এইমাত্র
  • জবি সংস্কার আন্দোলন থেকে জকসু নির্বাচনে নওশীন
  • নরসিংদীতে জাল নোটসহ দুইজন আটক
  • কটিয়াদীতে নিখোঁজ রিকশাচালকের লাশ উদ্ধার
  • গ্রেপ্তার ইউনুচের রিমান্ড চায় পুলিশ
  • ভাঙ্গায় বাসচাপায় অটোরিকশার ৩ যাত্রী নিহত
  • খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় সারা দেশে বিশেষ দোয়া
  • শেখ হাসিনাকে ফেরানোর বিষয়ে সর্বশেষ তথ্য জানালেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা
  • কিছুটা ‍কমেছে সবজির দাম, চড়া তেল-পেঁয়াজ
  • মুক্ত হয় উত্তর-পূর্ব ও উত্তরাঞ্চলের বেশ কিছু এলাকা
  • ঝিনাইদহে নসিমন চালককে কুপিয়ে হত্যা
  • আজ শুক্রবার, ২১ অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ | ৫ ডিসেম্বর, ২০২৫
    শিক্ষাঙ্গন

    জবি সংস্কার আন্দোলন থেকে জকসু নির্বাচনে নওশীন

    ক্যাম্পাস প্রতিনিধি প্রকাশ: ৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৩:৩২ পিএম
    ক্যাম্পাস প্রতিনিধি প্রকাশ: ৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৩:৩২ পিএম

    জবি সংস্কার আন্দোলন থেকে জকসু নির্বাচনে নওশীন

    ক্যাম্পাস প্রতিনিধি প্রকাশ: ৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৩:৩২ পিএম

    জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জকসু) নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন আন্দোলন সংগ্রামের পরিচিত মুখ নওশীন নাওয়ার জয়া। তিনি শিবিরসমর্থিত 'অদম্য জবিয়ান ঐক্য’ প্যানেল থেকে আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন।

    প্যানেলেটিতে ভাইস-প্রেসিডেন্ট (ভিপি) পদে নির্বাচন করবেন শাখা ছাত্র শিবিরের সভাপতি রিয়াজুল ইসলাম। সাধারণ সম্পাদক (জিএস) পদে রয়েছেন শাখা শিবিরের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল আলিম আরিফ এবং সহ-সাধারণ সম্পাদক (এজিএস) পদে রয়েছেন ইউনাইটেড পিপলস (আপ) বাংলাদেশ জবি শাখার প্রধান সংগঠক মাসুদ রানা।

    প্রাণ রসায়ন ও অনুপ্রাণ বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী নওশীন নাওয়ার জয়া দীর্ঘদিন ধরেই ক্যাম্পাসের বিভিন্ন আন্দোলনের পরিচিত মুখ। জবি সংস্কার আন্দোলনের অন্যতম প্রতিনিধি হিসেবে পুরান ঢাকার হল উদ্ধার, দ্বিতীয় ক্যাম্পাস নির্মাণের দাবি, যমুনার সামনে অবস্থান কর্মসূচিসহ বিভিন্ন আন্দোলনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন।

    নওশীন নাওয়ার জয়ার সঙ্গে আলাপকালে জুলাই আন্দোলন থেকে জকসু নির্বাচন পর্যন্ত নিজের ভাবনাগুলো তুলে ধরেন।

    জুলাই আন্দোলনের স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে তিনি জানান, জুলাই বললেই তার মনে পড়ে উত্তরার দিনগুলোর কথা, যা তখন আন্দোলনের একটি গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র ছিল। তিনি তার বড় বোনকে দেখেছেন কীভাবে রণক্ষেত্রের মাঝেও দাঁড়িয়ে আন্দোলনকারীদের পানি ও খাবার সরবরাহ করেছেন, যা আজও তার মনে পড়ে।

    তিনি বলেন, 'ক্যাম্পাসের দিনগুলোর মধ্যে সবচেয়ে স্মরণীয় ছিল ১৬ জুলাই। এটি আমার জীবনের অন্যতম গভীর স্মৃতিবহ দিন। সেদিন আমি হলে ছিলাম। হল থেকে মিছিল নিয়ে বের হয়ে ভিক্টোরিয়া পার্ক ঘুরে তাতীবাজার অভিমুখে যাত্রার সময় হঠাৎই কোর্ট এলাকার দিক থেকে লীগের সন্ত্রাসীরা এলোপাতাড়ি গুলি ছোড়ে। সেদিনই আমার চোখের সামনে ফেরদৌস ও অনিক গুলিবিদ্ধ হয়।'

