থগিত হওয়া দুই ম্যাচের নতুন সূচি প্রকাশ
  • খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে ক্রীড়াঙ্গনে শোকের ছায়া
  • পানিসংকট ও খাল দখলে বিপর্যস্ত বাগেরহাট–রামপালের কৃষি‎
  • জকসু নির্বাচন ৬ জানুয়ারি
  • খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে সাকিবের পোস্ট
  • টানা তিন দিন ধরে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা নিকলীতে
  • ব্যাংক ঋণের আদলে ক্ষুদ্রঋণেও চালু হচ্ছে এমএফ-সিআইবি সিস্টেম
  • আজ মঙ্গলবার, ১৬ পৌষ, ১৪৩২ | ৩০ ডিসেম্বর, ২০২৫
    দেশজুড়ে

    পানিসংকট ও খাল দখলে বিপর্যস্ত বাগেরহাট–রামপালের কৃষি‎

    সোহেল রানা বাবু, বাগেরহাট প্রতিনিধি প্রকাশ: ৩০ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৪:১৬ পিএম
    সোহেল রানা বাবু, বাগেরহাট প্রতিনিধি প্রকাশ: ৩০ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৪:১৬ পিএম

    পানিসংকট ও খাল দখলে বিপর্যস্ত বাগেরহাট–রামপালের কৃষি‎

    সোহেল রানা বাবু, বাগেরহাট প্রতিনিধি প্রকাশ: ৩০ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৪:১৬ পিএম

    ‎বাগেরহাট ও রামপাল উপজেলায় তীব্র পানিসংকট, লবণাক্ততা বৃদ্ধি এবং সরকারি খাল ও খাস পুকুর দখলের ফলে কৃষি, পরিবেশ ও জনজীবন মারাত্মক হুমকির মুখে পড়েছে। ‎এ পরিস্থিতি থেকে উত্তরণে অবিলম্বে সরকারি খাল ও খাস পুকুর অবমুক্ত করার দাবিতে বাগেরহাট প্রেস ক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। ‎মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) সকালে এক্টিভিস্টা বাগেরহাট ও রামপালের আয়োজনে এ সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়।

    ‎এ সময় আরও বলা হয়, বাগেরহাট জেলা একটি প্রাচীন ও ঐতিহ্যবাহী জনপদ। প্রায় ১৪০০ শতকে হজরত খানজাহান আলী (রঃ) এই অঞ্চলে কৃষি ও জনজীবনের উন্নয়নে অসংখ্য খাল, দীঘি ও জলাধার খনন করেছিলেন। এসব জলব্যবস্থা একসময় কৃষি উৎপাদন ও সুপেয় পানির প্রধান উৎস ছিল। তবে বর্তমানে দখল, দূষণ ও অপরিকল্পিত ব্যবস্থাপনার কারণে অধিকাংশ খাল ও পুকুর অস্তিত্ব সংকটে পড়েছে।

    বাগেরহাট উপকূলীয় জেলা হওয়ায় বাগেরহাট ও রামপালে লবণাক্ততার মাত্রা দিন দিন বাড়ছে। সরকারি খাল ও পুকুর দখলের ফলে নদী ও ভূগর্ভস্থ পানিতে লবণাক্ততা বৃদ্ধি পাচ্ছে, সৃষ্টি হচ্ছে পানির তীব্র সংকট। এর ফলে বিস্তীর্ণ কৃষিজমি অনাবাদী হয়ে পড়ছে। শুধু রামপাল উপজেলাতেই প্রায় ২৭ হাজার ৬৪৪ হেক্টর জমি বর্তমানে অনাবাদী।

    ‎সংবাদ সম্মেলনে উপস্থাপিত পরিসংখ্যান অনুযায়ী, বাগেরহাট জেলায় মোট আবাদযোগ্য জমির পরিমাণ ১ লাখ ২২ হাজার ২৩১ হেক্টর। এর মধ্যে আবাদ হচ্ছে ১ লাখ ৪ হাজার ৪৭৩ হেক্টর জমিতে। পতিত জমির পরিমাণ ৮ হাজার ৭০৭ হেক্টর এবং সারা বছর পানির নিচে থাকে প্রায় ১৫ হাজার ৫৯২ হেক্টর জমি।

    ‎সংবাদ সম্মেলনে আরও জানানো হয়, বাগেরহাট সদর উপজেলার মাদারতলা, খুনতাকাটা, শশিখালী, গোদাড়ার খালসহ বহু গুরুত্বপূর্ণ খাল দখল হয়ে যাওয়ায় জলাবদ্ধতা ও পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট হচ্ছে। একইভাবে সরকারি পুকুর লিজ দিয়ে মাছ চাষ করায় সাধারণ মানুষ সুপেয় পানি থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।

    ‎সংবাদ সম্মেলন থেকে অবিলম্বে অবৈধ দখল উচ্ছেদ, খাল ও নদী পুনঃখনন, টেকসই সেচব্যবস্থা গড়ে তোলা এবং লবণাক্ততা-সহনশীল ফসল চাষের উদ্যোগ নেওয়ার দাবি জানানো হয়। বক্তারা বলেন, সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় সরকারি খাল ও খাস পুকুর অবমুক্ত করা গেলে এই অঞ্চলকে আবারও চাষযোগ্য ও সবুজ করে তোলা সম্ভব।

    ‎এ বিষয়ে জানতে চাইলে বাগেরহাটের জেলা প্রশাসক গোলাম মোঃ বাতেন বলেন, ‘সরকারি পুকুর ও খাস পুকুর রাষ্ট্রের সম্পদ। এই সম্পদ রক্ষা করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব। আমি ইতোমধ্যে জানতে পেরেছি কিছু অসাধু ব্যাক্তিরা এই খাল ও পুকুর দখল করে মাছ চাষ করছে। আমি এগুলো খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে দখলমুক্ত করব আর খাস পুকুগেুলো দখলমুক্ত করে নতুন প্রকল্প নিয়ে সংস্কার করে সুপেয় পানি নিশ্চিত করবো।’

    ইখা

    সম্পর্কিত:

    সম্পর্কিত তথ্য খুঁজে পাওয়া যায়নি

    সর্বশেষ প্রকাশিত

    Loading…