তীব্র শীত আর হিমেল হাওয়ায় বিপর্যস্ত কুড়িগ্রামের জনজীবন। এই শীতে সবচেয়ে বেশি কষ্টে আছেন নদী তীরবর্তী ও চরাঞ্চলে বসবাসকারী অসহায় মানুষরা। তাদেরই একজন কুড়িগ্রামের কছিরন বেগম। কম্বলের অভাবে ঠান্ডায় চরম কষ্টে দিন ও রাত কাটাচ্ছেন তিনি।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বয়সের ভারে নুয়ে পড়া কছিরন বেগমের নেই শীত নিবারণের পর্যাপ্ত ব্যবস্থা। একটি কম্বল না থাকায় রাত নামলেই তার কষ্ট বেড়ে যায়। কখনো পুরোনো কাপড়, কখনো বস্তা জড়িয়ে শীত থেকে বাঁচার চেষ্টা করেন তিনি।
কছিরন বেগম কাঁপা কণ্ঠে বলেন, “একটা কম্বল দেন বাহে, ঠান্ডায় খুব কষ্টে আছি। রাতে ঘুম আসে না।”
শুধু কছিরন বেগম নন, তার মতো আরও বহু বয়োবৃদ্ধ মানুষ কুড়িগ্রামের নদী তীরবর্তী এলাকা ও চরাঞ্চলে একইভাবে শীতকষ্টে ভুগছেন। খোলা পরিবেশে বসবাস করায় এসব এলাকার মানুষদের ওপর শীতের প্রকোপ তুলনামূলক বেশি পড়ছে।
এ অবস্থায় স্থানীয়দের দাবি, দ্রুত এসব অসহায় মানুষের জন্য শীতবস্ত্র—বিশেষ করে কম্বল বিতরণের উদ্যোগ নেওয়া জরুরি। সচেতন মহলের মতে, স্থানীয় প্রশাসন, মানবিক সংগঠন ও সমাজের বিত্তবানদের সহযোগিতায় কছিরন বেগমসহ শীতার্ত মানুষগুলোর দুর্ভোগ কিছুটা হলেও লাঘব হতে পারে।
শীতের রাতে উষ্ণতার অভাবে কাঁপছে জীবন—কুড়িগ্রামের কছিরন বেগমসহ চরাঞ্চলের অসহায় বয়োবৃদ্ধদের জরুরি কম্বল প্রয়োজন
’সময়ের কন্ঠস্বরের মাধ্যমে কছিরন বেগমসহ কুড়িগ্রামের শীতার্ত অসহায় মানুষজনের পাশে দাড়াতে চাইলে যোগাযোগ- ০১৭১৩২০০০৯১।
এফএস