    শিবিরের প্যানেল বেছে নেওয়ার কারণ:

    প্যানেল নির্বাচন প্রসঙ্গে নওশীন বলেন, 'জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সীমাবদ্ধতা আর মৌলিক সুবিধা থেকে শিক্ষার্থীদের দীর্ঘ বঞ্চনা সবসময়ই আমাকে পীড়া দিয়েছে। ১৮–১৯ সেশন থেকে দাবি আদায়ে সক্রিয় ছিলাম। বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবর্তন ও শিক্ষার্থীদের টেকসই সমাধান নিশ্চিত করাই ছিল আমার অনুপ্রেরণা।'

    তিনি আরও বলেন, ‘দীর্ঘদিনের কাজের অভিজ্ঞতায় জবি ছাত্রশিবিরসহ বিভিন্ন সংগঠন সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা হয়েছে।’ জকসু কেন্দ্রিক দীর্ঘ আলোচনার পর তিনি দেখতে পান যে, ছাত্রশিবির অন্যান্য সংগঠনের তুলনায় তুলনামূলকভাবে সহনশীল এবং সংগঠন হিসেবে সৎ ও সুশৃঙ্খলভাবে কাজ করার চেষ্টা করে। তারা রাজনীতির নামে অপরাজনীতি কিংবা শিক্ষার্থীদের অধিকারকে পুঁজি করে আবেগের অপব্যবহার না করার ক্ষেত্রে সচেতন থেকেছে। টিম হিসেবে কাজ করার জন্য এই বিষয়গুলো তাঁর কাছে গুরুত্বপূর্ণ মনে হওয়ায় তিনি তাদের সঙ্গে নির্বাচনে অংশগ্রহণের সিদ্ধান্তে উপনীত হন।

    রাজনৈতিক অবস্থান প্রসঙ্গে তিনি জানান, সবসময়ই স্বতন্ত্র ও স্বতঃস্ফূর্তভাবে কাজ করতে পছন্দ করেন এবং নিজের স্বাতন্ত্র্য বজায় রাখতে কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে কখনও যুক্ত হননি।

    শিক্ষার্থীদের প্রতি প্রতিশ্রুতি:

    নওশীন নাওয়ার জয়া বলেন, 'দায়িত্ব আমার কাছে আমানত। জবি সংস্কার আন্দোলনে যে ম্যান্ডেট নিয়ে কাজ করেছি, শিক্ষার্থী সংসদে সুযোগ পেলে সেই কাজ আরও বিস্তৃত হবে। শেষ বিন্দু পর্যন্ত লড়াই জারি থাকবে ইনশাআল্লাহ।'

    তিনি আরও জানান, ফিলিস্তিনসহ বিশ্বব্যাপী নিপীড়িত মানুষের পক্ষে দাঁড়ানোর উদ্যোগ, বিশেষ করে জবির 'প্রজেক্ট লাইফলাইন গাজা'—ভবিষ্যতেও চালিয়ে যেতে চান। পাশাপাশি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়কে আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে উপস্থাপনের লক্ষ্যেও নানা পরিকল্পনা তার ইশতেহারে থাকবে বলে জানিয়েছেন।

    নির্বাচনী তফশিল:

    গত ৫ নভেম্বর ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, ১২ নভেম্বর চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হয়। কেন্দ্রীয় ও হল সংসদ মিলে মোট ২৪৯ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দেন। আগামী ৭ ও ৮ ডিসেম্বর প্রার্থীদের আপত্তি গ্রহণ ও নিষ্পত্তি, ডোপ টেস্ট ৯ ও ১০ ডিসেম্বর, চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা প্রকাশ ১১ ডিসেম্বর, মনোনয়ন পত্র প্রত্যাহার ১৩ ও ১৪ ডিসেম্বর, ১৪ ডিসেম্বর প্রত্যাহারকৃত প্রার্থী তালিকা প্রকাশ, নির্বাচনী প্রচার ১৫ থেকে ২৭ ডিসেম্বর। বৃহস্পতিবার (০৪ ডিসেম্বর) সংশোধিত নতুন তফসিল অনুযায়ী জকসু নির্বাচনের ভোট গ্রহণ ও গননা শেষ হবে ৩০ ডিসেম্বর।

    ইখা

    সম্পর্কিত:

    সম্পর্কিত তথ্য খুঁজে পাওয়া যায়নি

    চলতি সপ্তাহে সর্বাধিক পঠিত

    Loading…