আফগানিস্তানের কান্দাহার প্রদেশের স্পিন বোলডাক জেলায় ফের পাক বাহিনীর সঙ্গে আফগান সেনাবাহিনীর তুমুল গোলাগুলি হয়েছে। এতে আফগানিস্তানের অন্তত ৪ জন বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও ৪ জন।
স্থানীয় সূত্রের বরাত দিয়ে এই তথ্য নিশ্চিত করেছে টোলো নিউজ। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শুক্রবার (৫ নভেম্বর) সন্ধ্যায় শুরু হওয়া সংঘর্ষে পাকিস্তান বাহিনীর ছোড়া মর্টার শেলে আফগান মাজাল গালি ও লুকমান গ্রামে হতাহতের এই ঘটনা ঘটেছে। আহতদের মধ্যে এক নারী ও একজন পুরুষের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাদের স্থানীয় আইনো মিনা হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
আফগানিস্তানের সরকারি মুখপাত্র জাবিউল্লাহ মুজাহিদ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তার দেশে পাক বাহিনীর হামলার তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি দাবি করেছেন, পাকিস্তানি সেনারা আফগান ভূখণ্ডে হামলা শুরু করে।
শনিবার (৬ ডিসেম্বর) এক্সে তিনি লিখেছেন, দুর্ভাগ্যবশত, আজ সন্ধ্যায় পাকিস্তানি পক্ষ ফের কান্দাহারের স্পিন বোলডাক জেলায় আক্রমণ শুরু করে। এর ফলে আফগান বাহিনী পাল্টা জবাব দেয়।
এদিকে পাকিস্তানের প্রভাবশালী পত্রিকা ডন জানিয়েছে, চামান সীমান্তে শুক্রবার গভীর রাতে পাক ও আফগান বাহিনীর মধ্যে ব্যাপক গোলাগুলি হয়েছে। দুই দেশের কর্মকর্তারাই এই হামলার জন্য একে অপরকে দোষারোপ করেছেন।
পাকিস্তান কর্তৃপক্ষ অভিযোগ করেছে, বাদানি এলাকায় আফগান বাহিনী মর্টার শেল ছুড়েছে। এর জেরে পাকিস্তানি বাহিনী প্রতিশোধ নিয়েছে। পাকিস্তানি কর্তৃপক্ষ আফগানিস্তানের এই হামলাকে আগ্রাসন হিসেবে উল্লেখ করেছেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কোয়েটার একজন সিনিয়র কর্মকর্তা ডনকে বলেন, শুক্রবার রাত ১০টা নাগাদ এই সংঘর্ষ শুরু হয় এবং মাঝ রাত পর্যন্ত চলে এই সংঘাত।
পাকিস্তানের চামান জেলা হাসপাতালের মেডিক্যাল সুপারিনটেনডেন্ট মুহাম্মদ ওয়াইস জানান, সংঘাতের পর আহত ৩জনকে হাসপাতালে আনা হয়েছে। তাদের মধ্যে একজন নারী রয়েছেন।
তবে দেশ ২টির সর্বশেষ এই সংঘাত নিয়ে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর মিডিয়া উইং থেকে এখন পর্যন্ত কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছে ডন। সাম্প্রতিক মাসগুলোতে সীমান্তে দেশ দুইটির মধ্যে একে অপরের ওপর পাল্টাপাল্টি হামলা চলছে। এনিয়ে দেশ দুইটির মধ্যে সম্পর্ক তলানিতে ঠেকেছে এবং সীমান্তে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে।
এইচএ