পিরোজপুর-৩ (মঠবাড়িয়া) আসনে নির্ধারিত সময়ের ১২ মিনিট পরে পৌঁছানোর কারণে মনোনয়নপত্র জমা দিতে পারেননি পিরোজপুর-৩ আসনের নির্বাচন পাগল ৭৪ বছর বয়সী স্বতন্ত্র এমপি প্রার্থী সুধীর রঞ্জন বিশ্বাস। তিনি অষ্টমবারের মতো মনোনয়নপত্র জমা দিতে চেয়েছিলেন।সোমবার উপজেলা রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে।
তিন ছেলে ও এক মেয়ে সন্তানের জনক উপজেলার দাউদখালী ইউনিয়নের গিলাবাদ গ্রামের সুধীর রঞ্জন বিশ্বাস (৭৪ ) গত ৬ টি নির্বাচনে জামানত বাজেয়াপ্ত হওয়ার পরও গতকাল সোমবার মনোয়নয়নপত্র দাখিল করার জন্য আসেন । মনোনয়ন পত্র জমা না দিতে পারায় নিয়ে সর্বত্র বইছে আলোচনার ঝড়। কখনো নিজের ভোটটি ছাড়া প্রস্তাবকারী ও সমর্থনকারীদের ভোট পাননি সুধীর বিশ্বাস।
সুধীর রঞ্জন বিশ্বাস জানান, প্রায় ৪০ বছর আগে তার স্ত্রী অঞ্জলী রানী বিশ্বাস ইউপি সদস্য পদে নির্বাচনে হেরে মারা যান। সে মারা যাওয়ার পর থেকেই তার আত্মার সন্তুষ্টির জন্যই তিনি নির্বাচন করে আসছেন। নিজেকে একজন গ্রাম্য চিকিৎসক দাবি করে তিনি বলেন, রোগীদের চিকিৎসাপত্র দিয়ে জমিয়ে রাখা টাকা ও কিছু জিনিসপত্র বিক্রি করে এ বছর মনোনয়নপত্র জমা দিতে এসেছিলাম। কিন্তু নির্ধারিত সময়ের কয়েক মিনিট পরে গেলে আমার কাগজপত্র জমা নেয়নি। আমার বয়স হয়ে গেছে তাই কাগজপত্র রেডি করে নিয়ে যেতে একটু লেট হয়।
উপজেলা নির্বাচন অফিসার বাসুদেব সরকার জানান, সুধীর রঞ্জন বিশ্বাস দাউদখালী ইউনিয়নের বাসিন্দা। ভোটে দাড়ানোর অধিকার তাঁর আছে। নির্ধারিত সময়ের পরে আসার কারণে তিনি জমা দিতে পারেননি।
মঠবাড়িয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও সহকারী রিটানিং কর্মকর্তা আকলিমা আক্তার জানান, নির্বাচন কমিশনের নির্ধারিত সময় বিকাল ৫ টায়। ১২ মিনিট পরে তিনি কাগজপত্র নিয়ে আসায় তার কাগজপত্র জমা নেয়া সম্ভব হয় নাই।
উল্লেখ্য এছাড়া পিরোজপুর-৩ আসনেও সাতজন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। তারা হলেন, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) মনোনীত প্রার্থী রুহুল আমিন দুলাল, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী মনোনীত প্রার্থী আব্দুল জলিল শরীফ, জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) মনোনীত প্রার্থী শামীম হামিদি, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ মনোনীত প্রার্থী রুস্তম আলী ফরাজী, জাতীয় পার্টি মনোনীত প্রার্থী মাসরেকুল আজম রবি, জাসদ মনোনীত প্রার্থী করিম শিকদার এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী তৌহিদুর ইসলাম।
এসআর