উপকূলীয় অঞ্চল বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলা বাংলাদেশের দক্ষিণের এই অঞ্চলটি যেন প্রকৃতির অপূর্ব সৌন্দর্যের আঁচলে ঢাকা। যেখানে পর্যটকরা মুগ্ধ হন, প্রেমে পড়েন শীতল প্রকৃতির এই লীলাভূমি। রুহিতার চর এখান কার প্রাকৃতিক শোভা অতি সহজে মুগ্ধ করে যে কাউকে,
পাথরঘাটা উপজেলার অন্যতম এই দর্শনীয় স্থানটিতে যেমন উপভোগ করা যায় সূর্যোদয় ও সূর্যাস্তের মোহনীয় দৃশ্য। সকলের কাছে প্রিয় হয়ে উঠেছে এই চরটি। রুহিতার চর থেকে দু কিলো দূরেই দেখা যায় বিষ খালি ও বলেশ্বর নদীর সংযোগ স্থলে অবস্থিত বিহঙ্গদ্বীপ চারপাশে নদী বনের হরিন, বানর, শুকর, কাঠবিড়ালি, মেছো বাঘ, ডোরা বাঘ, সজারু, উদ বিড়াল, শিয়ালসহ অসংখ্য বুনো প্রাণির বিচরণ। নানা প্রজাতির পাখির কলরবে সারাক্ষণ থাকে এই বিহঙ্গদ্বীপ । এখান থেকে ঠিক ৫ কিলোমিটার দক্ষিণে হরিণঘাটা ইকোপার্ক পর্যটকরা আসলে, এক সাথে তিনটি পর্যটক কেন্দ্র ঘুরতে পারবে। প্রতিদিন দূরদূরান্ত থেকে পর্যটক আসছেন রুহিতার চরে, কেউ বলেন এটি মিনি কুয়াকাটা, সৈকতে মনে করেন। এ ছাড়া সৈকতে ঘুরে বেড়ানো লাল কাঁকড়ার দলও প্রায়শই তৈরি করে দেখার মতো এক দৃশ্য।
এখানে ঘুড়তে আসা পর্যটকরা বলেন তবে ব্যবস্থাপনা ভালো না থাকায় কিছু কিছু পর্যটকদের রয়েছে নানা অভিযোগ। রুহিতার চর বা বিহঙ্গদ্বীপে প্রবেশের অভ্যন্তরীণ পথ অনেকটাই অনিরাপদ। কোথাও কোথাও মোবাইল নেটওয়ার্কও থাকে না, ফলে পর্যটকরা দিক হারালে খুঁজে পাওয়াটা হয়ে দাঁড়ায় কঠিন।
ঘুরতে আসা পর্যটক রুবেল আজমিন জানান, এখানে এসে নদী, বন ও প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করা যায়। আমাদের সবার কাছেই স্থানটি ইতোমধ্যে পরিচিত হয়ে উঠেছে। সাপ্তাহিক ছুটির দিনে চরটিতে মানুষের সমাগমও বাড়ে। দর্শনার্থীদের জন্য এটি সত্যিই এক মনোমুগ্ধকর জায়গা আমি এসে খুব ভালো লেগেছে।
স্থানীয় বাসিন্দা জাকির মুন্সি জানান, পর্যটন কেন্দ্রটি আরও উন্নত ও আকর্ষণীয়ভাবে গড়ে তোলার উদ্যোগ নেওয়া হবে। পর্যটকদের যেন কোনো ধরনের হয়রানির শিকার হতে না হয়, সে বিষয়েও সতর্ক ও দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করবো আমরা । নিরাপদ, পরিচ্ছন্ন ও বন্ধুত্বপূর্ণ পরিবেশ নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্ট সকলেই একযোগে কাজ করব।
পাথরঘাটা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মিজানুর রহমান বলেন, রুহিতার চরকে একটি পূর্ণাঙ্গ পর্যটনকেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলার জন্য ইতোমধ্যে অবকাঠামোগত উন্নয়নের বিভিন্ন কাজ হাতে নেওয়া হয়েছে। পর্যটকদের নিরাপত্তা ও সুবিধা নিশ্চিত করতে চরজুড়ে লাইটিং ব্যবস্থার প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। পর্যটকদের নিরাপত্তার স্বার্থে পুলিশের ক্যাম্পের ব্যবস্থা করা হবে। এই উদ্যোগগুলো বাস্তবায়িত হলে রুহিতার চর ও আশপাশের অঞ্চল পর্যটন খাতে নতুন মাত্রা যোগ করবে, এবং এতে স্থানীয় জনগণের অর্থনৈতিক উন্নয়নও ঘটবে।
এসআর