কক্সবাজারের চকরিয়ায় কুরিয়ার সার্ভিসকে ব্যবহার করে অবাধে ছড়িয়ে পড়ছে মানব স্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ অবৈধ যৌন উত্তেজক ঔষধ। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পরিচালিত ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে এ চাঞ্চল্যকর তথ্যের প্রমাণ মিলেছে।
সোমবার (২৯ ডিসেম্বর) বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে চকরিয়া পৌরসভা ৮ নম্বর ওয়ার্ডের কোচপাড়া রাস্তার মাথাস্থ জননী কুরিয়ার সার্ভিসের কার্যালয় থেকে আনুমানিক আড়াই লক্ষ টাকা মূল্যের বিপুল পরিমাণ অবৈধ যৌন উত্তেজক ঔষধ জব্দ করা হয়।
অভিযানে নেতৃত্ব দেন চকরিয়া উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) রুপায়ন দেব। অভিযানে দেখা যায়, কোনো ধরনের ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের অনুমোদন, বৈধ কাগজপত্র ও মান নিয়ন্ত্রণ ছাড়াই এসব ঔষধ কুরিয়ার সার্ভিসের কার্যালয় থেকে পিকআপ ভ্যান যোগে মহেশখালী নতুন বাজারস্থ মো. নুর হোসেনের মালিকানাধীন মায়ের দোয়া ফার্মেসিতে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। সেখান থেকেই বিভিন্ন স্থানে সরবরাহ করা হয় বলে জানা যায়।
ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্রে জানা গেছে, জব্দকৃত ঔষধগুলোর অধিকাংশই নিবন্ধনবিহীন, আমদানির বৈধ কাগজ ছাড়াই বাজারজাতযোগ্য এবং এগুলো সেবনে হৃদরোগ, কিডনি বিকলসহ গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকির আশঙ্কা রয়েছে।
সহকারী কমিশনার (ভূমি) রুপায়ন দেন বলেন, ‘কুরিয়ার সার্ভিসকে ব্যবহার করে অবৈধ ও ক্ষতিকর ঔষধ সরবরাহ জনস্বাস্থ্যের জন্য ভয়াবহ হুমকি। এ ধরনের অপরাধে জড়িত কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। অভিযান অব্যাহত থাকবে।’
এ ঘটনায় সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে ঔষধ ও কসমেটিকস আইন, ২০২৩ এবং ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন অনুযায়ী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। একই সঙ্গে কুরিয়ার সার্ভিস ব্যবস্থাকে ব্যবহার করে অবৈধ ঔষধ বাণিজ্যের পেছনে থাকা চক্রের সন্ধানে তদন্ত করা হবে বলে জানান তিনি।
স্থানীয় সচেতন মহল মনে করছে,দ্রুত সারাদেশে কুরিয়ার সার্ভিসগুলোর ওপর বিশেষ নজরদারি ও নিয়মিত অভিযান না চালালে অবৈধ ঔষধ চোরাচালান আরও ভয়াবহ রূপ নিতে পারে।
এসএম